দিল্লিতে গণনার কয়েক ঘণ্টা আগে উৎসবের মেজাজ আপ-এর হেডকোয়ার্টারে, বিষণ্ণতা বিজেপির সদর দফতরে
রাত পোহালেই নির্ধারিত হয়ে যাবে রাজধানীর ভাগ্য। দিল্লির হাইভোল্টেজ নির্বাচনে শেষ হাসি কে হাসবেন জানতে অপেক্ষা মাত্র আর কয়েক ঘণ্টার। গণনার আগের দিন দিল্লি জুড়ে ভিন্ন ভিন্ন মেজাজে দেখা মিলল মূল প্রতিদ্বন্ধী দলগুলির। বুথ ফেরত সব সমীক্ষাই জানিয়েছে 'দিল্লিতে আবকি বার, 'আপ' কি সরকার।' সেই ভরসাতেই বোধহয় খুশির মেজাজে আছেন আপ-এর কর্মী, সমর্থকরা। জয় প্রায় নিশ্চিত আশা করে আজ সারাদিন দিল্লিতে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিজেদের জড়িয়ে রাখলেন তাঁরা। অন্যদিকে, বিজেপির সদরদফতরের আশেপাশে শুধুই বিষণ্ণতা। দিল্লি যদি সত্যি সত্যিই আপের দখলে যায় তাহলে শুধুমাত্র বিজেপির নয়, কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার ৯ মাসের মধ্যে এই প্রথম বার বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়বে 'মোদীজি কা জলওয়া।' বস্তুত, কেন্দ্র দখলের পর এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে নির্বাচনে সরাসরি এত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েনি বিজেপি। শুধু বিজেপির অনান্য হেভি ওয়েট নেতারাই নন, দিল্লি নির্বাচনের আগে কিন্তু প্রচার ময়দানে কোমর বেঁধে নেমেছিলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। তাই শেষপর্যন্ত কেজরিওয়ালের দখলে রাজধানীর তখত চলে গেলে ব্যক্তির মোদীর পক্ষে বিষয়টি 'বুরে দিন'-এর সংকেত ডেকে আনবে।
ওয়েব ডেস্ক: রাত পোহালেই নির্ধারিত হয়ে যাবে রাজধানীর ভাগ্য। দিল্লির হাইভোল্টেজ নির্বাচনে শেষ হাসি কে হাসবেন জানতে অপেক্ষা মাত্র আর কয়েক ঘণ্টার। গণনার আগের দিন দিল্লি জুড়ে ভিন্ন ভিন্ন মেজাজে দেখা মিলল মূল প্রতিদ্বন্ধী দলগুলির। বুথ ফেরত সব সমীক্ষাই জানিয়েছে 'দিল্লিতে আবকি বার, 'আপ' কি সরকার।' সেই ভরসাতেই বোধহয় খুশির মেজাজে আছেন আপ-এর কর্মী, সমর্থকরা। জয় প্রায় নিশ্চিত আশা করে আজ সারাদিন দিল্লিতে বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নিজেদের জড়িয়ে রাখলেন তাঁরা। অন্যদিকে, বিজেপির সদরদফতরের আশেপাশে শুধুই বিষণ্ণতা। দিল্লি যদি সত্যি সত্যিই আপের দখলে যায় তাহলে শুধুমাত্র বিজেপির নয়, কেন্দ্রে ক্ষমতায় আসার ৯ মাসের মধ্যে এই প্রথম বার বড়সড় প্রশ্নের মুখে পড়বে 'মোদীজি কা জলওয়া।' বস্তুত, কেন্দ্র দখলের পর এখনও পর্যন্ত বিভিন্ন রাজ্যগুলিতে নির্বাচনে সরাসরি এত বড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়েনি বিজেপি। শুধু বিজেপির অনান্য হেভি ওয়েট নেতারাই নন, দিল্লি নির্বাচনের আগে কিন্তু প্রচার ময়দানে কোমর বেঁধে নেমেছিলেন স্বয়ং নরেন্দ্র মোদী। তাই শেষপর্যন্ত কেজরিওয়ালের দখলে রাজধানীর তখত চলে গেলে ব্যক্তির মোদীর পক্ষে বিষয়টি 'বুরে দিন'-এর সংকেত ডেকে আনবে।
অন্যদিকে, কংগ্রেসের হাল আরও করুণ। ক্ষমতা দখলের হাজার মাইলের মধ্যেও কংগ্রেসকে রাখেনি রাজনীতি মহল। প্রায় সবারই ভবিষ্যতবাণী মেরেকেটে বড়জোর ৫টি আসন পাবে কংগ্রেস।
দিল্লিতে প্রদেশ কংগ্রেসের সদরদফতরে ইতিউতি ঘুরঘুর করতে দেখা গেল খুব বেশি হলে ৪-৫ জন নেতা-কর্মীকে। বিজেপির সদর দফতরও প্রায় ফাঁকা।
সমস্ত বুথ ফেরত সমীক্ষা আম আদমি পার্টির নিশ্চিত জয়ের ইঙ্গিত দিলেও তা মানতে নারাজ বিজেপি। রবিবার বিজেপির তরফ থেকে দাবি করা হয়েছে তারা ৩৪ থেকে ৩৮ টি আসন পাচ্ছেই।
অন্যদিকে বুথ ফেরত সমীক্ষাকে প্রায় স্বীকার করে নিয়েছে কংগ্রেস নেতৃত্ব। কংগ্রেস নেতা অজয় মাকন বলেছেন '' বুথ ফেরত সমীক্ষার উপর ভরসা করলে বলতে হয় দিল্লির মানুষ আপ-কে আরও একটা সুযোগ দিতে চাইছেন। গণতন্ত্রে সাধারণ মানুষের ইচ্ছাই শেষ কথা। সেক্ষেত্রে জনগণ আমাদের যে ভূমিকায় চাইবেন আমরা তার জন্যেই প্রস্তুত।''
অন্যদিকে, আপ-এর সদর দফতরে এখন প্রায় উৎসবের মেজাজ। সেখানে এখনও দলীয় কর্মী-সমর্থকদের থিকথিকে ভিড়।
আপ সুপ্রিমো অরবিন্দ কেজরিওয়ালের বাড়ির সামনে এখন সাংবাদিকদের ভিড়। বহু সাংবাদিক ডেরা বেঁধেছেন আম আদমি পার্টির সদরদফতরেও।
সত্যিই কি আরও একবার কেজরিওয়ালের উপর ভরসা রেখেছেন দিল্লির মানুষ? নাকি সব সমীক্ষা উল্টে দিয়ে দিল্লিতেও জারি থাকবে মোদী ম্যাজিক? উত্তর জানতে অপেক্ষা আর কয়েক ঘণ্টার।