কাশ্মীরে মানব ঢাল নিয়ে সেনাপ্রধানের মন্তব্যে জোর বিতর্ক

কাশ্মীরে মানব ঢাল নিয়ে সেনাপ্রধানের মন্তব্যে জোর বিতর্ক।  মানবাধিকার লঙ্ঘন আর দমনমূলক শাসনের অভিযোগ এনে সরব বিরোধীরা। আরেক পক্ষের মতে, বিপিন রাওয়াতের মন্তব্যে বিতর্কের কিছু নেই। কারণ জঙ্গিরা যেখানে মানবাধিকারকে ঢাল করে মানুষ মারছে, সেখানে সেনার মানব ঢাল ব্যবহারে কোনও দোষ দেখছেন না তাঁরা।

Updated By: May 29, 2017, 08:33 PM IST
কাশ্মীরে মানব ঢাল নিয়ে সেনাপ্রধানের মন্তব্যে জোর বিতর্ক

ওয়েব ডেস্ক: কাশ্মীরে মানব ঢাল নিয়ে সেনাপ্রধানের মন্তব্যে জোর বিতর্ক।  মানবাধিকার লঙ্ঘন আর দমনমূলক শাসনের অভিযোগ এনে সরব বিরোধীরা। আরেক পক্ষের মতে, বিপিন রাওয়াতের মন্তব্যে বিতর্কের কিছু নেই। কারণ জঙ্গিরা যেখানে মানবাধিকারকে ঢাল করে মানুষ মারছে, সেখানে সেনার মানব ঢাল ব্যবহারে কোনও দোষ দেখছেন না তাঁরা।

বিতর্ক তো মিটছেই না। উল্টে আগুনে ঘি পড়েই চলেছে। এবার বিতর্ক আরও জোরদার খোদ সেনাপ্রধানের মন্তব্যে। বিপিন রাওয়াতের সাফ কথা, জিপে কাশ্মীরী যুবককে বাঁধা কোনও ভুল কাজ হয়নি। সেনাপ্রধানের মন্তব্য, কাশ্মীরে ছায়াযুদ্ধ চলছে। আর ছায়াযুদ্ধ মানেই নোংরা যুদ্ধ।  নোংরা যুদ্ধের মোকাবিলায় উদ্ভাবনী ক্ষমতাই কাজে লাগাতে হবে।

কাশ্মীরের মতো স্পর্শকাতর বিষয়ে সেনাপ্রধানের এমন মন্তব্যে সরব বিরোধীরা। কঠিন পরিস্থিতির শিকল কাটতে, কোন যুক্তিতে একজনের মানবাধিকার লঙ্ঘন করা যায়? এই প্রশ্ন তুলে সমালোচনায় সরব হয়েছেন তাঁরা।

সেনাপ্রধান কিন্তু নিজের বক্তব্যে ভুল দেখছেন না। তাঁর যুক্তি, সেনাদের লক্ষ করে পাথর ছোড়া হচ্ছে। ছোড়া হচ্ছে পেট্রোল বোমা। নোংরা যুদ্ধের এমন আবহে শুধু অপেক্ষা করো আর মরো, প্রধান হিসেবে এমন নির্দেশ তিনি জওয়ানদের দিতে পারেন না।

কাশ্মীরে কতটা নোংরা যুদ্ধ সেনাকে লড়তে হচ্ছে, সেটা বোঝাতে গিয়ে সেনাপ্রধান বলেন, ""(ওরা) পাথরের বদলে সেনাকে গুলি ছুড়লে ভাল হতো! তাহলে আমরা যা চাইছি, তা আরও সহজে করতে পারতাম!''

বিপিন রাওয়াতের এই মন্তব্যে নিয়ে শোরগোল উঠেছে।  সমালোচকদের মতে, কাশ্মীরে এখন এমনিতেই আইন-শৃঙ্খলার শোচনীয় অবস্থা। হিংসা দীর্ণ উপত্যকায় কি তাহলে চরম সংঘাতের রাস্তাতেই হাঁটতে চাইছে সেনা?

কাউন্টার যাঁরা করছেন, তাঁরা বলছেন, কাশ্মীরে মানুষের ভিড়কে ঢাল করে সন্ত্রাস চালিয়ে পালাচ্ছে জঙ্গিরা। জঙ্গি হানায় হুটহাট প্রাণ যাচ্ছে জওয়ানদের। ব্যাঙ্ক লুঠ, স্কুল পোড়ানো, আইসিসের পতাকা ওড়ানো সব ধরনের অরাজকতা চলছে উপত্যকায়। আক্রমণকারীরা ভয় পেত একমাত্র ছররাকে। সেই ছররার গুলি বন্ধ হয়ে যাওয়ার পর আরও বেশি করে আক্রমণের মুখে পড়ছে বাহিনী। এমন কঠিন পরিস্থিতিতে উর্দির নীচে যাঁরা কাজ করছেন, তাঁরাও রক্ত মাংসের মানুষ। তাঁদেরও মানবাধিকার আছে।

বিরুদ্ধপক্ষ বলছে, বিপদ থেকে সাধারণ মানুষকে রক্ষা করা যাঁদের দায়িত্ব, তাঁরা কীভাবে সাধারণ নাগরিককে বিপদের মুখে বাজি ধরতে পারেন! তাই বিতর্ক চলছে, চলবে।

.