৩৫ টাকা ভাড়া দিতে অপারগ কোটিপতি কংগ্রেস, সঙ্কটে ঐতিহাসিক পার্টি অফিস
এমন 'সুমাহান ঐতিহ্যশালী' অফিসটি তাই কোনও মতেই হারাতে চান না বর্তমান স্থানীয় নেতৃত্ব। এজন্য দলীয় সদস্যদের থেকে চাঁদা তোলার ব্যবস্থাও করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
নিজস্ব প্রতিবেদন: অ্যাসোসিয়েশন ফর ডেমোক্রেটিক রিফর্ম (এডিআর)-এর রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০১৬-১৭ অর্থবর্ষে কংগ্রেস দলের বার্ষিক আয় ২২৫.৩৬ কোটি টাকা। অথচ, সেই দলই 'অর্থাভাবে' মাত্র ৩৫ টাকা মাসিক ভাড়া মেটাতে পারছে না। জানা যাচ্ছে, সেজন্যই অস্তিত্বের সঙ্কটে পড়েছে এলাহাবাদে কংগ্রেসের ৮ দশকের ঐতিহাসিক পার্টি অফিসটি। সূত্রের খবর, দীর্ঘদিন ধরে ভাড়া জমতে জমতে এই মুহূর্তে মোট বকেয়ার পরিমাণ ৫৫ হাজার টাকা। বাড়ির মালিকের স্পষ্ট কথা, ভাড়া না মেটাতে পারলে, অপিস ছেড়ে দিক কংগ্রেস।
৩৪ নম্বর জওহর স্কোয়ার। সাবেক এলাহাবাদ শহরের এই ঠিকানাতেই এক সময় বৈঠকে বসতেন দেশের প্রথম সারির স্বাধীনতা সংগ্রামীরা। কমলা নেহেরু, পিডি ট্যান্ডন থেকে ইন্দিরা গান্ধী- বহু শীর্ষ কংগ্রেস নেতা-নেত্রীর অকাট্য যুক্তি ও কৌশল রচনার মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছে হাজার তিনেক বর্গফুটের এই পার্টি অফিস। এমন 'সুমাহান ঐতিহ্যশালী' অফিসটি তাই কোনও মতেই হারাতে চান না বর্তমান স্থানীয় নেতৃত্ব। এজন্য দলীয় সদস্যদের থেকে চাঁদা তোলার ব্যবস্থাও করেছে কংগ্রেস নেতৃত্ব।
বাড়ির মালিক রাজ কুমার সারস্বত ভাড়া দাবি করলেও উত্তরপ্রদেশ কংগ্রেস কমিটির তরফে কিশোর বর্ষনে আবার বলছেন, ভাড়া নিয়ে মালিকের সঙ্গে বিরোধের জন্যই টাকা মেটানো সম্ভব হচ্ছে না। সূত্রের খবর, অফিসটি কে বাঁচানোর আর্জি নিয়ে ইতিমধ্যে রাহুল গান্ধী ও প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজ বব্বরকে চিঠি পাঠিয়েছেন কংগ্রেসকর্মীরা। তবে, সে চিঠির এখনও কোনও উত্তর মেলেনি। আরও পড়ুন- তীব্র আক্রমণের পর লোকসভায় প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরলেন রাহুল গান্ধী