চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার, চিনা মহিলাকে জেরা করে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

দিল্লির ওই সাংবাদিক রাজীব শর্মার গ্রেফতার নিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর দিল্লি পুলিস জানায়, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিনা গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছেন রাজীব

Updated By: Oct 21, 2020, 05:36 PM IST
চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার, চিনা মহিলাকে জেরা করে বেরিয়ে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য
ফাইল ছবি

নিজস্ব প্রতিবেদন: গত ১৯ সেপ্টেম্বর চরবৃত্তির অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় দিল্লির ফ্রিলান্স সাংবাদিক রাজীব শর্মাকে। তার সঙ্গেই গ্রেফতার করা হয়েছিল এক চিনা মহিলা ও তার এক নেপালি সঙ্গীকে। তাদের জেরা করে বেরিয়ে এল গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

আরও পড়ুন-শক্তিশালী হচ্ছে বঙ্গোপসাগরের নিম্নচাপ, অকাল বর্ষণে ভাসবে গোটা পুজো

কুইং শি নামে ওই চিনা মহিলার ওপরে দায়িত্ব ছিল খোদ প্রধানমন্ত্রী দফতরের গোপন খবর চিনে পাচার করা। এছাড়াও কেন্দ্রের অন্যান্য মন্ত্রকের খবরও সংগ্রহ করতে বলা হয় তাকে। সংবাদমাধ্যম সূত্রে খবর, জেরায় কুইং শি স্বীকার করেছে ভারতের আমলাদের সম্পর্কেও বিভিন্ন খবর তাকে চিনে পাঠতে বলা হয়েছিল।

জি মিডিয়া সূত্রে খবর, কলকাতার এক প্রভাবশালী মহিলার সঙ্গে কুইং শি-র পরিচয় করিয়ে দেন  চিনা মহাবোধী মন্দিরের এক পুরোহিত। কলকাতার ওই মহিলা কুইং শি-কে বেশকিছু নথি দেন। তা ম্য়ান্ডারিনে অনুবাদ করে দিতে বলা হয় তাকে। সেই নথি চিনা কমিউনিস্ট পার্টির এক নেতার স্ত্রীর কাছে পাঠানোর কথা ছিল শি-র। এনিয়ে তদন্ত নেমে কলকাতার একাধিক ব্যক্তিকে জেরা করেছেন গোয়েন্দারা।

আরও পড়ুন-মণ্ডপে 'No Entry' বহাল, ঢাকিদের ঢুকতে দেওয়া হবে কি মণ্ডপে?

উল্লেখ্য, দিল্লির ওই সাংবাদিক রাজীব শর্মার গ্রেফতার নিয়ে গত ১৯ সেপ্টেম্বর দিল্লি পুলিস জানায়, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভারতের প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত ও অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ তথ্য চিনা গোয়েন্দাদের হাতে তুলে দিয়েছেন রাজীব।  এর জন্য বিপুল টাকা লেনদেনও হয়েছিল। টানা চার দশক সাংবাদিকতা করছেন রাজীব। চিনের সরকারি সংবাদমাধ্যম গ্লোবাল টাইমসে নিবন্ধও লিখতেন তিনি।

পুলিসের তরফে আরও জানানো হয়, রাজীবের সঙ্গী ছিলেন এক চিনা মহিলা ও এক নেপালি নাগরিক। মহীপালপুরে এদের একটি কোম্পানি রয়েছে। সেখান থেকে তাঁরা ভারতে তৈরি ওষুধ চিনে সরবারহ করতেন। তথ্য সরবারহ করার জন্য টাকা আসত এজেন্টের মাধ্যমে। তদন্তে উঠে এসেছে, ওইসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সরবারহ করার জন্য গত ১ বছরে প্রায় ৪০ লাখ টাকার লেনদেন হয়েছে।

.