হড়পা বানে বিধ্বস্ত উত্তরকাশীর ৩ গ্রাম, কাদামাটি চাপা পড়ে মৃত কমপক্ষে ১৭
আহতদের চিকিত্সার জন্য দুন হাসপাতালে খোলা হয়েছে একটি আপাতকালীন বিভাগ। উত্তরকাশী থেকে সেখানেই আনা হচ্ছে আহতদের
নিজস্ব প্রতিবেদন: মেঘভাঙা বৃষ্টি থেকে তৈরি হল হড়পা বান। উত্তরাখণ্ডের উত্তরকাশীর একটি তহসিলে তাণ্ডব চালাল কাদামাটির স্রোত। চাপা পড়ে গেল কমপক্ষে ৩টি গ্রাম।
আরও পড়ুন-সোমবার থেকে রাজ্যজুড়ে শুরু ট্রাক ধর্মঘট, লাফিয়ে বাড়তে পারে জিনিসপত্রের দাম
রবিবার আচমকা ওই বানে এখনও পর্যন্ত ১৭ জনের মৃত্যু খবর পাওয়া যাচ্ছে। রাজ্যের বিপর্যয় মোকাবিলা দফতরের সচিব এস এ মুরুগেশন জানিয়েছেন, উত্তরকাশীর মোরি তহসিলে ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে হড়পা বানে।
Uttarakhand: Rescue operations underway in Uttarkashi's Mori tehsil following cloudburst in the area. pic.twitter.com/dm1rFNw9gi
— ANI (@ANI) August 19, 2019
#WATCH Tons river in Uttarkashi's Mori tehsil overflows following cloudburst in the area. Teams of ITBP, SDRF and NDRF engaged in rescue and evacuation. #Uttarakhand pic.twitter.com/fOpE6J30Kg
— ANI (@ANI) August 18, 2019
জলের তোড়ে নেমে আসে বিপুল পরিমাণ কাদা-পাথর। আর তাতেই চাপা পড়ে গিয়েছে আরাকোট, মাকুডি ও টিকোচি গ্রামের একটি বিরাট অংশ। গ্রামগুলির সঙ্গে হিমাচল প্রদেশের সংযোগকারী রাস্তা একেবারে ধুয়েমুছে সাফ। গ্রামের অঘধিকাংশ বাড়িই জলের তোড়ে নেমে গিয়েছে নীচে। ফলে উদ্ধারকাজে যথেষ্ট বেগ পেতে হচ্ছে ত্রাণকর্মীদের। জানিয়েছেন উত্তরকাশীর পুলিস সুপার পঙ্কজ ভাট।
Uttarakhand: Two persons airlifted from Arakot of Mori tehsil in Uttarkashi following cloudburst have been brought to Sahasradhara helipad in Dehradun. They are being shifted to Doon Hospital pic.twitter.com/tXXNkNSIsl
— ANI (@ANI) August 19, 2019
Dehradun: Emergency Wing at Doon Hospital prepared to take-up patients being brought from Mori tehsil of Uttarkashi. #Uttarakhand pic.twitter.com/GPCXQqqoe0
— ANI (@ANI) August 19, 2019
আরও পড়ুন-বিপদসীমার উপর দিয়ে বইছে যমুনার জল! জরুরি বৈঠকে কেজরীওয়াল
এদিকে, আহতদেক চিকিত্সার জন্য দুন হাসপাতালে খোলা হয়েছে একটি আপাতকালীন বিভাগ। উত্তরকাশী থেকে সেখানেই আনা হচ্ছে আহতদের। এদিকে আরও বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে আবহাওয়া দফতর। সেকথা মাথায় রেখে সোমবার উত্তরকাশীর সব স্কুলে ছুটি ঘোষণা করেছেন জেলা শাসক আশিষ চৌহান। উদ্ধারকাজের জন্য পাঠানো হয়েছে এনডিআরএফ, আটিবিপি ও এনডিআরএফ টিমকে।
অন্যদিকে, বিপদসীমার ওপর দিয়ে বইছে মোরি তহসিলে টঙ্ক নদী। ফলে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।