মৃত্যুর সঙ্গে যুদ্ধ চালিয়ে যাচ্ছে ক্ষতবিক্ষত ফলক, অবস্থার সামান্য উন্নতি

এইমস ট্রমা সেন্টারে চিকিত্সাধীন ফলককে অত্যাচার করেছিল কে বা কারা, তা জানতেই এখন মরিয়া দিল্লি পুলিস। ইতিমধ্যেই পুলিস জানতে পেরেছে এক ট্যাক্সি চালকের নাম। রাজকুমার নামে ওই ট্যাক্সিচালকের খোঁজে মুম্বই গিয়েছে দিল্লি পুলিসের একটি দল। তবে আজও অবস্থার তেমন একটা উন্নতি হয়নি ছোট্ট ফলকের।

Updated By: Jan 28, 2012, 03:23 PM IST

এইমস ট্রমা সেন্টারে চিকিত্সাধীন ফলককে অত্যাচার করেছিল কে বা কারা, তা জানতেই এখন মরিয়া দিল্লি পুলিস। ইতিমধ্যেই পুলিস জানতে পেরেছে এক ট্যাক্সি চালকের নাম। রাজকুমার নামে ওই ট্যাক্সিচালকের খোঁজে মুম্বই গিয়েছে দিল্লি পুলিসের একটি দল। তবে আজও অবস্থার তেমন একটা উন্নতি হয়নি ছোট্ট ফলকের। মৃত্যুর সঙ্গে লড়াই করে যাচ্ছে ছোট্ট ফলক। এইমস ট্রমা সেন্টারে চিকিত্সাধীন দুবছরের ফলকের অবস্থা এখনও আশঙ্কাজনক। শরীরে মারাত্মক আঘাত থাকার কারণে ছোট্ট শিশুকন্যাটির সংক্রমণের আশঙ্কা করছেন চিকিত্সকরা। এমনকী নিউমোনিয়ার আশঙ্কাও উড়িয়ে দিচ্ছেন না তাঁরা। ছোট্ট ফলক। ওই নামই লেখানো হয়েছিল হাসপাতালের রেজিস্টারে। এইমস ট্রমা সেন্টারের আইসিইউ-এর বিছানায় শুয়ে মৃত্যুর সঙ্গে আপ্রাণ লড়াই চালাচ্ছে ছোট্ট ফলক। মরিয়া লড়াই চালাচ্ছেন চিকিত্সকেরাও।
মাথা থেঁতলানো, হাত ভাঙা, মুখে ইস্ত্রির ছেঁকার ক্ষত নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল দুবছরের শিশুটিকে। এমনকী শিশুটির সারা শরীরে মানুষের কামড় ও আঁচড়ের ক্ষত পাওয়া গিয়েছে বলেও জানান চিকিত্সকরা। গত ৩ দিনে দু`বার হার্ট অ্যাটাক হয়েছে ফুলের মতো শিশুটির। ভেন্টিলেটরেই রাখা হয়েছিল ফলককে।
শুক্রবার তাকে ভেন্টিলেটর থেকে বের করা হয়। তবে সুস্থ হলেও শিশুটির মস্তিষ্ক বরাবরের জন্য ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলেই আশঙ্কা করছেন চিকিত্সকেরা।
গত ১৮ জানুয়ারি মাহি গুপ্তা নামে বছর পনেরোর একটি কিশোরী ফলককে নিজের মেয়ে বলে দাবি করে হাসপাতালে ভর্তি করতে আসে।শিশুটি খাট থেকে পড়ে গিয়েছিল বলে জানায় সে। কিন্তু দিন দুয়েক পরেই ধাও হয়ে যায় ওই কিশোরী। পুলিসের সন্দেহ, সে আদতে শিশুটির মা বা আত্মীয় নয়। পরে কিশোরীর সন্ধান পায় পুলিস। ওই কিশোরী মানসিক ভারসাম্যহীন, তাকে একটি
জুভেনাইল হোমে পাঠানো হয়েছে বলে পুলিস সূত্রে খবর। দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী
শীলা দীক্ষিত ছোট্ট ফলকের চিকিত্সায় সাহায্যের হাত বাড়িয়েছেন। বিভিন্ন
স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন শিশুটির দায়িত্ব নেওয়ার ইচ্ছাপ্রকাশ করেছে।
সূত্র ধরে রাজকুমার নামে এক ট্যাক্সি চালকের খোঁজ পেয়েছে পুলিস। পুলিসের ধারণা, হাসপাতালে ওই শিশুকে ভর্তি করে রাজকুমারই। তাঁর খোঁজে মুম্বই রওনা হয়ে গেছে দিল্লি পুলিসের একটি দল।
গোটা ঘটনায় দিল্লি পুলিস দুটি মামলা দায়ের করেছে। শিশুটির আসল বাবা-মার সন্ধানে তল্লাসি শুরু করেছে পুলিস। খাট থেকে পড়ে এমন বীভত্স আঘাত লাগতে পারে না বলেই মনে করছেন চিকিত্সকেরা।  

.