লাদাখে চিন সেনার অধিগ্রহণ অস্বীকার প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর

ভারত-চিন সীমান্তে কোনও রকম সমস্যার কথা অস্বীকার করলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। শুক্রবার সংসদে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আশ্বস্ত করেন এপ্রিলে চিনা সেনার উত্ত্র-পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ৬৪০ কিলোমিটার ঢুকে আসার খবরের কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। তিনি বলেন, "ভারতের কোনও অংশেই ভারত চিন সেনাকে ঢুকতে দেয়নি।"

Updated By: Sep 6, 2013, 06:03 PM IST

ভারত-চিন সীমান্তে কোনও রকম সমস্যার কথা অস্বীকার করলেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী এ কে অ্যান্টনি। শুক্রবার সংসদে দাঁড়িয়ে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আশ্বস্ত করেন এপ্রিলে চিনা সেনার উত্ত্র-পূর্ব লাদাখ সীমান্তে ৬৪০ কিলোমিটার ঢুকে আসার খবরের কোনও বাস্তব ভিত্তি নেই। তিনি বলেন, "ভারতের কোনও অংশেই ভারত চিন সেনাকে ঢুকতে দেয়নি।"
বিরোধীদের চাপে লোকসভা সরকারপক্ষের বক্তব্য রাখতে গিয়ে অ্যান্টনি বলেন, "এই সরকার ভারতের নিরপত্তার দিকে সর্বদা নজর রেখে চলছে।" প্রতিবেশী শক্তি যাতে ভারতের সীমান্তে কোনও প্রভাব না ফেলতে পারে তার জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়ার অশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
গতকাল রাত থেকেই সংবাদমাধ্যমে খবর আসে জাতীয় সুরক্ষা পরামর্শদাতা বোর্ডের রিপোর্টে বলা হয়েছে, লাদাখের দউলত সীমান্তে ভারতের এলাকাতেই এদেশের সেনাকে পেট্রোলিং করতে দিচ্ছে না চিন। বোর্ডের প্রাক্তন শ্যাম সারন নিজে গিয়ে এই পরিস্থিতি দেখে এসেছেন বলে রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়। এই তথ্য সংবাদ মাধ্যমের পাশাপাশি বিরোধীদের হাতে সমালোচনার নতুন ইস্যু তুলে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট ছিল।
জাতীয় সুরক্ষা বোর্ডের রিপোর্টে চিনা সেনার অনুপ্রবেশের কথা অস্বীকার করেছেন অ্যান্টনি। তাঁর কথায়, "শ্যাম সারনের রিপোর্টে বলা হয়নি, চিন অধিগ্রহণ করেছে বা ভারতকে বাধা দিচ্ছে।" অ্যান্টনির ব্যাখ্যা, সীমান্তের নিরাপত্তা ও পরিকাঠামো উন্নয়েণের কথাই উল্লেখ করা হয়েছে রিপোর্টে।
যদিও প্রতিরক্ষা মন্ত্রীর বয়ানের পরও শোরগোল থামেনি সংসদকক্ষে। অসন্তুষ্ট সমাজবাদী পার্টির সাংসদরা এ বিষয়ে আরও তথ্য দাবি করেন। মুলায়ম সিং প্রশ্ন তোলেন, "সরকার কি চিনকে সামাল দিতে পারবে?" বিরোধীদের হট্টোগোল লোকসভা স্থগিত পর্যন্ত গড়ায়।

.