Manipur Violence, BSF Jawan Suspended: মণিপুরে মহিলাকে যৌন হেনস্থা! ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই নির্বাসিত বিএসএফ জওয়ান
Manipur Violence, BSF Jawan Suspended: তফসিলি উপজাতির মর্যাদা পাওয়ার দাবিতে মেইতি সম্প্রদায়ের দাবির প্রতিবাদে ৩ মে পার্বত্য জেলাগুলিতে একটি 'উপজাতি সংহতি মার্চ' সংগঠিত হয়েছিল। এরপর মণিপুরে জাতপাতের হিংসা শুরু হয়েছিল। সেই ঘটনায় ১৬০ জনেরও বেশি লোক ইতমধ্যেই মারা গিয়েছেন।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: মণিপুরে ( Manipur) ফের একবার চমকে দেওয়া ঘটনা সামনে এল। বর্ডার সিকিউরিটি ফোর্সের (Border Sequrity Force) এক কনস্টেবলের বিরুদ্ধে উঠল মারাত্মক অভিযোগ। তাঁর বিরুদ্ধে এক মহিলার চুলের মুঠি ধরে শ্লীলতাহানির মতো মারাত্মক অভিযোগ উঠল। ইম্ফলের একটি ডিপার্টমেন্টাল স্টোরের সেই ভয় ধরানো ভিডিয়ো ভাইরাল হতেই সতীশ প্রসাদ নামে সেই জওয়ানকে নির্বাসিত করেছে বিএসএফ (BSF)।
মণিপুরে বিতর্কিত আফস্পা আইন (Armed Forces Special Powers Act) চালু থাকার সময় সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যটির মহিলাদের নির্বিচারে ধর্ষণ, শ্লীলতাহানি করার অভিযোগ উঠেছিল। মনোরমা থাঙ্গিয়ামকে খুন-ধর্ষণের প্রতিবাদে ২০০৪-এর ১৫ জুলাই মণিপুরে অসম রাইফেলসের সদর দফতরের গেটে নগ্ন শরীরে গিয়ে দাঁড়িয়েছিলেন ১২ মহিলা। তাঁদের সামনে সাদা কাপড়ের উপর লালকালিতে লেখা ছিল ‘ইন্ডিয়ান আর্মি রেপ আস।’ সেই প্রতিবাদ নাড়িয়ে দিয়েছিল গোটা দেশকে। সেই ঘটনার ২০ বছর পর জাতিদাঙ্গায় ফের বিধ্বস্ত মণিপুর (Manipur Unrest)। উত্তাল সেই রাজ্যে দুই মহিলাকে গণধর্ষণ, বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ভিডিও সম্প্রতি ছড়িয়ে পড়েছিল নেটমাধ্যমে, যা নিয়ে বর্তমানে উত্তাল সারা দেশ। তার মধ্যেই এক মহিলাকে প্রকাশ্যে শ্লীলতাহানি করতে দেখা গেছে এক বিএসএফ জওয়ানকে। সেই ঘটনার সিসিটিভি ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে ফের, যা দেখে স্তম্ভিত নেটিজেনরা।
ঘটনাটি ঘটেছে ২০ জুলাই। ইম্ফলে একটি পেট্রোল পাম্পের কাছে একটি মুদি দোকানে। অভিযুক্ত বিএএসএফ কর্মী নাম সতীশ প্রসাদ। দোকানের ভিতরে লাগানো একটি সিসিটিভি ক্যামেরার ফুটেজ ভাইরাল হয়েছে, যেখানে সতীশকে উর্দি পরে ইনসাস রাইফেল নিয়ে দেখা গিয়েছে। সেখানেই এক মহিলাকে অশালীনভাবে স্পর্শ করতে, তাঁর শ্লীলতাহানি করতে দেখা যায় তাঁকে। সেই ভিডিয়ো দাবানলের মতো ভাইরাল হতেই নড়েচড়ে বসেছে বিএসএফ-এর শীর্ষ আধিকারিকরা।
— TWADDLE (@THETWITSORM) July 24, 2023
