Bihar: থাবায় সাত জনের রক্ত, ভুতুড়ে মানুষখেকোকে মারতে পৌঁছলেন এক্সপার্ট শিকারি!
মানুষখেকো বাঘকে ধরতে এবার সাতজন শিকারিকে আনল বনদফতর। বিগত তিনমাসে সাত জন আক্রান্ত হয়েছে এই বাঘের খপ্পড়ে। এর মধ্যে গতমাসেই চারজনের মৃত্যু হয়েছে বলে খবর। এরপরেই তৎপর হয় প্রশাসন এবং বন দফতর তড়িঘড়ি সেই বাঘকে ধরার ব্যবস্থা করেছে।
জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: বিহারের চম্পারণে ১২ বছরের বালিকাকে ঘুমন্ত অবস্থায় তুলে নিয়ে গিয়েছে বাঘ। বাল্মিকী টাইগার রিসার্ভের বিগত তিন মাসে এই বাঘটির ৭ নম্বর শিকার এই মেয়েটি। তার মধ্যে চারজনের মৃত্যু হয়েছে গত মাসেই। পুলিস ও প্রশাসনের তরফে জানা গিয়েছে যে মেয়েটির নাম বাগরি ৷ তার বাবার নাম রমাকান্ত মাঞ্ঝি ৷ তিনি জানিয়েছেন, বুধবার রাত ১২ টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটে ৷ বাঘে তাঁর মেয়েকে তুলে নিয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পরিবারের অন্য সদস্যরা বিষয়টি বুঝতে পারে ৷ তাঁরা হইচই করলে বাড়ির অদূরে এক আখের খেতে বাগদির দেহ ফেলে দিয়ে পালিয়ে যায় বাঘটি।
আরও পড়ুন, MANIT: ক্যাম্পাসে ঘুরছে বাঘ, আতঙ্কে বন্ধ নামী ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজ!
রাত ১ টা নাগাদ ন্য়াশানাল পার্ক থেকে ৯০০ কিলোমিটার দূরে নিজের বাড়ির সামনে ঘুমোচ্ছিল বাগরি কুমারি। তখনই সেখানে আসে রয়্যাল বেঙ্গল টাইগার এবং মশারি ছিঁড়ে তাঁকে টানতে টানতে নিয়ে যায় খেতে র দিকে। যদিও চেঁচামেচি শুনে কিছুটা দূরেই দেহ ফেলে পালিয়ে যায় সেই বাঘ। পাটনা থেকে ২৮০ কিমি উত্তর-পশ্চিমে বাঘের রিজার্ভের আশেপাশে হরনটান্ড, দুমরি, রাঘিয়া ও চিউতাহা গ্রামে বাঘের আনাগোনা। আখের খেত ও ঝোপঝাড়ে থেকে প্রায় ইচ্ছামত গ্রামে প্রবেশ করছে সেই বাঘ। এতে বেশ কয়েকজন আহত হচ্ছে এবং গবাদি পশুও আক্রান্ত হচ্ছে।
এমনকী গত মাসে বাঘ ধরার চেষ্টা বিফলে গিয়েছে। নজর রাখতে প্রায় ৫০০-র বেশি বনকর্মী মোতায়েন করা হয়েছে। জঙ্গলে ক্যামেরা ট্র্যাপের উপর ভিত্তি করে বনকর্মীরা এই সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন যে বাঘটি সম্ভবত অন্য একটি বড় বিড়ালের সঙ্গে লড়াইয়ে আঘাত পেয়েছে। হামলার পেছনে এক বা একাধিক বাঘ রয়েছে কি না, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অতিরিক্ত প্রধান বন সংরক্ষক (ওয়াইল্ডলাইফ) প্রভাত কুমার গুপ্তা বলেন, বাঘকে মানুষ-খেকো হিসেবে চিহ্নিত করা যায় কি না, তার প্রমাণ খতিয়ে দেখছে বন বিভাগ।
তিনি আরও বলেন, “আমরা বাঘের আচরণ পর্যবেক্ষণ করে সিদ্ধান্ত নেব যে বাঘকে মানুষ-খেকো হিসেবে ঘোষণা করা হবে কিনা। এমন উদাহরণ রয়েছে যেখানে বাঘ বাড়ির বাইরে বেঁধে রাখা গবাদি পশু এবং মানুষের উপর আক্রমণ করা পছন্দ করে। আমাদের আধিকারিকদের কোনও রকম ফাঁদে পাতার ক্ষেত্রে বিধিনিষেধ দেওয়া হয়েছে। তবে মানুষখেকো হলে বাঘটিকে গুলি করে হত্যা করা হতে পারে।''
আরও পড়ুন, Karnataka: 'হিন্দু ধর্মের জয়' চিৎকার জনতার, মাদ্রাসায় ঢুকে দসেরা পালন!