লাঠি-কাঁদানে গ্যাস-জল কামান, বাধ মানছে না প্রতিবাদ

বারবার ছোড়া হল কাঁদানে গ্যাস, চলেছে জল কামান, লাঠিও। তবুও আয়ত্তে আসেনি রাজধানীর রাজপথ। ক্রমশই বহরে বাড়ছে রাষ্ট্রপতি ভবনের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়া প্রতিবাদী জনতার ঢল। আক্রমণ এসেছে পুলিসের দিকেও। পুলিসকে লক্ষ্য করে শনিবার দুপুরে পাথর ছোঁড়ে উত্তেজিত জনতা। ইন্ডিয়া গেটের সামনেও ভিড় বাড়ছে মানুষের। চলছে প্রতিবাদী পথনাটকও। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে হিংসা না ছড়ানোর আবেদন জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।

Updated By: Dec 22, 2012, 12:25 PM IST

বারবার ছোড়া হল কাঁদানে গ্যাস, চলেছে জল কামান, লাঠিও। তবুও আয়ত্তে আসেনি রাজধানীর রাজপথ। ক্রমশই বহরে বাড়ছে রাষ্ট্রপতি ভবনের দোরগোড়ায় পৌঁছে যাওয়া প্রতিবাদী জনতার ঢল। আক্রমণ এসেছে পুলিসের দিকেও। পুলিসকে লক্ষ্য করে শনিবার দুপুরে পাথর ছোঁড়ে উত্তেজিত জনতা। ইন্ডিয়া গেটের সামনেও ভিড় বাড়ছে মানুষের। চলছে প্রতিবাদী পথনাটকও। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে হিংসা না ছড়ানোর আবেদন জানিয়েছে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রক।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক ভাবে জমায়েত প্রচারের জেরে দিল্লির বহু মানুষ রাজপথে জমা হন। প্রতিবাদীদের মিছিল এগিয়ে চলে রাষ্ট্রপতি ভবনের দিকে। দফায় দফায় প্রতিবাদের জেরে সকাল থকেই উত্তেজিত হয়ে ওঠে রাষ্ট্রপতি ভবন চত্বর। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে হাতাহাতিও হয় পুলিসের। পুলিস ব্যারিকেড ভেঙে এগোতে শুরু করে আম জনতা। ঘটনাস্থলে পৌঁছন দিল্লির পুলিশ কমিশনার নীরজ কুমার। বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে কথা বলেন তিনি। এর পরেও পরিস্থিতি আয়ত্তে আসেনি। পরে বিক্ষোভকারীদের হঠাতে ছোঁড়া হয় জল কামান। লাঠি চার্জ করে পুলিশ। ছোঁড়া হয় কাঁদানে গ্যাসও। এর পরই পুলিসকে লক্ষ্য করে পাথর ছুঁড়তে শুরু করে বিক্ষোভকরীরা। বিক্ষোভকারীদের ছোঁড়া পাথরে আহত হন বেশ ক'জন পুলিস। অবস্থা সামলাতে র‍্যাফ নামানো হয়। পুলিসের সঙ্গে হাতাহাতি ও লাঠি চালানোর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত ১৩ জন বিক্ষোভকারী আহত হওয়ার খবর পাওয়া গিয়েছে। যাঁদের মধ্যে ৯ জনকে রাম মনোহর লোহিয়া হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বেশিরভাগেরই মাথায় চোট লেগেছে বলে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন।
এদিন ইন্ডিয়া গেটে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন সেনা প্রধান ভি কে সিংও। তিনি বলেন, "এই ঘটনায় দিল্লি পুলিসের ব্যর্থতা স্পষ্ট। এই প্রতিবাদের একটা আশু ফলাফল হওয়া উচিত।"
অন্যদিকে, নিগৃহীতা তরুণীর এখনও সফদরজং হাসপাতালে মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে চলেছেন। চিকিতসকরা জানিয়েছেন, ওই ছাত্রীর শারীরিক অবস্থা এখন স্থিতিশীল রয়েছে। কিন্তু তাঁর রক্তের অনুচক্রিকার (প্লেটলেট) সংখ্যা উল্লেখযোগ্য ভাবে কমে গিয়েছে বলে জানিয়েছেন সফদরজং হাসপাতালের চিকিতসকরা।

.