আজ রাজধানীর রায়, রাজনীতিতে বিপ্লব মেশাচ্ছেন কেজরিওয়াল

দিল্লিতে আজ বিধানসভা ভোট। সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। মোট এগারো হাজার সাতশো তিপান্নটি ভোট কেন্দ্রে চলছে ভোট গ্রহণ পর্ব। দিল্লি বিধানসভার সত্তরটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আটশো দশ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নির্দল প্রার্থী দুশো চব্বিশজন। মোট ভোটারের সংখ্যা এক কোটি উনিশ লক্ষ। যারমধ্যে চার লক্ষ পাঁচ হাজারজন এবারই প্রথম নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত এই নিয়ে চতুর্থবার নির্বাচনে লড়ছেন। ছেষট্টিটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। তবে এবারের নির্বাচনে নজর কেড়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমির পার্টি । তারা সবকটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। ভোটের জন্য কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে দিল্লিকে। ছশো তিরিশটি স্পর্শকাতর ও অতি-স্পর্শকাতর বুথে দ্বিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজধানী জুড়ে টহল দিচ্ছে দিল্লি পুলিসের বিশেষ টিম। দিল্লি পুলিসের পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে একশো সাত কোম্পানি আধা সেনা।

Updated By: Dec 4, 2013, 09:20 AM IST

দিল্লিতে আজ বিধানসভা ভোট। সকাল আটটা থেকে শুরু হয়েছে ভোটগ্রহণ। মোট এগারো হাজার সাতশো তিপান্নটি ভোট কেন্দ্রে চলছে ভোট গ্রহণ পর্ব। দিল্লি বিধানসভার সত্তরটি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আটশো দশ জন প্রার্থী। এর মধ্যে নির্দল প্রার্থী দুশো চব্বিশজন। মোট ভোটারের সংখ্যা এক কোটি উনিশ লক্ষ। যারমধ্যে চার লক্ষ পাঁচ হাজারজন এবারই প্রথম নাগরিক অধিকার প্রয়োগ করছেন। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিত এই নিয়ে চতুর্থবার নির্বাচনে লড়ছেন। ছেষট্টিটি আসনে প্রার্থী দিয়েছে বিজেপি। তবে এবারের নির্বাচনে নজর কেড়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমির পার্টি । তারা সবকটি আসনেই প্রার্থী দিয়েছে। ভোটের জন্য কড়া নিরাপত্তায় মুড়ে ফেলা হয়েছে দিল্লিকে। ছশো তিরিশটি স্পর্শকাতর ও অতি-স্পর্শকাতর বুথে দ্বিস্তরীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা করা হয়েছে। রাজধানী জুড়ে টহল দিচ্ছে দিল্লি পুলিসের বিশেষ টিম। দিল্লি পুলিসের পাশাপাশি নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছে একশো সাত কোম্পানি আধা সেনা।

একের পর এক দুর্নীতি আর ভেঙে পড়া আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে রীতিমতো কোণঠাসা শীলাদীক্ষিত সরকার। আর তারই ফয়দা তুলতে চাইছে বিজেপি। কিন্তু বাদ সাধছে কেজরিওয়ালের দল। মনে করা হচ্ছে, এবার আম আদমি পার্টি ভোট কাটায় বেকায়দায় পড়তে পারে প্রধান দুই যুযুধান দল। ফলে, আগামিকাল কংগ্রেস পরিচালিত দিল্লি সরকারের কার্যত অগ্নিপরীক্ষা। মুখ্যমন্ত্রী শীলা দীক্ষিতের ওপরই দিল্লিবাসী ফের আস্থা রাখবেন, নাকি বিজেপির হর্ষবর্ধনের হাতে শাসনক্ষমতা তুলে দেবেন, তা জানা যাবে আটই ডিসেম্বর। ওই দিন গণনা। তবে লোকসভা ভোটের আগে দিল্লি দখলে মরিয়া কংগ্রেস-বিজেপি দুপক্ষই।

