Bombay HC: কোনও মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব মানেই যৌনতায় সম্মতি নয়: হাইকোর্ট
জোর করে ২২ বছরের যুবতীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক। এর জেরে ওই যুবতী অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েন। তারপরেও ওই যুবতীর সঙ্গে জোর করে যৌনতা।
নিজস্ব প্রতিবেদন: কোনও মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব (Friendship) মানেই যৌনতায় (Physical Relationship) সম্মতি নয়। বড় রায় দিল বোম্বে হাইকোর্ট (Bombay HC)।
বোম্বে হাইকোর্টের বিচারপতি ভারতী এইচ দাংরের সিঙ্গল বেঞ্চ এই রায় দেয়। বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে ধর্ষণের অভিযোগে একটি মামলা দায়ের হয়েছিল বোম্বে হাইকোর্টে। সেই মামলায় আগাম জামিনের আবেদন করেছিল মূল অভিযুক্ত। সেই মামলার শুনানিতেই বিচারপতি দাংরে তাঁর পর্যবেক্ষণে বলেন, কোনও মহিলার সঙ্গে বন্ধুত্ব হওয়া মানেই তিনি তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক স্থাপনে 'লাইসেন্স' দিয়ে দিচ্ছেন না। বন্ধুত্বের অজুহাতে কোনও মহিলার শরীরের উপর ঝাঁপিয়ে পড়া যায় না।
ঘটনাটি ঘটে ২০১৯-এর মার্চ থেকে ২০২২-এর এপ্রিল পর্যন্ত টানা ৩ বছর ধরে। অভিযোগ, ২০১৯-এর ১৭ মার্চ অভিযোগকারিণী ও অভিযুক্ত আশিষ চাকর এক কমন ফ্রেন্ডের বাড়িতে গিয়েছিলেন। সেখানেই অভিযুক্ত আশিষ চাকর জোর করে তাঁর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করেন। এককথায় তাঁকে ধর্ষণ করেন। অভিযোগকারিণী বার বার বাধা দিতে থাকলে, অভিযুক্ত আশিষ চাকর তাঁকে পছন্দ বলে জানায়। সেইসঙ্গে খুব তাড়াতাড়ি বিয়ের প্রতিশ্রুতিও দেয়।
তারপর থেকে লাগাতার জোর করে ২২ বছরের ওই যুবতীর সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক বজায় রেখে চলে অভিযুক্ত আশিষ চাকর। এর জেরে ওই যুবতী অন্তঃসত্ত্বাও হয়ে পড়েন। কিন্তু তারপরই তাঁকে বিয়ে করতে ও তাঁর সন্তানের দায়িত্ব নিতে অস্বীকার করে অভিযুক্ত। বদলে ওই যুবতীর চরিত্রের দিকে আঙুল তোলে। ওই যুবতীকে 'দুশ্চরিত্র' ও অন্য পুরুষের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ক রয়েছে বলেও দাবি করে। কিন্তু তারপরেও ওই যুবতীর সঙ্গে জোর করে যৌনতায় লিপ্ত হয় অভিযুক্ত।
এরপরই এই ঘটনায় পুলিসের দ্বারস্থ হয় নির্যাতিতা। ধর্ষণের অভিযোগ দায়ের করেন ২২ বছরের যুবতী। বোম্বে হাইকোর্টের সিঙ্গল বেঞ্চ সেই মামলার পরিপ্রেক্ষিতেই স্পষ্ট জানায়, "প্রত্যেক সম্পর্কে সব মহিলারই একটা সম্মান আছে। সেটা বন্ধুত্বই হোক বা কাউকে পছন্দ করাই হোক। কিন্তু বন্ধুত্বের দোহাই দিয়ে জোর করে কারও উপর ঝাঁপিয়ে পড়া যায় না। বিশেষত যখন সে যৌন সম্পর্কে আপত্তি জানাচ্ছে।"