পিস্তল উঁচিয়ে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ঢুকে পড়ল যুবক, তোলপাড় শাহিনবাগ
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ওই হামলাকারীদের ধরে ফেলে সেখানকার মানুষজন। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি
নিজস্ব প্রতিবেদন: শহিনবাগের বিক্ষোভ নিয়ে একের পর এক কুমন্তব্য করে চলেছেন বিজেপি নেতারা। সোমবারই সিএএ বিক্ষোভকারীদের গুলি করে মারার নিদান দিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। কেউ ভয় দেখাচ্ছেন, শাহিনবাগের বিক্ষোভকারীরা ঘরে ঢুকে মহিলাদের ধর্ষণ করবে। এরকম এক আবহে মঙ্গলবার সন্ধেয় শহিনবাগের বিক্ষোভকারীদের মধ্যে পিস্তল নিয়ে ঢুকে পড়ল এক যুবক । বিক্ষোভকারীদের দিকে পিস্তল তাক করে ভয় দেখাতে থাকে সে। এমনটাই দাবি। কিন্তু তাঁকে ধরে ফেলে জনতা। এনিয়ে তুমুল হইচই শুরু হয়ে যায় বিক্ষোভস্থলে।
আরও পড়ুন-শাহিনবাগ, পার্কসার্কাসে এত ঠান্ডায় কেউ মরেও না! বিতর্কিত মন্তব্য দিলীপের
শাহিনবাগ বিক্ষোভের উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, অস্ত্রধারী এক ব্যক্তি শাহিনবাগে বিক্ষোভকারীদের মধ্যে ঢুকে পড়ে। আশঙ্কা করছি কোনও হিন্দুত্ববাদী গোষ্ঠী হামলা চালাতে পারে। সবাইকে এই বিক্ষোভে যোগ দেওয়ার আবেদন করছি। এতে এই ধরনের হামলা বন্ধ হবে।
#SOSShaheenBagh
Two persons (one brandishing a pistol) entered the area where the women of Shaheen Bagh were sitting.Threatened them to vacate the road or else "lashe girenge".
Citizens of Delhi. Shaheen Bagh needs you. Please mobilise.@IndiasMuslims @QutqutG @ImAbdy pic.twitter.com/LjRUZEPWLv
— Shaheen Bagh Official (@ShaheenBagh_) January 28, 2020
উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে আরও জানানো হয়েছে, ওই হামলাকারীদের ধরে ফেলে সেখানকার মানুষজন। পরিস্থিতি এখন স্বাভাবিক। তবে আমরা সতর্ক রয়েছি। দিল্লি বিধানসভা নির্বাচনের মুখে এরকম ঘটনা আরও হতে পারে। সবাইকে অনুরোধ শাহিনবাগে আসুন।
#SOSShaheenBagh UPDATE
Infiltrators have been caught and neutralised, and the situation is back to normal.However we are on alert for more such incidents today and in the coming days as we reach elections in Delhi. Please reach Shaheen Bagh and sites across Delhi in large numbers— Shaheen Bagh Official (@Shaheenbaghoff1) January 28, 2020
আরও পড়ুন-আগামিকাল সরস্বতী পুজোয় বৃষ্টি কি সত্যিই হবে? স্পষ্ট জানিয়ে দিল হাওয়া অফিস
উল্লেখ্য, মঙ্গলবারই গ্রেফতার করা হয়েছে জেএনইউয়ের ছাত্র শারজিল ইমামকে। বিহারে তাঁর গ্রামের বাড়ি থেকে তাঁকে গ্রেফতার করে পুলিস। গত ২৫ জানুয়ারি শাহিনবাগে সিএএ বিরোধী বিক্ষোভকারীদের সমাবেশে গিয়ে উত্তেজক বক্তব্য রাখেন শারজিল। অসমকে গোটা ভারত থেকে আলাদা করে দেওয়ার দাবিও জানান তিনি। এর পরেই দেশের ৬ রাজ্য তাঁর বিরুদ্ধে এফআইআর হয়। দেশদ্রোহিতার অভিযোগও হয়েছে তাঁর বিরুদ্ধে।