১৮ বছর পর ভারত-পাক সীমান্তে চাষবাস শুরু! ট্রাক্টর নিয়ে মাঠে নামলেন বিএসএফ জওয়ানরা

ভারত-পাক সীমান্তে কাঁটাতারের সামনে বিস্তীর্ণ জমিতে একটা সময় চাষবাস হত। কিন্তু সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় কৃষকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সেইসব জমিতে চাষবাস বন্ধ করার নির্দেশ দিতে বাধ্য হয়েছিল প্রশাসন। 

Edited By: সুমন মজুমদার | Updated By: Sep 16, 2020, 02:16 PM IST
১৮ বছর পর ভারত-পাক সীমান্তে চাষবাস শুরু! ট্রাক্টর নিয়ে মাঠে নামলেন বিএসএফ জওয়ানরা

নিজস্ব প্রতিবেদন- ভারত-পাক সীমান্তে তাঁদের জমি ছিল। সে অনেককাল আগের কথা। ১৮ বছর আগে সেই জমিতে সোনার ফসল ফলাতেন চাষীরা। তার পর থেকে সব বন্ধ। সেই জমি এখন দেখলে চেনা দায়! চাষীরাই হয়তো ভুলতে বসেছিলেন, ওই জমিতে তাঁরা একটা সময় চাষবাস করতেন! ১৮ বছর ধরে সেই জমিতে চাষবাস বন্ধ। ফলে জমি ঢেকে গিয়েছিল আগাছায়। একসময়ের চাষের জমি এখন আগাছার জঙ্গলে ভর্তি। তবে চাষীরা হয়তো এবার বর্ডার সিকিউউরিটি ফোর্স-এর জওয়ানদের প্রাণ খুলে আশীর্বাদ দেবেন। কারণ, বিএসএফ-এর জওয়ানরাই আগাছার জঙ্গল পরিষ্কার করে সেই জমি আবার চাষের যোগ্য করে তুলেছেন। ১৮ বছর পর আবার সেই সব জমিতে ট্রাক্টর চলল। সোনার ফসল ফলবে আবার।

ভারত-পাক সীমান্তে কাঁটাতারের সামনে বিস্তীর্ণ জমিতে একটা সময় চাষবাস হত। কিন্তু সীমান্তে উত্তেজনা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ভারতীয় কৃষকদের নিরাপত্তার কথা ভেবে সেইসব জমিতে চাষবাস বন্ধ করার নির্দেশ দিতে বাধ্য হয়েছিল প্রশাসন। তবে এখন পরিস্থিতি আগের থেকে ভাল। তাই বিএসএফ-এর ৯৭ ব্যাটলিয়ন-এর সিইও সত্যেন্দ্র গিরি জানিয়েছেন, এই বছর বিএসএফ ও প্রশাসন চাষের কাজ দেখবে। তবে যা ফসল উত্পাদন হবে তা জমির মালিকদের দেওয় হবে। পরের বছর থেকে চাষীরা নিজেরাই নিজেদের জমিতে আবার চাষাবাদ শুরু করবেন। চাষীদের নিরাপত্তার দিকও বিএসএফ দেখবে বলে আশ্বস্ত করেছেন তিনি। ইতিমধ্যে বিএসএফ জওয়ানরা বিস্তীর্ণ জমিতে ট্রাক্টর নামিয়ে দিয়েছেন। চাষের কাজও চলছে জোরকদমে।

আরও পড়ুন-  শেষমেশ পেরিয়ে গেল ৫০ লাখও! মোট করোনা আক্রান্তে বিশ্বে দ্বিতীয়, একদিনে প্রথম ভারত

বিএসফের একাধিক কর্তা ও স্থানীয় প্রশাসনের অনেকেই এদিন কাঁটাতারের কাছে গিয়ে কাজের হালহকিকত খোঁজ নিয়ে এসেছেন। ১৮ বছর পর জমিতে চাষের কাজ শুরু হওয়ার বেজায় খুশি কৃষকদের পরিবারের লোকজন। নতুন করে চাষের কাজ শুরু হওয়ায় তাঁদের আর্থিক অবস্থা কিছুটা ভাল হবে বলে আশা করা যাচ্ছে। বিএসএফ-এর তরফে জানানা হয়েছে, ২০০২ সালে কৃষকরা এই জমি যে অবস্থায় ছেড়ে যেতে বাধ্য হয়েছিলেন, তাঁদেরকে ঠিক সেভাবেইই জমি ফিরিয়ে দেওয়া হবে। 

.