সংসদে বাদল অধিবেশনের আগে আসছে না তেলেঙ্গানা বিল
সংসদের বাদল অধিবেশনে আসছে না তেলেঙ্গানা বিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিণ্ডে আজ এ কথা জানিয়েছেন। তবে, ছ-মাসের মধ্যে তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে তেলেঙ্গানার ঘোষণায় কংগ্রেস রাজনৈতিক লাভ কুড়োনোর আশা করলেও দলে ভাঙন অব্যাহত। তেলেঙ্গানার বিরোধিতায় আজ অন্ধ্রপ্রদেশের ন-জন দলীয় বিধায়ক ও বিধান পরিষদের তিন জন সদস্য ইস্তফা দিয়েছেন।
সংসদের বাদল অধিবেশনে আসছে না তেলেঙ্গানা বিল। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিণ্ডে আজ এ কথা জানিয়েছেন। তবে, ছ-মাসের মধ্যে তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠন করা হবে বলে আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। লোকসভা নির্বাচনের আগে তেলেঙ্গানার ঘোষণায় কংগ্রেস রাজনৈতিক লাভ কুড়োনোর আশা করলেও দলে ভাঙন অব্যাহত।
তেলেঙ্গানার বিরোধিতায় আজ অন্ধ্রপ্রদেশের ন-জন দলীয় বিধায়ক ও বিধান পরিষদের তিন জন সদস্য ইস্তফা দিয়েছেন।
ভারতের ২৯তম রাজ্য হিসাবে তেলেঙ্গানার ঘোষণা কংগ্রেসের জন্য কিছু অপ্রীতিকর সমস্যা সৃষ্টি করবে তা জানাই ছিল। কংগ্রেস নেতৃত্বও জানিয়েছিলেন তেলেঙ্গানার পৃথিকীকরণের সিদ্ধান্ত তাঁদের কাছে বেশ কঠিন ছিল। কিন্তু ঠিক কতটা কঠিন হতে চলেছে বাস্তবিক পরিস্থিতি তার আঁচ পেতে শুরু করছে কংগ্রেস। সূত্রে খবর রাজ্য ভাগের প্রতিবাদে মুখ্যমন্ত্রী কিরণ কুমার রেড্ডির মন্ত্রীসভার ১৪জন মন্ত্রী আজ সন্ধেতেই ইস্তফা দিতে চলেছেন। ইস্তফা দেবেন কংগ্রেসের ৩০জন বিধায়কও। শুধু তাই নয়, রাস্তায় নেমে রাজ্য ভাগের হুমকিও দিয়েছেন মন্ত্রীরা।
রাজ্য ৪০জনের মধ্যে ১৪জন ইস্তফা দিলে রাজ্যপাল যেকোনও দিন কিরণ কুমার রেড্ডিকে সংখ্যা গরিষ্ঠতা প্রমাণের জন্য ডাকতে পারেন। তার আগে অবশ্য গণ ইস্তফার ফলে প্রাশাসনিক দিক দিয়ে প্রভূত সমস্যায় পড়বেন কিরণ কুমার রেড্ডি।
পাঁচ দশকের আন্দোলনের শেষে স্বতন্ত্র রাজ্য রূপে তেলেঙ্গানার আত্মপ্রকাশকে তেলেঙ্গানা অঞ্চলের কংগ্রেসরই নেতা, মন্ত্রীরা স্বাগত জানিয়েছেন। কিন্তু, রাজ্য ভাগের তীব্র বিরোধিতা করেছেন উপকূলীয় ও রায়লসীমা অঞ্চলের কংগ্রেস নেতা-মন্ত্রীরা।
অন্যদিকে রাজ্যভাগের এই সিদ্ধান্ত ঘিরে দ্বিধায় রয়েছেন কংগ্রেসের একটা বড় অংশও। তেলেঙ্গানা রাজ্য গঠিত হলে লোকসভার ১৯টি আসন থাকবে। বিধানসভায় থাকবে ১১৯টি আসন। এই অংশগুলির সমর্থন কংগ্রেস পেলেও উপকূলীয় অন্ধ্র ও রায়ালসীমার মন্ত্রীরা ইস্তফা দিলে কী হবে তা নিয়েও ভাবছে কংগ্রেসের একাংশ। কারণ , উপকূলীয় অন্ধ্র ও রায়ালসীমায় ওয়াইএসআর কংগ্রেসের প্রভাব রয়েছে। এই পরিস্থিতিতে আজ সন্ধে সাতটায় রায়লসীমা ও উপকূলীয় অন্ধ্র থেকে আসা মন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন অন্ধ্রপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী কিরণকুমার রেড্ডি। রাজ্যভাগের সিদ্ধান্ত তাঁর কাছেও বেদনাদায়ক হলেও রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে আইনশৃঙ্খলা বজায় রাখা ও রাজ্যভাগ সংক্রান্ত প্রয়োজনীয় দায়িত্ব তিনি পালন করবেন বলে জানিয়েছেন কিরণ রেড্ডি। আলোচ্যসূচিতে না থাকায় প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে আজকের কেন্দ্রীয় মন্ত্রিসভার বৈঠকে তেলেঙ্গানার বিষয়টি উঠবে না বলেই স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক সূত্রের খবর।