Chandigarh Mayor Elections: 'গণতন্ত্রকে খুন হতে দিতে পারি না', চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনে বিজেপির জয় নিয়ে বিস্ফোরক সুপ্রিম কোর্ট
Chandigarh Mayor Elections: আপের দাবি, মোট ৮টি ব্যালট বাতিল করে দেওয়া হয়েছে। ওইসব ব্যালটে আপ-এর পক্ষে ভোট পড়েছিল। তাই ফের বোট করাতে হবে..
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: চণ্ডীগড় মেয়র নির্বাচনে বড় ধাক্কা খেল বিজেপি। ওই নির্বাচনের ফলাফলের বিরুদ্ধে করা মামলায় আজ সুপ্রিম কোর্টের মন্তব্য, গণতন্ত্রকে খুন হতে দিতে পারে না আদালত। আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি ওই মামলার শুনানি হবে। তার আগে সোমবার বিকেল পাঁচাটার মধ্য়ে মেয়র নির্বাচনের সব রেকর্ড সংরক্ষণ করতে হবে।
আরও পড়ুন-লোকসভা ভোটে কত আসন পাবে বিজেপি, সংসদেই ঘোষণা করে দিলেন মোদী
গতমাসে চণ্ডীগড়ে মেয়র নির্বাচনে বিজেপির কাছে পরাজিত হয় আম আদমি পার্টি। ভোটের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পরপরই ভোটের রিগিংয়ের অভিযোগ তোলে আপ। অভিযোগ করা হয় খোদ প্রিসাইডিং অফিসার ব্যালট পেপার ট্যাম্পারিং করেছেন। গণনার সময় ৮টি ব্যালট বাতিল করা হয়। ওই আটটি ভোটই আপ-কংগ্রসে জোটকে ক্ষমতা থেকে ছিটকে দেয়। নির্বাচনে জালিয়াতির অভিযোগ তুলে দিল্লি ও চণ্ডীগড়ে বিক্ষোভ দেখায় আপ। তার পরেই তারা সুপ্রিম কোর্টের দরজায় গিয়ে হাজির হয়। তারা দাবি করে, খোদ রিটার্নিং অফিসার অনিল মাসি ব্য়ালট সরিয়ে ফেলছেন। ক্য়ামেরায় তা ধরা পড়েছে।
আপ সাংসদ রাঘব চাড্ডা দাবি করেন, যে ৮টি ব্যালটকে বাতিল করা হয়েছে তা আপের। ওইসব ভোট গণনা করা হলে আপ জয়ী হয়ে বেরিয়ে আসতো। অন্যদিকে, কংগ্রেসের দাবি, বিজেপি কর্মীরা ব্যালট ছিঁড়েছে। পাশাপাশি, তারা কংগ্রেস এজেন্টদের বুথে বসতেই দেয়নি।
এদিন শুনানিতে সুপ্রিম কোর্চের প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড় বলেন, রিটার্নিং অফিসার যা করেছেন তা গণতন্ত্রণের হত্যা ছাড়া আর কিছুই নয়। ভিডিয়ো ফুটেজে দেখা যাচ্ছে রিটার্নিং অফিসার ক্যামেরার দিকে তাকাচ্ছেন আর ব্যালট নষ্ট করে দিচ্ছেন। ওই অফিসারের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
সুপ্রিম কোর্টে ওই মামলা উঠেছিল প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়, বিচারপতি জে বি পাদ্রিওয়ালা ও বিচারপতি মনোজ মিশ্রর বেঞ্চে। মঙ্গলবার চণ্ডীগড় পুরসভা বাজেট পেশ হওয়ার কতা ছিল। সেই বাজেট পেশ স্থগিত করে দিয়েছে বেঞ্চ। বেঞ্চের তরফে জানিয়ে দেওয়া হয়েছে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বাজেট পেশ হবে না।
আম আদমি পার্টি তার আবেদনে বলেছেন, চণ্ডীগড়ের মেয়র নির্বাচন আবাধ ও সুষ্ঠু হয়নি। ব্যলটে জালিয়াতি করা হয়েছে। জিতিয়ে দেওয়া হয়েছে বিজেপিকে। তাই ওই নির্বাচনের ফলাফল বাতিল করা হোক, মেয়রকে দায়িত্ব নেওয়া থেকে বিরত করা হোক। ভোটে যে রিগিং হয়েছে তার তদন্ত হোক এবং একজন অবসরপ্রাপ্ত বিতারপতির তত্ত্বাবধানে ফের ভোট হোক। ওই ভোটে বিজেপির প্রার্থী মনোজ সোনকর আপ নেতা কুলদীপ কুমারকে ১৬-১২ ভোটে পরাজিত করেন। আটটি ভোট বাতিল করা হয়।
(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের App, Facebook, Whatsapp Channel, X (Twitter), Youtube, Instagram পেজ-চ্যানেল)