তিন তালাক বিল পেশ করার আগেই দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতবি রাজ্যসভার অধিবেশন

লোকসভায় বিলটি পাস হলেও, উচ্চকক্ষে সংখ্যালঘু হওয়ায় বিরোধীদের আপত্তিতে আটকে যায়। অধ্যাদেশ এনে বৃহস্পতিবার ফের লোকসভায় বিলটিকে পাস করানো হয়

Updated By: Dec 31, 2018, 04:14 PM IST
তিন তালাক বিল পেশ করার আগেই দুপুর ২টো পর্যন্ত মুলতবি রাজ্যসভার অধিবেশন
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: তিন তালাকের ভবিষ্যত ঝুলে রয়েছে সংসদের উচ্চকক্ষে। আজ সোমবার অধিবেশন শুরু হলেও বিরোধীদের হইহট্টগোলে অধিবেশন মুলতবি হয়ে যায়। কিন্তু তাত্ক্ষণিক তিন তালাক বিল পেশ করতে পারেনি সরকার। দুপুর ২টো নাগাদ তিন তালাকের বিল পেশ করা হবে।

ইতিমধ্যে বিরোধী দলনেতা গুলাম নবি আজাদের ঘরে রুদ্ধদ্বার বৈঠক চলছে। রাজ্যসভায় তিন তালাক বিল নিয়ে কোন পথে এগোবে, তারই খসড়া তৈরি করছেন বিরোধীরা। জানা গিয়েছে, প্রথমে বিলটিকে আরও আলোচনার জন্য যৌথ সংসদীয় সিলেক্ট কমিটিতে পাঠানোর প্রস্তাব রাখা হবে। যদি কেন্দ্র সায় না দেয়, তাহলে আলোচনায় অংশগ্রহণ করবেন বিরোধীরা। ভোটাভুটিতে গেলে জয় নিশ্চিত হবে বলে মনে করছেন বিরোধীরা।

আরও পড়ুন- জঙ্গির আত্মীয়দের ওপরে অত্যাচার করলে ফল হবে মারাত্মক, পুলিসকে হুঁশিয়ারি মেহবুবার

লোকসভায় বিলটি পাস করাতে পারলেও যথেষ্ট সংখ্যা না থাকায় উচ্চকক্ষে বিলটিকে পাস করাতে বেগ হতে হচ্ছে অমিত শাহদের। বিলটির মধ্যে যে ৩ বছরের শাস্তির বিধান দেওয়া হয়েছে, তা বিরোধিতা করছেন কংগ্রেস-সহ অন্যান্য বিরোধীরা। তিন তালাকের মতো সামাজিক ইস্যুটিকে ফৌজদারি হিসাবে চিহ্নিত করায় আপত্তি জানায় বিরোধীরা। এই বিলটির মধ্যে স্ত্রীর দায়িত্ব নেওয়ার ক্ষেত্রেও স্পষ্ট নয়। সুপ্রিম কোর্ট তিন তালাক ‘অবৈধ’ বললেও কোনও শাস্তি বিধানের কথা বলেনি।

আরও পড়ুন- জাতীয় সড়কে ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা, ট্রেলারের ধাক্কায় নিহত একই পরিবারের ১০

লোকসভায় বিলটি পাস হলেও, উচ্চকক্ষে সংখ্যালঘু হওয়ায় বিরোধীদের আপত্তিতে আটকে যায়। অধ্যাদেশ এনে বৃহস্পতিবার ফের লোকসভায় বিলটিকে পাস করানো হয়। তবে, এ দিন বিরোধীদের পথেই হাঁটে  নবীন পট্টনায়েকের বিজেডি এবং এআইডিএমকে। আলোচনায় অংশগ্রহণ না করে সংসদ কক্ষ ত্যাগ করেন এআইডিএমকের সাংসদরা।

সোমবার, তিন তালাক বিলকে যৌথ সংসদীয় কমিটিতে পাঠানোর জন্য প্রস্তাব আনে তৃণমূল। ওই কমিটিতে বিরোধীদের ১১ জন্য সদস্যকে রাখার আবেদন করেন তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন। আইনমন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, কয়েক হাজার মহিলার জীবন জড়িয়ে রয়েছে এই বিলটির মধ্যে। তাই, রাজনীতি করা উচিত নয়। বিশেষ কোনও সম্প্রদায়কে আঘাত করার জন্য বিলটি পাস করা হচ্ছে না।

.