Cow Smuggling: রুটি দিলেও খাননি-ঘুমে ব্যাঘাত, তিহাড় জেলে প্রথম রাত কেমন কাটল অনুব্রতর
Cow Smuggling: প্রসেক্রিপশন দেওয়া হলেও তাঁর পরিচিত ব্রান্ডের ওষুধ তিনি পাননি। এনিয়ে তাঁকে সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ একই কম্পোজিশনের ওষুধ দেওয়া হলেও ব্রান্ড আলাদা হাওয়ায় তিনি সেই পাতা চিনতে পারছিলেন না। প্রথম দিন তাঁকে সেলে রাখা হয়নি। তিনি রাত কাটান একটি ঘরে।
জ্যোতির্ময় কর্মকার: দিল্লির রাউজ অ্যাভিনিউ আদালতের নির্দেশে গতকাল ইডি হেফাজত থেকে তিহাড় জেলে ঠাঁই হয়েছে অনুব্রত মণ্ডলের। সেখানেই রয়েছে তার প্রাক্তন দেহরক্ষী সেহগল হোসেন ও তার হিসেবরক্ষক মণীশ কোঠারি। বহুদিন ধরেই বেশকিছু অসুখে ভুগছেন অনুব্রত মণ্ডল। রোজই প্রচুর ওষুধ খেতে হয় তাঁকে। জেলে যাওয়ার পর মঙ্গলবার রাতই ছিল তিহাড়ে তাঁর প্রথম রাত্রিযাপন। কেমন কাটল সেই রাত?
আরও পড়ুন-ভূমিকম্পের পরই উত্তরভারতের আকাশে রহস্যময় আলো! ঝড় উঠল নেটপাড়ায়
জেল সূত্রে খবর, প্রথম রাতে তাঁকে আলাদা ঘরে রাখা হয় অনুব্রতকে। আজ তাঁকে কোনও সেলে দেওয়া হতে পারে। গতকাল রাউজ অ্যাভিনিউ আদালত থেকে জেলে নিয়ে যাওয়ার পর জেলের ক্লিনিকে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষা হয়। সেইসময় তাঁর কাছে ছিল মাত্র ২টি কাগজ। একট হল তাঁর প্রেসক্রিপশন এবং অন্যটি হলে কোর্টের কাগজ। সূত্রের খবর, নিজের প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে অনুব্রত বলেন, তাঁর ওইসব ওষুধ খুবই প্রয়োজনীয ওই ওষুধ ছাড়া তাঁর চলবে না।
এদিকে, প্রসেক্রিপশন দেওয়া হলেও তাঁর পরিচিত ব্রান্ডের ওষুধ তিনি পাননি। এনিয়ে তাঁকে সমস্যায় পড়তে হয়। কারণ একই কম্পোজিশনের ওষুধ দেওয়া হলেও ব্রান্ড আলাদা হাওয়ায় তিনি সেই পাতা চিনতে পারছিলেন না। প্রথম দিন তাঁকে সেলে রাখা হয়নি। তিনি রাত কাটান একটি ঘরে। আজ তাঁকে কোনও সেলে দেওয়া হবে বলে জানা যাচ্ছে। গত রাতে তাঁকে সারাক্ষণ নজরে রেখেছিলেন জেলের এক আধিকারিক।
আদালতের নির্দেশ রয়েছে বাংলা জানেন এমন একজনকে অনুব্রতর নজরদারিতে রাখতে হবে। কারণ তিনি বাংলা ছাড়া অন্য কোনও ভাষা জানেন না। রাতে তিহাড় জেলের অধিকাংশ বন্দি রুটি ও সবজি খান। অনুব্রতকে সেই রুটি সবজি দেওয়া হয়। কিন্তু অনুব্রত রুটি খেতে পারেন না। তাই তিনি ভাত, ডাল ও সবজি খান। রাতে ঘুমে সমস্যা হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। আদালত থেকে বলা হয়েছে রাতে শ্বাসকষ্ট বাড়লে তাঁকে যেন অক্সিজেন দেওয়া হয়। অক্সিজেনের প্রয়োজন পড়েনি। তবে তাঁর ইনহেলার ও অন্যান্য ওষুধ তাঁর সঙ্গে দিয়ে দেওয়া হয়।
বুধবার তাঁর সঙ্গে জেলে গিয়ে দেখা করবেন তাঁর আইনজীবী। কেন কেন ওষুধ তিনি পাচ্ছেন, কোন ওষুধ তিনি পাচ্ছেন না তা আদালতে জানাবেন তাঁর আইনজীবী। জেল থেকে একটি চপ্পল দেওয়া হয়েছে অনুব্রতকে। আলাদা পোশাক দেওয়া হয়েছে। তাঁর সঙ্গে ছিল ৪টি ব্যাগ। সেইসব ব্যাগ তাঁকে জেলে নিয়ে যেতে দেওয়া হয়নি। ফলে তাঁকে হয় জেলের পোশাক পরতে হবে নয়তো যে পোশাক পরে গিয়েছিলেন সেটই পরতে হবে। আজ ঠিক হবে তিনি কোথায় থাকবেন।