একটি সদ্যোজাত। আর তাকেই এখন রীতিমতো সমীহ করছেন দুই প্রবীণ। হ্যাঁ, ঠিক এমনটাই হচ্ছে এবারের দিল্লি ভোটে। আম আদমি পার্টিই এখন চিন্তার ভাঁজ ফেলেছে কংগ্রেস আর বিজেপির কপালে। কার ভাগ্যে যাবে দিল্লি বিধানসভা, সেটা ঠিক করে দিতেই পারে কেজরিওয়ালের দল। আগামিকালই দিল্লিতে ভোট।

দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াইয়ের ডাক দিয়ে জন্ম। বয়স মেরেকেটে একবছর। কিন্তু, সেই দলই এখন দিল্লি ভোটের অন্যতম নির্ণায়ক। আম আদমি পার্টি। এই দলকে সমীহ করছে কংগ্রেস এবং বিজেপি দুই শিবিরই। কারণ, ভোট ভাগাভাগিতে কেজরিওয়ালের দলের পালে কতটা হাওয়া লাগে, তারই চুলচেরা হিসেব কষছেন দুই শিবিরের ম্যানেজাররা। প্রবল স্নায়ুর চাপে থাকলেও প্রত্যয়ের সুর দুদলেই।

কংগ্রেস যেমন শীলা দীক্ষিতের ভাল পারফরম্যান্স,ধারাবাহিক উন্নয়ন এবং কেন্দ্রের বিভিন্ন জনমুখী প্রকল্পকে হাতিয়ার করেছে। প্রার্থী তালিকা নিয়ে দলের অন্দরে ক্ষোভ না থাকাটাও বাড়তি সুবিধা।

তবে মূল্যবৃদ্ধি, দুর্নীতি আর নারী নিরাপত্তার মতো ইস্যু রীতিমতো তাড়া করে বেড়াচ্ছে শীলা দীক্ষিত সরকারকে। বিজেপির দাবি প্রতিষ্ঠান বিরোধী হাওয়া গেরুয়া শিবিরকে ক্ষমতায় আনবে। সঙ্গে রয়েছে মোদী ম্যাজিক। স্বচ্ছ ভাবমূর্তির প্রার্থীও বিজেপির প্লাস পয়েন্ট।

কিন্তু, অন্তর্দ্বন্দ্ব? বিজয় গোয়েলকে টপকে হর্ষ বর্ধনকে প্রার্থী করায় সেই কোন্দলই এখন প্রকাশ্যে। আর শীলা দীক্ষিতের বিপরীতে হর্ষবর্ধন যে নেহাতই কমজোর প্রার্থী সেটাও ভোটের ময়দানে নেমে বুঝতে পারছে বিজেপি। কিন্তু, অরুণ জেটলি,সুষমা স্বরাজদের সবথেকে বেশি চিন্তায় রেখেছে আম আদমি পার্টি। কারণ বিজেপির আশঙ্কা সরকার বিরোধী ভোটের একটা বড় অংশে থাবা বসাতে পারে এএপি।

কিন্তু, যাদের ঘিরে এত আশঙ্কা, তারাও কি স্বস্তিতে রয়েছে? স্বচ্ছ ভাবমূর্তিকে সামনে রেখে তৈরি হওয়া আম আদমি পার্টির গায়ে লেগেছে নানা বিতর্কের পাঁক। একটি স্টিং অপারেশনের জেরে আরো বিপাকে এএপি। চারটি কেন্দ্রে তাদের প্রার্থীর বিরুদ্ধে দাগি নেতাদের প্রার্তী করার অভিয়োগ রয়েছে। আর সবথেকে বড় কথা,প্রশাসন চালানোয় কোনও পূর্ব অভিজ্ঞতা না থাকায়, তাদের ওপর মানুষ কতটা ভরসা করবেন তা নিয়ে ধন্দে কেজরিওয়ালের দলও। তবু,আম আদমি পার্টিকেই যত ভয় কংগ্রেস আর বিজেপির।

.