চিকিৎসার স্বার্থে নির্যাতিতা তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হল সিঙ্গাপুরে
অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় রাতেই সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হল দিল্লির গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতা তরুণীকে। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিত্সা হবে ওই তরুণীর। বুধবার রাত দশটার পর তরুণীকে সফদরজং হাসপাতাল থেকে সরাসরি পালাম বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয় ওই তরুণীকে।
অবস্থা সঙ্কটজনক হওয়ায় রাতেই সিঙ্গাপুর নিয়ে যাওয়া হল দিল্লির গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতা তরুণীকে। সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে চিকিত্সা হবে ওই তরুণীর। বুধবার রাত দশটার পর তরুণীকে সফদরজং হাসপাতাল থেকে সরাসরি পালাম বিমানবন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয় ওই তরুণীকে।
বাবা-মা ছাড়াও তাঁর সঙ্গে গিয়েছেন দুই চিকিত্সক। মঙ্গলবার রাত থেকে আচমকাই দিল্লি গণধর্ষণকাণ্ডে নির্যাতিতা তরুণীর অবস্থার অবনতি হতে শুরু করে। পালস রেট নেমে যায় ৫০-এর নিচে। ব্র্যাডিকার্ডিয়ায় ভুগতে শুরু করেন মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাওয়া ২৩ বছরের তরুণী। পাঁচ মিনিটের মধ্যেই অবশ্য কিছুটা উন্নতি হয় তাঁর শারীরিক অবস্থার। তবে হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, অবস্থা সঙ্কটজনক।
বুধবার সকাল থেকে দফায় দফায় সফদরজং হাসপাতালে আসতে শুরু করেন বিশেষজ্ঞ চিকিত্সকরা। তরুণীর শারীরিক অবস্থা দেখে বিদেশে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেন তাঁরা। তবে চিকিত্সার জন্য তরুণীকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হবে, তা নিয়ে কার্যত মুখে কুলুপ আঁটে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। চিকিত্সকরা তরুণীকে পরীক্ষা করছেন, একথা জানিয়ে দু-দুবার মেডিক্যাল বুলেটিন পিছিয়ে দেওয়া হয়। সূত্র মারফত জানা যায়, বিদেশে চিকিত্সার প্রয়োজনীয়তার কথা জানিয়ে সফদরজং হাসপাতালের তরফে যোগাযোগ করা হয় কেন্দ্রের সঙ্গে।
মন্ত্রিসভা সবুজ সঙ্কেত দিতেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী গুলাম নবি আজাদ সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। যোগাযোগ করা হয় সিঙ্গাপুরে অবস্থিত ভারতীয় দূতাবাসের সঙ্গে। হাইকমিশনকে তরুণীর চিকিত্সায় সবরকম সাহায্যের নির্দেশ দেয় কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রক। এরপরই দ্রুত বিদেশমন্ত্রক ওই তরুণী এবং তাঁর বাবা-মার পাসপোর্ট, ভিসার বন্দোবস্ত করে। অবশেষে রাত দশটার পর অ্যাম্বুলেন্সে লাইফ সাপোর্ট সিস্টেমের সাহায্যে সফদরজং হাসপাতাল থেকে তরুণীকে নিয়ে যাওয়া হয় পালাম বিমানবন্দরে। সেখান থেকে এয়ার অ্যাম্বুলেন্সে সিঙ্গাপুরে নিয়ে যাওয়া হয় নির্যাতিতা তরুণীকে। বাবা-মা ছাড়াও সঙ্গে যান গুরগাঁওয়ের মেদান্ত হাসপাতালের দুই চিকিত্সক নরেশ ত্রেহান এবং যতীন মেহতা।