নিজস্ব প্রতিবেদন: বিজেপি শাসিত রাজ্যের ভোটার তালিকা থেকে কাটা গেল বিজেপির সাংসদের নাম। তিনিও যেমন তেমন সাংসদ নন। স্বয়ং সচিদানন্দ হরি সাক্ষী ওরফে সাক্ষী মহারাজ। সাত সকালে লাইনে দাঁড়িয়েও ভোট দিতে পারলেন উন্নাওয়ের বিতর্কিত সাংসদ।
তিনি মুখ খুললেই বিতর্ক বাঁধে। বুধবার সকাল ৭.৪০ মিনিট নাগাদ গগন খেদার প্রাথমিক স্কুলে ভোট দিতে যান সাক্ষী মহারাজ। কিন্তু ভোটার তালিকায় তাঁর নাম না থাকায় ভোট না দিয়েই ফিরতে হয় তাঁকে। স্বাভাবিকভাবেই ঘটনায় ক্ষুব্ধ বিজেপি সাংসদ। তিনি বলেন, ''এটা আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র। সাংসদের নাম ভোটার তালিকা থেকে বাদ যাওয়ার পিছনে আর কোনও ব্যাখ্যা থাকতে পারে না।''
এই বিভ্রাটের জন্য আগের জমানায় নিযুক্ত সরকারি আমলাদের দায়ী করেছেন সাক্ষী মহারাজ। তাঁর কথায়, ''আমি ছাড়াও অন্যান্য বিজেপি সমর্থকদের নামও তালিকায় নেই। জেলাশাসক ও কয়েকজন আধিকারিক ছাড়া বাকি সরকারি কর্মীরা আগের সরকারের জমানায়। তাঁদের বদলি করা হয়নি। তাঁরাই এই কীর্তি করেছে।''
আরও পড়ুন- 'পদ্মাবতী'র মুক্তি স্থগিতের নেপথ্যে রাজনীতি? জোর জল্পনা
উত্তর প্রদেশের অতিরিক্ত নির্বাচন কমিশনার বেদপ্রকাশ বর্মা বলেন, ''এবিষয়ে আমরা তথ্য পেয়েছি। জেলাশাসককে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আপাতত শান্তিপূর্ণভাবে ভোটপ্রক্রিয়া সম্পন্ন করাই আমাদের লক্ষ্য।'' সূত্রের খবর, ঘটনায় বিএলও সূচী দীক্ষিতকে সাসপেন্ড করা হয়েছে।
ভোটার তালিকায় নাম নেই, ভোটদান না করেই ফিরলেন সাক্ষী মহারাজ