পাঞ্জাবের জঙ্গি দেবেন্দর পাল সিংয়ের মৃত্যুদণ্ড রদের আবেদন খারিজ করে দিল সুপ্রিমকোর্ট। ১৯৯৩-এ দিল্লিতে একটি গাড়ি বোমা বিস্ফোরণে ন`জনের খুনের অপরাধে দোষী সাব্যস্ত দেবেন্দর পাল সিং ভুল্লার।
তাঁর ক্ষমার আবেদনে শীর্ষ আদালতের কী সিদ্ধান্ত নেয় সে দিকে তাকিয়ে ছিল গোটা দেশ। এই সিদ্ধান্ত মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্ত অনান্য অপরাধীদের ভবিষ্যত কী হতে চলেছে সেই বিষয়েও প্রভাব ফেলবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী রাজীব গান্ধী হত্যার ঘটনায় মৃত্যুদণ্ড প্রাপ্তদের ভবিষ্যতেরও ইঙ্গিতবাহী বলে মনে করছেন অনেকে।
আইনি বিশেষজ্ঞদের মত, কোনও অপরাধীর ক্ষমার আবেদন বিবেচনায় দেরি হওয়া মানেই তার মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবনের আদেশ বদলে যেতে পারে না এই তত্ত্বেও সিলমোহর দিল আজকের রায়।
শীর্ষ আদালতে ফাঁসির হুকুম হওয়ার পর দেবেন্দর পাল সিং ভারতের রাষ্ট্রপতির কাছে ২০০৩-এ ক্ষমার আর্জি জানান। দীর্ঘ আট বছর পর ২০১১-এ ভারতের রাষ্ট্রপতি সেই আবেদন খারিজ করে দেন।
এরপর ২০১১-তে ভুল্লারের পক্ষ থেকে শীর্ষ আদালতে ফের ক্ষমার আবেদন করা হয়। ভুল্লারের পক্ষ থেকে বলা হয় রাষ্ট্রপতির তরফে ক্ষমার আর্জি খারিজ করতে দীর্ঘ সময় লেগেছে। সেই সময় সে কারাবাস করেছে। এই যুক্তিতেই ভুল্লার মৃত্যুদণ্ডের সাজা যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে বদলে দেওয়ার আবেদন করেন।
এই একই কারণ দেখিয়ে রাজীব গান্ধী হত্যা মামলায় দোষী সাব্যস্ত তিন জন শীর্ষ আদালতের কাছে ক্ষমার আর্জি জানিয়েছে। এই তিন জন ইতিমধ্যেই ২২ বছর কারাবাস করেছে।
ভুল্লারের ক্ষমার আবেদন খারিজ করল শীর্ষ আদালত