পাটনায় বিস্ফোরণ নিয়ে দিনভর রাজনৈতিক চাপানউতোর, নীতিশ কুমারকে কোনঠাসা করতে ময়দানে বিজেপি
পাটনায় বিস্ফোরণ নিয়ে আজ দিনভর চলল রাজনৈতিক চাপানউতোর। মোদীর সভায় নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়ে নীতীশকুমারকে কোণঠাসা করতে ময়দানে ঝাঁপাল বিজেপি। রাজনৈতিক এই চাপান উতোরে বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন দলেরই নেতা সি পি ঠাকুর। তাঁর দাবি, নিরাপত্তার জন্য মোদীকে পাটনায় সভা না করার পরামর্শ দিয়েছিল গুজরাট পুলিসই । কিন্তু মোদী তা মানেননি।
পাটনায় বিস্ফোরণ নিয়ে আজ দিনভর চলল রাজনৈতিক চাপানউতোর। মোদীর সভায় নিরাপত্তার গাফিলতি নিয়ে নীতীশকুমারকে কোণঠাসা করতে ময়দানে ঝাঁপাল বিজেপি। রাজনৈতিক এই চাপান উতোরে বিজেপিকে অস্বস্তিতে ফেলেছেন দলেরই নেতা সি পি ঠাকুর। তাঁর দাবি, নিরাপত্তার জন্য মোদীকে পাটনায় সভা না করার পরামর্শ দিয়েছিল গুজরাট পুলিসই । কিন্তু মোদী তা মানেননি।
সময় যত গড়াচ্ছে ততই সামনে আসছে পাটনায় মোদির সভাস্থলে নিরাপত্তায় গাফিলতির দিকটা। গান্ধী ময়দানে ঢোকার জন্য মোট ১০টি গেট থাকলেও, ব্যবস্থা ছিলনা কোনও মেটাল ডিটেক্টরের। ফলে সভায় যোগ দিতে আসা হাজার হাজার মানুষ কোনওরকম তল্লাসি ছাড়াই ঢুকেছেন ময়দানে। এতবড় সভার ক্ষেত্রে সাধারণত সভাস্থল ও তার আশেপাশের এলাকায় চিরুণী তল্লাসি চালায় পুলিস। রবিবার তল্লাসির ক্ষেত্রেও ঢিলেমি দেখিয়েছিল পুলিস। নিরাপত্তায় একের পর এক ত্রুটি সামনে আসায় নীতিশকুমার সরকারের বিরুদ্ধে সুর আরও চড়িয়েছে রাজ্য বিজেপি।
মোদীর সভাস্থলে ধারাবাহিক বিস্ফোরণের জন্য বিহার সরকারের গাফিলতিকে দায়ী করেছেন বিজেপি সাংসদ অরুণ জেটলিও। তাঁর দাবি, মোদীর হুঙ্কার র্যালি-তে নাশকতার সম্ভাবনার কথা জানিয়ে বিহার পুলিসকে দুটি সতর্কবার্তা পাঠানো হয়। অক্টোবরের ২৩ ও ২৭ তারিখ সতর্ক করা হয়েছিল বিহার সরকারকেও। গোটা বিষয় জানানো হয়েছিল কেন্দ্রকেও। তারপরও কেন ব্যবস্থা নেওয়া হয়নি, প্রশ্ন তুলেছেন জেটলি।
মোদির সভায় বিস্ফোরণকে বিজেপি যখন লোকসভা নির্বাচনের ইস্যু করতে ব্যস্ত তখন তাদের কিছুটা ব্যাকফুটে ঠেলে দিয়েছেন দলের আরেক নেতা সিপি ঠাকুর।তাঁর দাবি, গুজরাট পুলিস মোদিকে পাটনায় সভা না করার পরামর্শ দিলেও, মোদি তা মানেননি।
চরম অস্বস্তির মধ্যে নীতীশকুমারকে কিছুটা স্বস্তি দিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সুশীলকুমার শিণ্ডে।
এই ইস্যুতে এখনই বিজেপি-র মতো কড়া অবস্থান নিতে রাজি নয় কংগ্রেস।