বিএসএফ-এর এক আধিকারিক জানিয়েছেন, অভিযুক্তকে ইতিমধ্যেই বরখাস্ত করা হয়েছে। সেই জওয়াণের বিরুদ্ধে বিভাগীয় তদন্ত শুরু করা হয়েছে। ইতমধ্যেই মণিপুর পুলিস দাবি করেছে, যৌন নির্যাতনের ঘটনার ক্ষেত্রে বেশ কয়েকটি জিরো টলারেন্স এফআইআর দায়ের করা হয়েছে। তবে তদন্তে কোনও অগ্রগতি হয়নি। কারণ নির্যাতিতারা এখনও তদন্তে সহায়তা করেননি।
আরও পড়ুন: Manipur Violence: ফের জ্বলল স্কুল, প্রাণভয়ে পালাচ্ছেন মেইতেইরা! মণিপুর ইস্যুতে উত্তাল সংসদ
আরও পড়ুন: Manipur Violence: অত্যন্ত সংবেদনশীল বিষয়, বিভীষিকার মণিপুর নিয়ে সংসদের মুখ খুললেন শাহ
তফসিলি উপজাতির মর্যাদা পাওয়ার দাবিতে মেইতি সম্প্রদায়ের দাবির প্রতিবাদে ৩ মে পার্বত্য জেলাগুলিতে একটি 'উপজাতি সংহতি মার্চ' সংগঠিত হয়েছিল। এরপর মণিপুরে জাতপাতের হিংসা শুরু হয়েছিল। সেই ঘটনায় ১৬০ জনেরও বেশি লোক ইতমধ্যেই মারা গিয়েছেন।
এরমধ্যে আবার গত সপ্তাহে দুই মহিলাকে নগ্ন করে হাঁটানোর ভিডিয়ো প্রকাশ্যে আসার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই কড়া বার্তা দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী (Prime Minsiter Of India) নরেন্দ্র মোদী (Narendra Modi) থেকে মণিপুরের মুখ্যমন্ত্রী (Chief Minister Of Manipur) এন.বীরেন সিং (N Biren Singh)। তদন্তে নেমে সেই নারকীয় ঘটনার সঙ্গে জড়িয়ে থাকা সাত অভিযুক্তকে আগেই গ্রেফতার করেছিল পুলিস। এরমধ্যে মূল অভিযুক্ত হুইরেম হেরোদাস মেতেইয়ের (Huirem Herodas Meitei) বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দিয়েছিল উন্মত্ত জনতা। তাঁদের মধ্যে অধিকাংশই ছিলেন মহিলা। মূল অভিযুক্তের বাড়ি পুড়িয়ে দেওয়ার সেই ভিডিয়ো সংবাদসংস্থা পিটিআই টুইটারে পোস্ট করেছে, যা ইতমধ্যেই ভাইরাল।
পুলিসের তরফ থেকে জানা গিয়েছে, দুই মহিলাকে বিবস্ত্র করে হাঁটানোর ঘটনায় বৃহস্পতিবার সকালেই মূল অভিযুক্ত হুইরেম হেরোদাস মেতেই-কে গ্রেফতার করা হয়েছিল। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়োর ভিত্তিতেই ৩২ বছর বয়সি ওই যুবককে চিহ্নিত করে থৌবাল জেলা থেকে গ্রেফতার করা হয়। ভাইরাল হওয়া ভিডিয়ো-তে ৩২ বছর বয়সি হেরোদাসকে সবুজ রঙের টি-শার্ট পরে দেখা গিয়েছে। ভিডিয়োতে দেখা যাচ্ছে, হেরোদাস এই মহিলাকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে। হেরোদাসকে গ্রেফতার করার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই এখনও পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে, যার মধ্যে একজন কিশোর। আর এমন প্রেক্ষাপটে এবার মণিপুরের আর এক মহিলাকে যৌন হেনস্থা করার ঘটনা সামনে চলে এল।