পাইলটের ঘরওয়াপসি হতেই অবশেষে অনাস্থা আনছে বিজেপি
রাজস্থানে একটা সরু সুতোয় ঝুলছে গেহলট সরকার। রাজস্থানে সরকার গড়ার ম্যাজিক নাম্বার ১০০। গেহলটের নম্বরটা ১০১। অর্থাত্ মাত্র একটি ধাপে এগিয়ে তিনি।
নিজস্ব প্রতিবেদন : 'ঘর ওয়াপসি'র পর বৃহস্পতিবার প্রথম বৈঠকে বসছেন অশোক গেহলট-সচিন পাইলট। আর এদিনই মোক্ষম চাল দিল বিজেপি। কংগ্রেস সরকারের বিরুদ্ধে অবশেষে অনাস্থা প্রস্তাব আনতে চলেছে গেরুয়া শিবির।
এমনিতেই অনেকটাই পরে অনাস্থার পথে হাঁটল বিজেপি। তবে সিদ্ধান্ত যখন নেওয়া হয়ে গিয়েছে, তখন আর দেরি নয়। শুক্রবার সকালেই বিজেপি রাজ্য বিধানসভায় দলীয় বিধায়কদের নিয়ে একটি বৈঠক করবে। তারপরেই স্পিকারের কাছে গেহলট সরকারের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনার আবেদন করা হবে। অর্থাত্ সচিন-অশোকের বৈঠকে যেখানে শান্তির বার্তার আশা করা হচ্ছিল, সেখানে তৃতীয় পক্ষের হানায় আরও জটিল হতে চলেছে রাজস্থান রাজনীতি।
এক মাসেরও বেশি সময় ধরে অশোক গেহলট-সচিন পাইলট সংঘাত চলছে। দিল্লিতে অনুগামীদের নিয়ে রণং দেহি অবস্থান নেন সচিন। কিন্তু গল্পে মোড় আসে গত সপ্তাহে রাহুল-প্রিয়াঙ্কার সঙ্গে পাইলটের গোপন বৈঠকের পর। পরের দিনই রাজস্থানে ফিরে আসেন সচিন। বৃহস্পতিবারই মুখোমুখি হওয়ার কথা অশোক-সচিনের। আর তার মধ্যেই পাল্টা চাল বিজেপির।
এদিকে অনেকের মনে প্রশ্ন উঠছে, সচিন-অশোক সংঘাত যখন মধ্যগগনে, তখন কেন চুপ থাকল বিজেপি? তখনই তো অনাস্থা প্রস্তাব আনতে পারতেন রাজস্থান বিজেপির প্রধান বসুন্ধরা রাজে! কিন্তু সেদিকেও শোনা যাচ্ছে অন্য তত্ত্ব।
কানাঘুষো শোনা যাচ্ছে, রাজস্থান কংগ্রেসে সচিন ফিরে আসুক, এটাই চেয়েছিলেন বসুন্ধরা। এতে তাঁর দৃষ্টিতে লাভ হতে পারে দুটি- প্রথমত, সচিনের অনুগামীরা সমগ্র বিষয়ে কীভাবে প্রতিক্রিয়া দেবেন তা বুঝতে পারবেন না। দ্বিতীয়ত, রাজস্থান বিজেপিতে সচিনের আসার বিষয়টিও বসুন্ধরা রাজের না-পসন্দ হতে পারত।
রাজস্থানে একটা সরু সুতোয় ঝুলছে গেহলট সরকার। রাজস্থানে সরকার গড়ার ম্যাজিক নাম্বার ১০০। গেহলটের নম্বরটা ১০১। অর্থাত্ মাত্র একটি ধাপে এগিয়ে তিনি। অন্যদিকে বসপা প্রধান মায়াবতীর অভিযোগ তাঁর ৬ জন বিধায়ককে কেনার ফলেই কোনওমতে সেই স্থানে পৌঁছেছে কংগ্রেস। এ বিষয়ে সুপ্রিম কোর্টে সম্প্রতি মামলাও করেন তিনি। যদিও বৃহস্পতিবার সুপ্রিম কোর্ট জানিয়েছে যে, ওই ৬ বিধায়ক আস্থা ভোটে অংশ নিতে পারবেন।
এতদিন মুখ বন্ধ রাখলেও পাইলট ঘরে ফিরে যাওয়ার পরই রাজ্য বিজেপির প্রধান মুখ বসুন্ধরা রাজে বলতে শুরু করেছেন 'এই সরকার বেশিদিন টিকবে না'। এরপর কী হয়, তা সময়ই বলবে।
আরও পড়ুন : লাল কেল্লায় খালিস্তানি পতাকা ওড়ানোর হুমকি নিষিদ্ধ সংগঠনের, সজাগ প্রশাসন