পরপর দু’বার প্রধান বিরোধী দলের যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ কংগ্রেস
একই সঙ্গে এবার লোকসভায় নতুন নেতা কে হবেন, সেটাও খুঁজতে হবে কংগ্রেসকে।
নিজস্ব প্রতিবেদন: আইনসভার সদস্য সংখ্যা যত, তার দশ শতাংশের বেশি আসন জিতলে তবে অর্জন করা যাবে বিরোধী দলের যোগ্যতা। এবার ভারতজুড়ে মোদী সুনামির জেরে সেই যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হল কংগ্রেস।
তবে এবারই প্রথম নয়। এর আগে ২০১৪ সালেও লোকসভায় প্রধান বিরোধী দলের মর্যাদা হারিয়েছিল রাহুল গান্ধীর দল। ফলে পর পর দু’বারই সাধারণ বিরোধী দল হয়েই পাঁচ বছর লোকসভায় থাকতে হবে কংগ্রেসকে।
আরও পড়ুন: রাহুল ধন্দে তবে, ইস্তফা দিলেন রাজ বব্বর-সহ কংগ্রেসের এক ঝাঁক কর্মী
২৬ জানুয়ারি, ১৯৫২ সাল থেকে ২০১৯ সাল পর্যন্ত লোকসভা ১১ জন বিরোধী দল নেতা পেয়েছে। এর মধ্যে কংগ্রেস ছ’বার বিরোধী আসনে বসেছে। এর মধ্যে পাঁচবার কংগ্রেস প্রধান বিরোধীদের মর্যাদা পেয়েছিল।
২০১৪ সালে প্রথমবার কংগ্রেস প্রধান বিরোধীদের যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হয়। এবারও তাই হল। ২০১৪ সালে ৪৪টি আসন পেয়েছিল কংগ্রেস। এবার অবশ্য আটটি আসন বেড়েছে কংগ্রেসের। রাহুল গান্ধীর দল এবার ৫২ জন সাংসদ নিয়ে লোকসভায় যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: হারের দায় মাথায় নিয়ে পদত্যাগ করলেন উত্তর প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি রাজ বব্বর
কিন্তু লোকসভায় প্রধান বিরোধী দলের যোগ্যতা অর্জনে প্রয়োজন ছিল ৫৪টি আসনের। কারণ, লোকসভার মোট আসন ৫৪৩। সেই হিসেবে লোকসভার ১০ শতাংশ আসন ৫৪। সেই সংখ্যা থেকে দু’টি আসন কম পেল কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: জোট না করার মাসুল! কারণ খুঁজতে শনিবার বসছে কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির বৈঠক
একই সঙ্গে এবার লোকসভায় নতুন নেতা কে হবেন, সেটাও খুঁজতে হবে কংগ্রেসকে। ২০১৪ সালে কংগ্রেসের লোকসভার নেতা ছিলেন মল্লিকার্জুন খাড়গে। এবার তিনিও হেরেছেন। দু’টি আসনে লড়াই করে কোনওরকমে মুখরক্ষা করেছেন রাহুল গান্ধী। তাই এবার লোকসভায় দলের মানরক্ষায় তিনিই কি দায়িত্ব নেবেন, সেই প্রশ্নের উত্তরই এখন খুঁজছে রাজনৈতিক মহল।