Coromandel Express Accident: অতীতের ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে রেলমন্ত্রী কি পদত্যাগ করবেন? জানতে পড়ুন
দুর্ঘটনার পরই একাধিক হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। হাওড়ার হেল্পলাইন নম্বর - ০৩৩ ২৬৩৮২২১৭, খড়গপুরের হেল্পলাইন নম্বর - ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯, বালেশ্বরের হেল্পলাইন নম্বর - ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২, শালিমারের হেল্পলাইন নম্বর - ৯৯০৩৩৭০৭৪৬, চেন্নাইয়ের হেল্পলাইন নম্বর - ০৪৪ ২৫৩৩০৯৫২/০৪৪-২৫৩৩০৯৫৩/০৪৪-২৫৩৫৪৭৭১, ভদ্রক- ৮৪৫৫৮৮৯৯০০, কেওনঝড় রোড- ৮৪৫৫৮৮৯৯০৬, কটক- ৮৪৫৫৮৮৯৯১৭, ভুবনেশ্বর- ৮৪৫৫৮৮৯৯২২, খুরদা রোড- ৬৩৭০১০৮০৪৬।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: দুর্ঘটনার পর প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রেলের অত্যাধুনিক কবচ (Kavach) প্রযুক্তি নিয়ে। কোথায় গেল কবচ? সেটা নিয়েও প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকি ওয়াকিবহাল মহলের ধারণা লিঙ্ক হফম্যান বুশ বা LHB কামরা থাকলে সম্ভবত ক্ষয়ক্ষতি আরও কম হত। এদিকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি অ্যান্টি কলিশন ডিভাইস (ACD) কেন ছিল না দুর্ঘটনাগ্রস্ত ট্রেনগুলিতে? এমনকী রেলরুটেও ছিল না কেন? দুর্ঘটনার পর এই প্রশ্ন উঠেছে। ইতমধ্যেই রেলমন্ত্রী অশ্বিনী বৈষ্ণবের পদত্যাগের দাবি করেছে তৃণমূল কংগ্রেস-সহ একাধিক বিরোধী দল। বালেশ্বরের মর্মান্তিক দুর্ঘটনার পর নানা প্রশ্ন, নানা সম্ভাবনার তত্ত্ব উঠে আসছে।
সব সম্ভাবনাই একদিকে ইঙ্গিত করছে, রেল দপ্তরের চূড়ান্ত অব্যবস্থা এবং সমন্বয়ের অভাব। এমন চাপের মুখে অশ্বিনী বৈষ্ণব কি সেই দাবি মেনে সরে দাঁড়াবেন? নাকি এই দুর্ঘটনার দায় পুরোপুরি সাধারণ কোনও কর্মী বা আধিকারিকের উপর চাপানো হবে।
ইতিহাস ঘাঁটলে দেখা যাচ্ছে, স্বাধীনতার পর মাত্র দু’জন রেলমন্ত্রী দুর্ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন। প্রথমজন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। ১৯৫১ থেকে ১৯৫৬ পর্যন্ত রেলমন্ত্রী ছিলেন ভারতের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী। পাঁচ বছরের মধ্যে দু’বার পদত্যাগ করেছিলেন তিনি। প্রথমবার অন্ধ্রপ্রদেশের মাহবুবনগরের দুর্ঘটনায় ১১২ জনের মৃত্যুর পর। সেবার শাস্ত্রীর পদত্যাগপত্র গ্রহণ করেননি তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহেরু। কিন্তু ১৯৫৬ সালের নভেম্বরে তামিলনাড়ুর আরিয়ালুরে ফের দুর্ঘটনা হয়। এবার প্রাণ গিয়েছিল ১৪৪ জনের। ফের পদত্যাগ করেছিলেন লালবাহাদুর শাস্ত্রী। এবার শুধু পদত্যাগ করা নয়, সেই সঙ্গে নেহেরুকে পদত্যাগপত্র গ্রহণ করার জন্য ব্যক্তিগতভাবে অনুরোধ করেন সেটা যেন গ্রহণ করা হয়। পদত্যাগপত্রে লালবাহাদুর শাস্ত্রী লিখেছিলেন, "আমার মনে হয় আমার মাথা নীচু করে রেলমন্ত্রক থেকে বেরিয়ে যাওয়া উচিত।"
আরও পড়ুন: Coromandel Express: দোষীরা কঠোর শাস্তি পাবেই, বালেশ্বর থেকে আশ্বাস দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী
আরও পড়ুন: Coromandel Express Accident: কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তোপ দেগে রেলমন্ত্রীর ইস্তফার দাবি করলেন অভিষেক
এরপরের ঘটনা ১৯৮১ সাল। সেই বছর বিহারে ট্রেন দুর্ঘটনায় পাঁচশোর বেশি মানুষ মারা যান। ১৯৯৫ ফিরোজাবাদ রেল বিপর্যয়ে অন্তত ৩৫৮ জনের মৃত্যু হয়। এমন ছোটবড় বহু দুর্ঘটনা ঘটলেও কোনও রেলমন্ত্রী দায় নেননি। তবে ১৯৯৯ গাইসাল ট্রেন বিপর্যয়ের পর পদত্যাগ করেন আর এক রেলমন্ত্রী। গাইসালের দুর্ঘটনায় ২৮৫ জন প্রাণ হারিয়েছিলেন। এর মধ্যে বেশিরভাগই ছিলেন সেনাকর্মী। সেই ঘটনার দায় নিয়ে পদত্যাগ করেছিলেন তৎকালীন রেলমন্ত্রী নীতীশ কুমার। এরপরও বহু মর্মান্তিক রেল দুর্ঘটনা ঘটেছে। ২০০২ হাওড়া-নিউ দিল্লি রাজধানী এক্সপ্রেস, ২০১০ জ্ঞানেশ্বরী এক্সপ্রেস বিপর্যয়, ২০১৬ ইন্দোর পাটনা দুর্ঘটনার মতো বিপর্যয়ে সব মিলিয়ে পাঁচশোর বেশি মানুষের প্রাণ গিয়েছে। কিন্তু কোনওক্ষেত্রেই ঘটনার দায় নেননি রেলমন্ত্রীরা। এখন প্রশ্ন হচ্ছে, অশ্বিনি বৈষ্ণব কি বালেশ্বরের ঘটনার দায় নেবেন?
এদিকে দুর্ঘটনার পরই একাধিক হেল্পলাইন নম্বর চালু করা হয়েছে। হাওড়ার হেল্পলাইন নম্বর - ০৩৩ ২৬৩৮২২১৭, খড়গপুরের হেল্পলাইন নম্বর - ৮৯৭২০৭৩৯২৫, ৯৩৩২৩৯২৩৩৯, বালেশ্বরের হেল্পলাইন নম্বর - ৮২৪৯৫৯১৫৫৯, ৭৯৭৮৪১৮৩২২, শালিমারের হেল্পলাইন নম্বর - ৯৯০৩৩৭০৭৪৬, চেন্নাইয়ের হেল্পলাইন নম্বর - ০৪৪ ২৫৩৩০৯৫২/০৪৪-২৫৩৩০৯৫৩/০৪৪-২৫৩৫৪৭৭১, ভদ্রক- ৮৪৫৫৮৮৯৯০০, কেওনঝড় রোড- ৮৪৫৫৮৮৯৯০৬, কটক- ৮৪৫৫৮৮৯৯১৭, ভুবনেশ্বর- ৮৪৫৫৮৮৯৯২২, খুরদা রোড- ৬৩৭০১০৮০৪৬।