এক নয়, ৭ বছর চাঁদের কক্ষপথে থাকবে অরবিটার, মিশন ৯০ থেকে ৯৫% সফল: ইসরো
শনিবার মধ্যরাতে চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার দূরে ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হয় ইসরোর।
নিজস্ব প্রতিবেদন: এক নয়, ৭ বছর ধরে চাঁদের কক্ষপথে ঘুরে ছবি পাঠাবে চন্দ্রযান ২-এর অরবিটার। বিবৃতি দিয়ে জানাল ইসরো। একইসঙ্গে ভারতের মহাকাশ গবেষণা সংস্থা জানিয়ে দিল, এখনও পর্যন্ত চন্দ্রাভিযানের উদ্দেশ্য ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ সফল।
শনিবার মধ্যরাতে চাঁদের মাটি থেকে ২.১ কিলোমিটার দূরে ল্যান্ডার বিক্রমের সঙ্গে যোগাযোগ ছিন্ন হয় ইসরোর। কিন্তু চন্দ্রাভিযান ব্যর্থ নয়। অরবিটারটি এখনও রয়েছে চাঁদের কক্ষপথে। চাঁদের কক্ষপথে থেকে ছবি পাঠাবে সেটি। ইসরোর বিবৃতি দিয়ে জানিয়েছে, চন্দ্রযান ২ অত্যন্ত জটিল অভিযান। বিগত অভিযানের চেয়ে প্রযুক্তিগতভাবে অনেকখানি এগিয়ে। চাঁদের দক্ষিণ মেরুর অভিযানে কাজে লাগানো হয়েছিল অরবিটার, ল্যান্ডার ও রোভার।
ইসরো আরও জানিয়েছে, চলতিবছর ২২ জুলাই উতক্ষেপণ হয় চন্দ্রযান ২। একের পর এক ধাপ পার করে প্রত্যাশা তৈরি করেছে। ইসরোর অভিযানের তাকিয়ে দিকে ছিল শুধু ভারত নয়, গোটা বিশ্ব। শুধুমাত্র চাঁদের একটা অঞ্চল নয়, বরং ভূপৃষ্ঠ ও আবহাওয়া পর্যালোচনা করা হবে একটাই অভিযানে। এজন্যই এটা আলাদা। অরবিটারের ক্যামেরাটি হাই রেজলুশনের (০.৩এম)। চন্দ্র অভিযানে এর আগে কেউ এমন শক্তিশালী ক্যামেরা ব্যবহার করেনি। অরবিটারের আয়ু ১ বছরের পরিকল্পনা করা হয়েছিল। কিন্তু সেটা পরে বাড়িয়ে করা হয়েছে ৭ বছর। ল্যান্ডার বিক্রমের অবতরণে আধুনিক প্রযুক্তি ও সেন্সরের সাহায্য নেওয়া হয়েছে। অভিযানের প্রতিটি ধাপের পর্যালোচনা করেছে ইসরো। কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের ৯০ থেকে ৯৫ শতাংশ সম্পূর্ণ হয়েছে। চন্দ্র বিজ্ঞানের উন্নতিতে ব্যাপক সাহায্য করবে।
#Chandrayaan2 mission was a highly complex mission, which represented a significant technological leap compared to the previous missions of #ISRO to explore the unexplored south pole of the Moon.
For more updates please visit https://t.co/4vIrztVnng
— ISRO (@isro) September 7, 2019
প্রসঙ্গত, শনিবার মধ্যরাতে গোটা দেশের আশা-ভরসা হয়েছিল ইসরো। পূর্ব পরিকল্পনা মতো শনিবার বিক্রমের অবতরণের প্রক্রিয়া শুরু হয় রাত ১.৩৮ মিনিটে। সেকেন্ডে ১.৮ কিলোমিটার থেকে যানের গতিবেগ কমিয়ে আনা শুরু হয় শূন্যে। রাত ২.২০ মিনিটে ইসরোর চেয়ারম্যান কে শিবন জানান, চন্দ্রপৃষ্ঠ থেকে ২.১ কিলোমিটার পর্যন্ত স্বাভাবিকভাবে চলছিল বিক্রমের অবতরণ প্রক্রিয়া। তার পর যানের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। তথ্য বিশ্লেষণ করে কী হয়েছে বলা সম্ভব।
বলে রাখি, চন্দ্রযান মিশনে খরচ পড়েছে ১৪০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ওই একই ধরনের অভিযান করেছিল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। অ্যাপোলো অভিযানে খরচ পড়েছিল ১০০ বিলিয়ন। ইসরোর চেয়ে কয়েক গুণ বেশি।
আরও পড়ুন- মুখ্যমন্ত্রী বাগড়া দেওয়ায় ভারতের চন্দ্রাভিযান কেঁচে গেল: দিলীপ ঘোষ