কংগ্রেসের বড় সমস্যা, দলের নেতাই অভিমান করে বেরিয়ে যান, রাহুলকে নিয়ে বিস্ফোরক মন্তব্য সলমনের
অক্টোবরে মহারাষ্ট্রের ২৮৮ এবং হরিয়ানার ৯০ আসনে বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু পছন্দমতো টিকিট বা নেতৃত্ব না মেলায় দলের কাজ নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন শীর্ষ নেতারা
নিজস্ব প্রতিবেদন: হরিয়ানা ও মহারাষ্ট্রে বিধানসভা নির্বাচন যতই কাছে আসছে, আলগা হচ্ছে ‘হাতের’ বাঁধন। দলের মধ্যেই বিদ্রোহ ঘোষণা করছেন কংগ্রেসের বাঘা-বাঘা নেতারা। এ বার সেই তালিকায় পড়লেন প্রাক্তন বিদেশমন্ত্রী তথা প্রবীণ কংগ্রেস নেতা সলমন খুরশিদ। কার্যত আক্ষেপ সুরেই সোমবার সাংবাদিকদের বলেন, “আমাদের বড় সমস্যা আমাদের নেতাই অভিমান করে বেরিয়ে গেছেন।” রাহুল গান্ধীকেই কটাক্ষ করে সলমন খুরশিদের এ হেন মন্তব্য বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।
অক্টোবরে মহারাষ্ট্রের ২৮৮ এবং হরিয়ানার ৯০ আসনে বিধানসভা নির্বাচন। কিন্তু পছন্দমতো টিকিট বা নেতৃত্ব না মেলায় দলের কাজ নিয়েই প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছেন শীর্ষ নেতারা। মহারাষ্ট্রে কংগ্রেসের হেভিওয়েট নেতা সঞ্জয় নিরুপম ইতিমধ্যে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন দল ছাড়ার। হরিয়ানার প্রাক্তন প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অন্তর্কলহের অভিযোগ তুলে ইস্তফা দিয়েছেন অশোক তানওয়ার। নির্বাচনী প্রচারও বয়কট করছেন অনেক তারকা নেতারা।
আরও পড়ুন- রাতে সীমান্ত পেরিয়ে ঢুকে পড়ল ড্রোন; পঞ্জাবের ফিরোজপুরে চলছে তল্লাশি, সতর্ক বিএসএফ
দল যে পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, তাতে আগামী নির্বাচনে জয়লাভ করবে কি না তা নিয়ে নিশ্চিত নন সলমন খুরশিদ। এমনকি কংগ্রের ভবিষ্যত নিয়েও উদ্বিগ্ন বলে জানান খুরশিদ। এ দিন খুরশিদ বলেন, লোকসভা নির্বাচনে পরাজয়ের পর অভিমানে সভাপতি পদ থেকে সরে দাঁড়ান রাহুল গান্ধী। নির্বাচনে পরাজয়ের কারণ খতিয়ে দেখারও সুযোগ হয়নি দলের। দলের মধ্যে যে শূন্যস্থান তৈরি হয়েছে, তা পূরণ করতে সনিয়া গান্ধীর পক্ষে সম্ভব নয়, তা স্পষ্ট বুঝিয়ে দেন সলমন খুরশিদ।