আশা জাগিয়েও মুকুলকে ঝুলিয়ে দিল বিজেপি
নিজস্ব প্রতিবেদন: মুকুল রায়কে নিয়ে দোলাচল কাটল না বিজেপির। আপাতত তাঁকে ঝুলিয়েই রাখল কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব। তাঁকে দলে যোগদান করাচ্ছে না বিজেপি। শনিবারের বৈঠক শেষে কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, ''গুজরাট ও হিমাচল প্রদেশের ভোটই আমাদের অগ্রাধিকার। পশ্চিমবঙ্গ নয়।''
এদিন মুকুলকে নিয়ে দিল্লিতে বৈঠকে বসেছিলেন অমিত শাহ ও বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতা কৈলাস বিজয়বর্গীয়। দীর্ঘ আলোচনার পরও চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছতে পারেননি অমিত। তাই আপাতত স্থগিত মুকুলের যোগদান।
তবে মুকুলের বিজেপিতে যোগদান যে সহজ হবে না তার ইঙ্গিত মিলেছিল শুক্রবারই। সেদিন এরাজ্যে আরএসএস-এর নেতাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিল পশ্চিমবঙ্গ রাজ্য বিজেপি নেতৃত্ব। সূত্রের খবর, ওই বৈঠকে মুকুলকে নিয়ে আপত্তি তোলেন সঙ্ঘের নেতারা। রাজ্য বিজেপি নেতৃত্বের একাংশেরও মুকুলে অনীহা জানান। মুকুলকে নিতে আগ্রহী নেতারা মনে করছেন, তৃণমূলের একদা সেকেন্ড ইন কম্যান্ডকে দলে নেওয়া হলে সংগঠন মজবুত হবে। বিরুদ্ধ অংশের মতে, মুকুলকে দলে নেওয়া হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে লড়াই দুর্বল হয়ে পড়বে। সারদা-নারদ নিয়ে শাসক দলের বিরুদ্ধে সুর চড়ানো যাবে না। একই কারণে আপত্তি আরএসএস-এর।
ইদানীং দিলীপ ঘোষের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির মাটি শক্ত হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে মুকুলকে নেওয়া ঝুঁকিপূর্ণ হবে বলেই মত বিজেপির একাংশের। তাদের মতে, এটা প্রায় আত্মহননের সামিল হবে। সূত্রের খবর, রাজ্য নেতৃত্ব ও আরএসএস-এর আশঙ্কাকে গুরুত্ব দিয়েছেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহ। আর তাই এখনই মুকুলকে নিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে চাননি তিনি। বরং আরও কিছুদিন অপেক্ষা করাই শ্রেয় বলে মনে করছেন তিনি। ফলে এই মুহূর্তে মুকুলের অবস্থা অনেকটা 'না ঘাট কা, না ঘর কা'।
আরও একটি সূত্র বলছে, নোয়াপাড়া, সবং ও উলুবেড়িয়ার উপনির্বাচনে মুকুলের সংগঠনের পরীক্ষা নিতে চাইছেন বিজেপির শীর্ষ নেতারা। উপনির্বাচনে ভাল ফল করলে তখন রাজ্য নেতাদের আপত্তির জোর কমবে।
আরও পড়ুন,রাজনৈতিক দলগুলিতে গণতন্ত্রের কথা বলে রাহুলকে খোঁচা মোদীর