Crime News: ভয়ংকর! প্রেমিক পছন্দ নয়, ১ লক্ষ টাকায় মেয়েকে খুন করাল বাবা
Crime News: জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম নবীন কুমার। শুক্রবার রাতে তিনি তাঁর মেয়েকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর সেখানে মেয়েটির অবস্থা খারাপ যাওয়ায়। তাঁকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন অভিযুক্ত। এরপর রাতেই মেয়েটির স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ হয় এবং এরপর তরুণীর মৃত্যু হয়। মৃতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক দেখতে পান, তরুণীকে অতিরিক্ত ডোজের পটাশিয়াম ক্লোরাইড দেওয়া হয়েছে।
জি ২৪ ঘন্টা ডিজিটাল ব্যুরো: তার পছন্দের পাত্রকে বিয়ে করতে চায়নি মেয়ে। অন্য একজনকে ভালোবাসতেন তরুণী এবং নিজের ভালোবাসার মানুষের সঙ্গেই ঘর বাঁধতে চেয়েছিলেন। সেই ইচ্ছাই কাল হল। সেজন্য নিজের বাবার চরম রোষের মুখে পড়লেন তরুণী। হয়ত ভাবতেও পারেননি বাবার তাঁর এত বড় ক্ষতি করতে পারেন। ঘটনাটা ঠিক কী হয়েছে? হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মেয়েকে খুন করতে টাকা দিয়েছে তাঁরই বাবা। সম্প্রতি ঘটনাটি ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের মোদীপুরম এলাকায়। হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ দেখে ঘটনার সূত্র পায় পুলিস। যাতে দেখতে পাওয়া যায়, ওই তরুণীকে ভুল ইঞ্জেকশন দিচ্ছে হাসপাতালের এক ওয়ার্ড বয়। এর পরেই তরুণীর রক্তচাপ বেড়ে যায় এবং তার কিছুক্ষণের মধ্যে তরুণঈ মারা যান। ঘটনার তদন্তে নেমে এখনও পর্যন্ত তরুণীর অভিযুক্ত বাবা-সহ আরও দু'জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।
জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের নাম নবীন কুমার। শুক্রবার রাতে তিনি তাঁর মেয়েকে একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন। এরপর সেখানে মেয়েটির অবস্থা খারাপ যাওয়ায়। তাঁকে অন্য একটি বেসরকারি হাসপাতালে ভর্তি করেন অভিযুক্ত। এরপর রাতেই মেয়েটির স্বাস্থ্যের অবস্থা খারাপ হয় এবং এরপর তরুণীর মৃত্যু হয়। মৃতার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করতে গিয়ে ওই হাসপাতালের এক চিকিৎসক দেখতে পান, তরুণীকে অতিরিক্ত ডোজের পটাশিয়াম ক্লোরাইড দেওয়া হয়েছে। সেজন্যই মেয়েটির মৃত্যু হয়েছে। এরপরই চিকিৎসকের সন্দেহ হয়। তিনি পুলিসে খবর দেন। তদন্ত শুরু করে পুলিস।
তদন্তে নেমে প্রথমেই যে ওয়ার্ডে তরুণী ভর্তি ছিলেন, সেই ওয়ার্ডের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ পরীক্ষা করেন তদন্তকারীরা। এক ওয়ার্ড বয়ের সন্দেহজনক গতিবিধি লক্ষ্য করেন তাঁরা। দেখতে পান, মৃতাকে একটি ইঞ্জেকশন দিচ্ছে ওই ওয়ার্ড বয়। চিকিৎসক সেজে সে ওয়ার্ডে প্রবেশ করে এবং তরুণীকে ইঞ্জেকশন দেয়। এরপর ওই ওয়ার্ড বয়কে চিহ্নিত করে পুলিস। তাকে পাকড়াও করে। তার নাম জানা যায় নরেশ কুমার। তাকে জেরায় বেরিয়ে আসে আসল সত্য। যা শুনে তাজ্জব তদন্তকারীরা। জেরায় ওই ওয়ার্ড বয় জানায়, মেয়েটি বাবা তাকে এই কাজ করতে বলেছিলেন। এখানেই শেষ নয়, এ কাজের জন্য ১ লক্ষ টাকাও দিয়েছে সে। ধৃতের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে হাসপাতালের একজন নার্সকেও গ্রেফতার করেছে পুলিস।
এরপর পুলিস জানতে পারে, হাসপাতালে ভর্তির সময় অভিযুক্ত নবীন কুমার বলেছিল যে, তার মেয়ে নাকি হনুমানে ভয় পেয়েছিল। সেই ভয় পেয়ে ছাদ থেকে পড়ে গিয়েছিল সে। যদিও পরে যানা যায়, বাবার অত্যাচার সহ্য করতে না পেরে ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছিল তরুণী। গোটা ঘটনায় তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিস।