পুলিসের কোনও কমতি হবে না, হিংসা রুখতে কেজরীকে সবরকম সাহায্যের আশ্বাস শাহর
ওপরমহল থেকে নির্দেশ না আসাতেই দিল্লির হিংসা নিয়ন্ত্রণে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি পুলিস। এমনটা অভিযোগ করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার পর দিল্লির মানুষকে আশ্বাস দিতে সমর্থ হলেন কেজরী।
নিজস্ব প্রতিবেদন: ওপরমহল থেকে নির্দেশ না আসাতেই দিল্লির হিংসা নিয়ন্ত্রণে কোনও ব্যবস্থা নিতে পারেনি পুলিস। এমনটা অভিযোগ করেছিলেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরীবাল। কিন্তু মঙ্গলবার সকালে অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক হওয়ার পর দিল্লির মানুষকে আশ্বাস দিতে সমর্থ হলেন কেজরী।
আরও পড়ুন-দিল্লির হিংসায় ‘অসহায়’ পুলিস, কেন্দ্রকেই কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন কেজরী
মঙ্গলবার সকালে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, দিল্লির উপরাজ্যপাল, পুলিসের উচ্চপদস্থ আধিকারিকদের সঙ্গে বৈঠকের পর কেজরী বলেন, কেন্দ্র জানিয়েছে, যেখানে প্রয়োজন সেখানেই পুলিস পাঠানো হবে। এ ব্যাপারে আশ্বাস দিয়েছেন অমিত শাহ। সবাই চাইছেন এই হিংসা বন্ধ হোক। স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী এনিয়ে বৈঠক ডেকেছিলেন। সদর্থক কথাবার্তা হয়েছে।
MHA Sources: In the meeting, issues of hate-mongering, Police-MLAs coordination, adequate force deployment and controlling rumours were mainly discussed https://t.co/stB9U3GuUl
— ANI (@ANI) February 25, 2020
বৈঠক শেষে কেজরীবাল বাইরে আসার পর তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, হিংসা দমনে কি সেনা ডাকবেন? কেজরী বলেন, একটা সময়ে এটার প্রয়োজন ছিল। কিন্তু এখন পুলিস পদক্ষেপ নিচ্ছে। বৈঠকে আমাদের বলা হয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে উপযুক্ত পুলিস মোতায়েন করা হবে।
Delhi CM Arvind Kejriwal, on if he'll ask for the Army to be called: If it is needed then I hope...But right now the action is being taken by police...We've been assured (during meeting with the Home Minister) that adequate number of police personnel will be deployed as required. https://t.co/lI4rcYYb5k pic.twitter.com/V2b7Q87RHj
— ANI (@ANI) February 25, 2020
উল্লেখ্য, এখনও পর্যন্ত দিল্লির হিংসায় প্রাণ গিয়েছে মোট ৭ জনের। এর মধ্যে দিল্লি পুলিসের এক কনস্টেবলও রয়েছেন। আহত দেড়শোরও বেশি। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে নামানো হয়েছে ৩৫ কোম্পানি আধাসেনা।
আরও পড়ুন-বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে মৃত্যু প্রৌঢ়ার, স্থানীয়দের ক্ষোভে রণক্ষেত্র শোভাবাজার
এদিকে, দিল্লির পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিস অসহায় বলে অভিযোগ করেন কেজরীবাল। কারণ দিল্লি পুলিসকে সেরকম কোনও নির্দেশই দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ কেজরীর। পুলিস বুঝতেই পারছিল না তারা লাঠি চার্জ করবে নাকি কাঁদানে গ্যাস চার্জ করবে। পুলিস কনস্টেবল সহ নিহতরা সবাই আমাদেরই লোক। এই পরিস্থিতি মোটেই সুবিধেজনক মনে হচ্ছে না। যাদের ঘর জ্বালিয়ে দেওয়া হয়েছে তাদেরও পরিবার রয়েছে। ওরা বলেছে, বাইরে থেকে লোক এসে গোলমাল পাকিয়েছে।