গোলি মারো, ভারত-পাকিস্তান বলা উচিত হয়নি, দিল্লিতে গোহারা হয়ে বোধোদয় অমিতের

দিল্লিতে বিধানসভা ভোটের শেষ পর্বে তীব্র মেরুকরণ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। 

Updated By: Feb 13, 2020, 09:13 PM IST
গোলি মারো, ভারত-পাকিস্তান বলা উচিত হয়নি, দিল্লিতে গোহারা হয়ে বোধোদয় অমিতের

নিজস্ব প্রতিবেদন: 'গোলি মারো' ও 'ভারত বনাম পাকিস্তান'-এর মতো বিতর্কিত মন্তব্য দিল্লির নির্বাচনে ব্যুমেরাং হয়েছে বলে স্বীকার করে নিলেন অমিত শাহ। একটি অনুষ্ঠানে অমিত শাহ বলেন, দিল্লিতে নির্বাচনে পরাজয় মেনে নিচ্ছি। 'দেশ কে গদ্দারো কো গোলি মারো'র মতো  মন্তব্য করা উচিত হয়নি। সম্ভবত তার খেসারত দিয়েছে দলকে। 

দিল্লিতে ভোটারদের মন বুঝতে পারেননি বলেও মনে করেন অমিত। তাঁর কথায়,''নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে আমার পর্যালোচনায় ভুল হয়েছে।'' তিনি এও মনে করিয়ে দেন, ''হার-জিতের জন্য ভোটে লড়াই করে না বিজেপি। নির্বাচনে সব রাজনৈতিক দলই সরকার গড়তে চায়। তবে বিজেপি আলাদা। আমরা একটা আদর্শ নিয়ে চলি। আমাদের কাছে নির্বাচনের অর্থ নিজেদের আদর্শকে আরও সম্প্রসারণ করা।''     

বলে রাখি, দিল্লিতে বিধানসভা ভোটের শেষ পর্বে তীব্র মেরুকরণ উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করেছিল বিজেপি। ভোটপ্রচারে কেন্দ্রীয় অর্থ প্রতিমন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর হুঙ্কার দিয়েছিলেন, 'দেশকে গদ্দারোকো... '। উত্তর এসেছিল,'গোলি মারো শালো কো।' অনুরাগের ঠাকুরকে নোটিস পাঠিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বিজেপি প্রার্থী কপিল মিশ্র আবার দিল্লি বিধানসভা ভোটকে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের সঙ্গে  তুলনা করেছিলেন। তিনি টুইট করেছিলেন,''৮ ফেব্রুয়ারি দিল্লির রাস্তায় হিন্দুস্তান ও পাকিস্তানের মোকাবিলা হবে।'' নির্বাচন কমিশনের নোটিস পেয়ে টুইটটি মুছে দিতে বাধ্য হন কপিল। কম যাননি অমিত শাহ ও নরেন্দ্র মোদীও। শাহিনবাগকে নিয়ে মেরুকরণের চেষ্টা চালিয়ে গিয়েছেন তাঁরা। এক বিজেপি সাংসদ আবার কেজরীবালকে সন্ত্রাসবাদী আখ্যা দিয়েছিলেন।           

আরও পড়ুন- গ্যাসের দামবৃদ্ধির খেয়াল নেই, আদিবাসীদের ধর্মান্তরণ করছে, মমতার নিশানায় BJP

.