ক্ষোভ সামাল দেওয়ার চেষ্টা, সোনিয়াকে সাহায্য করতে ৪ সদস্যের কমিটি গড়ছে কংগ্রেস!

 সোমবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে আনন্দ শর্মা চেয়েছিলেন সোনিয়াকে লেখা চিঠি প্রকাশ করে দিতে। এতে অন্তত সবাই জানতে পারতেন ওই চিঠির উদ্দেশ্য আসলে কী

Updated By: Aug 25, 2020, 03:13 PM IST
ক্ষোভ সামাল দেওয়ার চেষ্টা, সোনিয়াকে সাহায্য করতে ৪ সদস্যের কমিটি গড়ছে কংগ্রেস!
ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন: দলে নতুন পূর্ণ সময়ের নেতা ও সংগঠনে সংস্কার চেয়ে সোমবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে চরম হেনস্থা হয়েছিলেন সংস্কারপন্থী নেতারা। তাদের কথা মাথায় রেখে মাঝামাঝি একটা সমাধান সূত্র বের করেছে কংগ্রেস।

সংবাদসংস্থা সূত্রে খবর, সোনিয়া গান্ধী দলের সভাপতির দায়িত্ব থাকলেও তাঁকে পরামর্শ দেবে বা সাহায্যে করবে ৪ সদস্যের একটি কমিটি। ওই কমিটিতে থাকবেন অন্তত ২ জন সংস্কারপন্থী নেতা। রাহুল গান্ধী নাকি ওই কমিটি তৈরির প্রস্তাব দিয়েছেন। তবে শেষ সিদ্ধান্ত নেবেন সোনিয়াই, জানিয়েছেন কংগ্রেস মুখপাত্র রণদীপ সিং সুরজেওয়ালা। এমনটাই খবর সংবাদসংস্থার।

আরও পড়ুন'HIV পজিটিভ', তাই পা ভাঙা নিয়ে দেড় মাস ধরে বিনা চিকিৎসায় মালদা মেডিকেলে পড়ে রোগী

এদিকে, সোমবার কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক শেষ হওয়ার পর রাতে সংস্কারপন্থী ওইসব নেতাদের মধ্যে ৯ জন বৈঠক করেন গুলাম নবি আজাদের বাসভবনে। ওই বৈঠকে ছিলেন আনন্দ শর্মা, কপিল সিব্বল, শশী থারুর ও মণীশ তিওয়ারির মতো নেতা। ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে হেনস্তা হওয়ার পর পরবর্তী  পদক্ষেপ কী হবে তা ঠিক করার কথাও নাকি হয় ওই বৈঠকে।

কী আলোচনা হয়েছে ওই বৈঠকে? সূত্রের খবর, সোনিয়াকে লেখা চিঠিতে যাঁরা সাক্ষর করেছিলেন তাদের ওয়ার্কিং কমিটির মিটিং সম্পর্কে অবহিত করতেই সবাই মিলিত হয়েছিলেন। ঠিক হয়েছে একটি ৪ সদস্যের কমিটি তৈরি হবে সোনিয়াকে দল পরিচালনায় সাহায্য করার জন্য। ওই কমিটিতে থাকবেন অনন্তপক্ষে ২ সংস্কারপন্থী কংগ্রেস নেতা।

এদিকে, দলের একটি সূত্রের দাবি, সোমবার ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠকে আনন্দ শর্মা চেয়েছিলেন সোনিয়াকে লেখা চিঠি প্রকাশ করে দিতে। এতে অন্তত সবাই জানতে পারতেন ওই চিঠির উদ্দেশ্য আসলে কী। কিন্তু শেষপর্যন্ত সেই প্রস্তাব নাকচ হয়ে যায়।

আরও পড়ুন-দেশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩১ লাখ পার, গত ২৪ ঘণ্টায় আক্রান্ত ৬০,৯৭৫

কংগ্রেস সূত্রে খবর, দলের এক জন পূর্ণসময়ের নেতা ও সংগঠনের আমূল সংস্কারের বিষয়টি নিয়ে দলের বহু নেতার সঙ্গে আলোচনা করেন গুলাম নবি ও আনন্দ শর্মা। তার পরে চিঠির বয়ান তৈরি হয়। ফলে চিঠির বিষয়টি একেবারে গোপন ছিল এমনটা বলা যায় না। আবার চিঠিটি সোনিয়ার কাছ পাঠানোর আগে গুলাম নবি একাধিকবার বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য সোনিয়ার সঙ্গে দেখা করার চেষ্টা করেন। কিন্তু সোনিয়ার অসুস্থতার কারণে সেই সুযোগ তিনি পাননি। চিঠিটি লিখেও ১০ দিন তা পড়ে ছিল।  কারণ সোনিয়া সেই সময় হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। হাসপাতাল থেকে ফেরার ৬ দিন পর সোনিয়ার কাছে ওই চিঠি পাঠানো হয়।

.