ঘূর্ণিঝড় গাজায় লণ্ডভণ্ড তামিলনাড়ু; মৃত ১১, সরানো হল ৭৬,০০০ মানুষকে
তামিলনাড়ুর ৬ জেলায় তোলপাড় শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় গাজা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটা থেকে আড়াইটের মধ্যে গাজা এসে পড়ে নাগাপট্টিনম ও বেদানিয়ামে। ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি।
নিজস্ব প্রতিবেদন: তামিলনাড়ুর ৬ জেলায় তোলপাড় শুরু করেছে ঘূর্ণিঝড় গাজা। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে বারোটা থেকে আড়াইটের মধ্যে গাজা এসে পড়ে নাগাপট্টিনম ও বেদানিয়ামে। ঝড়ের গতি ঘণ্টায় ১০০-১১০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টায়। শুরু হয়েছে প্রবল বৃষ্টি।
আরও পড়ুন-উদ্বোধনের আগে শহরের প্রথম ঝুলন্ত রেস্তোরাঁর অন্দরের ছবি দেখে নিন
রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের বিবৃতি অনুযায়ী তামিলনাড়ুর ৩০০ ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিয়েছেন ৭৬,০০০ বেশি মানুষ। নাগাপট্টিনম, থিরুভারুর, রামানাথাপুরম, পুডুকোটিতে বহু মানুষ ঘরছাড়া। ঝড়ের ফলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয়েছে নাগাপট্টিনমে। কাড্ডালোর, পুডুকোটি থিরুভারুর সহ সাত জেলায় বিদ্যুত সরবারহ বিপর্যস্থ। এখনও পর্যন্ত নাগাপট্টিনম ও থিরুভারুর সহ রাজ্যের বিভিন্ন অংশে মৃত্যু হয়েছে ১১ জনের। এদের মধ্যে ৫ জন মারা গিয়েছেন দেওয়াল চাপা পড়ে। মুখ্যমন্ত্রী মৃতদের পরিবারপিছু ১০ লাখ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়ার কথা ঘোষণা করেছেন।
Tamil Nadu: Trees uprooted and houses damaged in Nagapattinam in the overnight rainfall and strong winds which hit the town. #GajaCyclone pic.twitter.com/9ObvcqJlDD
— ANI (@ANI) November 16, 2018
আবহাওয়া দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে উপকূলবর্তি তামিলনাড়ু পার করে ক্রমশ দুর্বল হয়ে যাবে গাজা। এর প্রভাবে আগামী ৬ ঘণ্টা ঝোড়ো হাওয়া হবই তামিলনাড়ু ও অন্ধ্রে।
দিল্লির হাওয়া অফিস তরফে শুক্রবার ভোর ৩টে ১৫ মিনিটের একটি বুলেটিনে জানানো হয়েছে, গাজার কেন্দ্রস্থলটি তামিলনাড়ুর স্থলভাগে এসে পড়লেও তার অন্য অংশটি এখনও রয়েছে সমুদ্রেই। তামিলনাড়ুর উপকূল পার করতে আরও ঘণ্টা দুয়েক সময় নেবে গাজা।
আরও পড়ুন-রাজ্যে বিজেপিকে রোখার রণনীতি বাতলে দিতে বৈঠক ডাকলেন মমতা
এদিকে বিপর্যয় মোকাবিলায় ন্যাশনাল ডিজাস্টার রেসপন্স ফোর্সের ৪টি ইউনিট কাজ করছে। পাশাপাশি রাজ্যের ৯ হাজার উদ্ধারকারী কাজ করে চলেছেন। তৈরি রাখা হয়েছে নৌসেনার দুটি জাহাজ ও কপ্টার।
গাজার কথা মাথায় রেখে ইতিমধ্যেই বেশকিছু ট্রেন বাতিল করেছে রেল। চেন্নাই থেকে নাগাপট্টিনম, থিরুভারুর ও তাঞ্জাভুর পর্যন্ত ৩টি ট্রেন বাতিল হয়েছে। বাতিল করা হয়েছে চেন্নাই থেকে দক্ষিণমুখী ৪টি ট্রেন।