মুম্বই বহুতলে রহস্যজনক মৃত্যুর জের, রাতেই গ্রেফতার আবাসনের রক্ষী
মুম্বইয়ের অভিজাত এলাকায় বাঙালি তরুণীর দেহ উদ্ধার ঘিরে ক্রমশ দানা বাঁধছে রহস্য। তরুনীর দেহ উদ্ধারের পর পুলিস রাতেই গ্রেফতার করল আবাসনের নিরাপত্তা রক্ষীকে। রক্ষীর নাম সাজ্জাদ পাঠান।
মুম্বইয়ের অভিজাত এলাকায় বাঙালি তরুণীর দেহ উদ্ধার ঘিরে ক্রমশ দানা বাঁধছে রহস্য। তরুনীর দেহ উদ্ধারের পর পুলিস রাতেই গ্রেফতার করল আবাসনের নিরাপত্তা রক্ষীকে। রক্ষীর নাম সাজ্জাদ পাঠান।
নিহত তরুণীর নাম পল্লবী পুরকায়স্থ। বৃহস্পতিবার হিমালয়ান হাইটস নামের এক বহুতলের ১৬ তলা থেকে থেকে উদ্ধার হয়েছে তাঁর দেহ। বয়স আনুমানিক ২৫ বছর। তাঁর গলায় ছুরির আঘাতের চিহ্ন রয়েছে বলে জানিয়েছে তদন্তকারী পুলিস। ইতিমধ্যেই খুনের মামলা দায়ের করে তাঁর পুরুষবন্ধু অভীক সেনগুপ্ত এবং বাড়ির পরিচারককে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিস। তবে এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করা হয়নি। তদন্তের স্বার্থে পল্লবীর মোবাইল ফোন এবং ল্যাপটপ বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
পল্লবী পেশায় আইনজীবী ছিলেন। অভিনেতা পরিচালক ফারহান আখতারের আইনি পরামর্শদাতা ছিলেন তিনি। পল্লবীর বাবা একজন আইএএস অফিসার। মা দিল্লির মহানগর টেলিফোন নিগমে কর্মরত। যেই বহুতল থেকে পল্লবীর দেহ উদ্ধার হয়েছে সেই আবাসনে তাঁর পুরুষবন্ধু অভীক সেনগুপ্তর সঙ্গে থাকতেন বলে জানিয়েছে পুলিস। তিনিও পেশায় আইনজীবী। যে সময় এই ঘটনা ঘটে, অভীকবাবু তখন ফ্ল্যাটে ছিলেন না। বৃহস্পতিবার সকাল সাড়ে পাঁচটা নাগাদ ফ্ল্যাটে ঢুকে তিনি পল্লবীর দেহ দেখতে পান এবং তাঁদের এক প্রতিবেশী পুলিসকে খবর দেন বলে জানিয়েছেন তদন্তকারী অফিসার। অভীকবাবু, তাঁদের পরিচারক, আবাসনের দারোয়ান, লিফটম্যান, এবং এলাকার হকারদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।