'D' ফর 'দারু', 'P' ফর 'পিয়ো', ছত্তিসগড়ে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়াদের 'অভিনব' শিক্ষাদান শিক্ষকের!

'ডি' ফর 'ডগ' বা 'ডোভ'-এর দিন বোধহয় শেষ হল। ছত্তিসগড়ের এক প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকের সৌজন্যে 'ডি' ফর এখন থেকে 'দারু' (মদ), আর 'পি' ফর পিকক-এর বদলে 'পিয়ো' (পান কর)!

Updated By: Jul 13, 2015, 12:18 PM IST
'D' ফর 'দারু', 'P' ফর 'পিয়ো', ছত্তিসগড়ে সরকারি প্রাথমিক স্কুলে পড়ুয়াদের 'অভিনব' শিক্ষাদান শিক্ষকের!

বিলাসপুর: 'ডি' ফর 'ডগ' বা 'ডোভ'-এর দিন বোধহয় শেষ হল। ছত্তিসগড়ের এক প্রাইমারি স্কুলের শিক্ষকের সৌজন্যে 'ডি' ফর এখন থেকে 'দারু' (মদ), আর 'পি' ফর পিকক-এর বদলে 'পিয়ো' (পান কর)!

ছত্তিসগড়ের কোরিয়া জেলায় একটি সরকারি প্রাথমিক স্কুলে ছোট ছোট পড়ুয়াদের ইংরেজি বর্ণমালার সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেওয়ার সময় 'অভিনব' পথ ধরেছিলেন শিববরণ নামের এক শিক্ষক। শুক্রবার শিববরণ যখন ক্লাস রুমে এই 'অভাবনীয়' শিক্ষাদান চালাচ্ছেন স্থানীয় কয়েকজন সাংবাদিক অতর্কিতে পুরো ঘটনাটির ভিডিও করেন।

রবিবার এই ভিডিও অন্তর্জালের দুনিয়ায় ছড়িয়ে পরার পর থেকে ভাইরাল। তাঁদের অভিযোগ পড়ানোর সময় শিববরণ মদ্যপও ছিলেন। ওই সাংবাদিকদের দাবি শিববরণ নাকি নিজেই তিনি স্বীকার করে নিয়েছেন এই কথা। তবে এই প্রথম নয়, এর আগেও বেশ কয়েকবার নেশাতুর অবস্থায় স্কুলে খুদেদের পড়াতে এসেছেন এই শিক্ষক।

অন্যদিকে পালটা অভিযোগ করেছেন শিববরণ। তিনি জানিয়েছেন স্থানীয় সাংবাদিকরা তাঁকে 'জোর' করে ব্ল্যাকবোর্ডে 'দারু', 'পিয়ো' এই শব্দগুলো লিখিয়েছেন।

কোরিয়া জেলার ডিস্ট্রিক্ট কালেকটর জানিয়েছেন এ বিষয়ে তিনি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন।

মুমরা পান্দোপারা সরকারি প্রাথমিক স্কুলটিতে সর্বসাকুল্যে শিক্ষক দু'জন। একজন এই শিববরণ। অন্যজনের নাম রামদাস। রামদাসের বিরুদ্ধে অনুপস্থিতি ও অনিয়মিতের অভিযোগ ভুরিভিরি। যদিও, শিববরণের নামে এই ধরণের কোনও অভিযোগ নেই বলেই জানিয়েছেন ডিস্ট্রিক্ট কালেকটর।

তিনি জানিয়েছেন, কয়েকজন স্থানীয় বাসিন্দার বয়ান অনুযায়ী, শিববরণ নয়, ব্ল্যাকবোর্ডে ওই শব্দগুলি কয়েকজন পড়ুয়ার লেখা।  

 

.