অশান্ত অরুণাচল, মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খাণ্ডর ইস্তফার দাবি নিয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছে কংগ্রেস

প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে  ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছেন পেমা। আলটপকা মন্তব্য নয়, গুনে গুনে পা ফেলে পেমা বলছেন তদন্ত হবে। অরুণাচল প্রদেশের  অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খাণ্ডু

Updated By: Feb 25, 2019, 07:32 PM IST
অশান্ত অরুণাচল, মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খাণ্ডর ইস্তফার দাবি নিয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছে কংগ্রেস
ছবি-টুইটার

নিজস্ব প্রতিবেদন: অশান্তির আগুন খানিকটা স্তিমিত অরুণাচলে।  কিন্তু বিজেপিকে এত সহজে ছেড়ে দিতে রাজি নয় কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী পেমা খাণ্ডর ইস্তফার দাবি নিয়ে ঘুঁটি সাজাচ্ছে বিরোধী শিবির।

সোমবার নতুন করে কোনও অশান্তি হয়নি  অরুণাচল প্রদেশে।   এর মধ্যেই শুরু হয়ছে রাজনৈতিক আকচাআকচি।  কংগ্রেস প্রতিনিধি দল আলোচনার জন্য গিয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকে।  সরাসরি এই ঘটনার জন্য রাজ্য সরকারকে দায়ি করেছে কংগ্রেস। পিআরসি এখন গলার কাঁটা।  কোনও মতে দায় ঝেড়ে ফেলে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে মরিয়া হয়ে পথ খুঁজছে বিজেপি।  তবে মোক্ষম অস্ত্র হাতে পেয়ে পিছু হঠতে নারাজ কংগ্রেস। উত্তরপূর্বাঞ্চলে তৈরি হওয়া বিজেপির নতুন ভিত নাড়িয়ে দিতে অরুণাচলকেই হাতিয়ার করতে চাইছে হাত শিবির। দাবি একটাই ইস্তফা  দিন মুখ্যমন্ত্রী, উপমুখ্যমন্ত্রী ।

আরও পড়ুন- পাথর ছোড়ার ঘটনায় সেনার মানবাধিকার রক্ষায় সুপ্রিম কোর্টে মামলা, কেন্দ্র-কাশ্মীরকে নোটিস

বিপদ বুঝেছে বিজেপিও। তাই এখন নেতাদের মুখে একটাই কথা রাজনীতি নয়। পিআরসি বাতিলের কথা বারাবার ঘুরে ফিরে আসছে নেতাদের মুখে। যে অস্ত্র হাতিয়ার কর জাল ফেলেছিলেন পেমা খাণ্ড তাই এখন বুমেরাং। হাড়ে হাড়ে টের পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী , দশ কদম এগিয়ে তিনি বলছেন শুধু এখন কেন অদূরভবিষ্যতেও পিআরসি নৈবঃ নৈবঃ চঃ।

আরও পড়ুন- বফর্স থেকে হেলকপ্টার দুর্নীতি, সবেতেই জড়িয়ে একটি পরিবার, কংগ্রেসকে কটাক্ষ মোদীর

প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে  ষড়যন্ত্রের গন্ধ পেয়েছেন পেমা। আলটপকা মন্তব্য নয়, গুনে গুনে পা ফেলে পেমা বলছেন তদন্ত হবে। অরুণাচল প্রদেশের  অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি নিয়ে সর্বদলীয় বৈঠক ডাকলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী প্রেমা খাণ্ডু। একই সঙ্গে সাংবাদিক সম্মেলন করে তিনি জানিয়ে দেন যে পিআরসি নিয়ে গণ্ডগোল, সেই পিআরসি অদূরভবিষ্যতেও লাগু হবে না অরুণাচলে।

পিআরসির প্রতিবাদ জানিয়ে অরুনাচলের  ১৮টি সংগঠন হরতালের ডাক দেয়। শনিবার সকাল থেকেই হিংসা ছড়ায়। শনিবার রাতেই উপমুখ্যমন্ত্রীর বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। আগুন ধরানো হয় বনমন্ত্রীর বাড়িতে, ভাঙচুর হয় জেলা কমিশনারের বাড়ি। এই অবস্থায় পুলিসের গুলিতে একজনের মৃত্যু হয়েছে এই অভিযোগে  উত্তেজনা চরমে ওঠে। রবিবারও অগ্নিগর্ভ থাকে গোটা রাজ্য।  আন্দোলনকারীদের ইটের আঘাতে ৩৫ জন সাধারণ মানুষের সঙ্গে ২৪ জন পুলিস কর্মী আহত হন। ভাঙচুর হয় পঞ্চাশের বেশি গাড়ি। কার্ফু জারি হয় ইটানাগরে। সেনা নামে। এই অবস্থায় শান্তি বজায় রাখতে আবেদন মুখ্যমন্ত্রীর।

.