ভোট আসে ভোট যায়, উৎসব কিম্বা শোকে চম্বলে এখনও গর্জে ওঠে বন্দুক, ২৪ ঘণ্টার বিশেষ প্রতিবেদন

চম্বলে ডাকু নেই। কিন্তু বন্দুক আছে। বেহড়ে কান পাতলেই শোনা যায় গুলির শব্দ। আনন্দ উত্সবে কিম্বা শোকেও গর্জে ওঠে বন্দুক। সত্যি কী চম্বল থেকে বিদায় নিয়েছে ফুলন দেবী কিম্বা বিক্রম সিংরা? ডাকুদের গ্রাম থেকে ২৪ ঘণ্টার বিশেষ প্রতিবেদন।

Updated By: Nov 23, 2013, 06:15 PM IST

চম্বলে ডাকু নেই। কিন্তু বন্দুক আছে। বেহড়ে কান পাতলেই শোনা যায় গুলির শব্দ। আনন্দ উত্সবে কিম্বা শোকেও গর্জে ওঠে বন্দুক। সত্যি কী চম্বল থেকে বিদায় নিয়েছে ফুলন দেবী কিম্বা বিক্রম সিংরা? ডাকুদের গ্রাম থেকে ২৪ ঘণ্টার বিশেষ প্রতিবেদন।
আজ থেকে কয়েকবছর আগেও পান সিং তোমড়রা দাপিয়ে বেড়াত চম্বলের বেহড়।
পুলিসের দাবি এখন আর চম্বলে ডাকু নেই। কিন্তু রয়েছে অস্ত্র ভাণ্ডার। নির্বাচনের আগে এই এলাকা থেকে ২৭ হাজার বন্দুক জমা পড়েছে পুলিসের ঘরে। এতো গেল লাইসেন্সধারী বন্দুকের সংখ্যা।  লাইসেন্স নেই এমন বন্দুক কত? চম্বলে ঘুরতে ঘুরতে এমন অনেক দৃশ্য দেখেই রীতিমতো চমকে উঠতে হয়।
 
কিন্তু গ্রামে ডাকু না থাকলে এত অস্ত্র কেন? কেনই বা সামান্য গণ্ডগোলেও বেরিয়ে পড়ে অস্ত্র?
 
আসলে সরকারের খাতায় আর নেতাদের ভাষণে চম্বল শান্ত হলেও, আদতে কিন্তু বদলায়নি চম্বলের ছবি।
ঠাকুরদের বিরুদ্ধে হাতে অস্ত্র তুলে নিয়েছিলেন ফুলন দেবীরা। পুলিসের বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে বাগি হয়েছিলেন পান সিং তোমড়রা।আর এখনও গ্রাম জুড়ে রয়েছে পুলিসের অত্যাচার। না খেতে পাওয়ার যন্ত্রণা।
এটাই হল চম্বলের বাস্তব ছবি। ভোট আসে, ভোট যায়, কিন্তু চম্বল থেকে যায় একই জায়গায়। অনাহার,দারিদ্র্য আর বঞ্চনার অন্ধকারে।

.