মোদী-শাহের প্ররোচনায় সরকার ফেলে দেওয়ার চেষ্টা চলছে: সিদ্দারামাইয়া
রবিবার জোট সরকারের ১১ বিধায়ক ইস্তফা দিতে যান স্পিকারের সচিবালয়ে। সে সময় স্পিকার ছুটিতে ছিলেন। আজই ওই বিধায়কের ইস্তফাপত্র খতিয়ে দেখবেন স্পিকার
নিজস্ব প্রতিবেদন: কর্নাটকের পরিস্থিতি চরমে। কংগ্রেস নেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া বিজেপিকে কাঠগড়ায় দাঁড় করিয়ে অভিযোগ করেন, এমন অস্থিরতা তৈরির পিছনে হাত রয়েছে অমিত শাহ এবং নরেন্দ্র মোদীর। তাঁদের প্ররোচনায় সরকারকে পঙ্গু করে দেওয়া হচ্ছে। গণতন্ত্র এবং মানুষের রায়ের বিরুদ্ধাচার করছে তারা।
সিদ্দারামাইয়ার আরও বিস্ফোরক অভিযোগ, টাকা, ক্ষমতা, মন্ত্রিত্ব দেওয়ার লোভ দেখিয়ে ভাঙন ধরাচ্ছে সরকারে। বিজেপির এমন পদক্ষেপ যে নতুন নয় তা মনে করিয়ে কংগ্রেস নেতা বলেন, সরকারকে এভাবে পঙ্গু করা অভ্যেসে দাঁড়িয়েছে বিজেপির। তাদের থেকে কংগ্রেস এবং জেডিএস জোট বেশি শতাংশ মানুষের রায়ে সরকারে এসেছে। স্পিকারের কাছে অনুরোধ জানান, দলত্যাগ-বিরোধী আইন এনে কড়া পদক্ষেপ করা হোক। এমনকি ৬ বছর ভোটে লড়ার থেকে নির্বাসিত করা হোক অভিযুক্তদের।
রবিবার জোট সরকারের ১১ বিধায়ক ইস্তফা দিতে যান স্পিকারের সচিবালয়ে। সে সময় স্পিকার ছুটিতে ছিলেন। আজই ওই বিধায়কের ইস্তফাপত্র খতিয়ে দেখবেন স্পিকার। প্রত্যেককে ডেকে জানা হবে তাঁদের বলপূর্বক ইস্তফা দেওয়া হচ্ছে কিনা নাকি নিজের ইচ্ছায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। যদি সন্তোষজনক উত্তর বিধায়কের কাছ থেকে পান, তাহলে তাঁদের ইস্তফাপত্র গ্রহণ করবেন স্পিকার। তাহলে, কংগ্রেস-জেডিস জোট সরকারের আসন সংখ্যা বিজেপির থেকেও কমে যাবে। সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারাবে তারা।
আরও পড়ুন- অধীরকে পাবলিক অ্যাকাউন্ট কমিটির চেয়ারম্যান করার প্রস্তাব কংগ্রেসের
বিক্ষুব্ধ বিধায়কদের ‘ঘরে ফেরাতে’ মুখ্যমন্ত্রী কুমারস্বামী ছাড়া সব মন্ত্রী ইস্তফা দিয়েছেন। তাদের শরিক দুই নির্দল বিধায়ক এইচ নাগেশ ও আর শঙ্কর মন্ত্রীপদ ছেড়ে সরকার থেকে সমর্থন তুলে নিয়েছেন। জানা যাচ্ছে বিজেপকে সমর্থন করতে পারেন তাঁরা। এর ফলে জোট সরকারের কাছে ১১৬ বিধায়ক হাতে রয়েছে। যদি আজ ওই ১৩ বিধায়কের ইস্তফা গৃহীত হয় তাহলে সেই সংখ্যা দাঁড়াবে ১০৩-এ। বিজেপির হাতে বিধায়ক ১০৫। ২ শরিক তাদের সঙ্গে থাকায় মোট বিধায়ক ১০৭। সেক্ষেত্রে ২২৪ আসনের ম্যাজিক ফিগারও ১১৩ থেকে কমে দাঁড়াবে ১০৫-এ। অর্থাত্ কুমারস্বামীর সিংহাসন যে কোনও সময় খোয়াতে হতে পারে।