বাটলা হাউস বিতর্কে দাঁড়ি কেন্দ্রের

বাটলা হাউস এনকাউন্টার বিতর্কে ইতি টেনে দিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম জানিয়ে দিলেন, বাটলা হাউসে কোনও ভুয়ো সংঘর্ষ হয়নি। এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে চিদম্বরম বলেন, `বাটলা হাউসে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের এনকাউন্টার ভুয়ো ছিল না। তাই বিষয়টি নতুন করে তদন্তের কোনও প্রয়োজন নেই।`

Updated By: Jan 12, 2012, 09:34 PM IST

বাটলা হাউস এনকাউন্টার বিতর্কে ইতি টেনে দিল কেন্দ্র। বৃহস্পতিবার কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী পি চিদম্বরম জানিয়ে দিলেন, বাটলা হাউসে কোনও ভুয়ো সংঘর্ষ হয়নি। এদিন এক সাংবাদিক সম্মেলনে চিদম্বরম বলেন, `বাটলা হাউসে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের এনকাউন্টার ভুয়ো ছিল না। তাই বিষয়টি নতুন করে তদন্তের কোনও প্রয়োজন নেই। `এর আগে বুধবার বাটলা হাউস এনকাউন্টারকে সম্ভবত ভুয়ো সংঘর্ষ বলে মন্তব্য করেছিলেন কংগ্রেস সাধারণ সম্পাদক দিগ্বিজয় সিং। তাঁর দাবি ছিল, বাটলা হাউস সংঘর্ষের তদন্ত করে কোনও সাফল্য পায়নি স্বরাষ্ট্রমন্ত্রক। দিগ্বিজয় সিং-এর মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জানান, এটা তাঁর ব্যক্তিগত মতামত। তিনি সেই মতামতকে সম্মান করেন। চিদম্বরমের সাংবাদিক বৈঠকের পর দিগ্বিজয় সিং বলেন, `প্রধানমন্ত্রীও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী মতে বাটলা হাউস এনকাউন্টার ভুয়ো নয়, সেই কারণেই আমি পুণরায় তদন্তের দাবি জানাচ্ছি না।

` ২০০৮-এর ওই এনকাউন্টার নিয়ে দিগ্বিজয় সিং-এর সুরে বাটলা হাউস এনকাউন্টারের পুণরায় তদন্ত করার কথা জানিয়েছিলেন কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীও। ২০০৮-এর ১৯ সেপ্টেম্বর দিল্লির জামিয়ানগরে বাটলা হাউসের কাছে সন্দেহভাজন জঙ্গিদের ডেরায় ইন্সপেক্টর মোহনচাঁদ শর্মার নেতৃত্বে একটি অভিযান চালায় দিল্লি পুলিস। ওই এনকাউন্টারে ২ জন সন্দেহভাজন ইন্ডিয়ান মুজাহিদিন জঙ্গি মারা যায়। ২জন পালিয়ে যায় ও ১জনকে গ্রেফতার করা হয়। সংঘর্ষে নিহত হন মোহনচাঁদ শর্মাও। এরপর সন্দেহভাজন জঙ্গি সন্দেহে জামিয়া মিলিয়া ইসলামিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কয়েকজন ছাত্র, শিক্ষক সহ বেশ কয়েকজন সমাজকর্মীকেও গ্রেফতার করে পুলিস। ঘটনার প্রতিবাদে সরব হয় সমাজবাদি পার্টি ও বহুজন সমাজ পার্টি। তারা এই এনকাউন্টারের বিচার বিভাগীয় তদন্তেরও দাবি করে। বাটলা হাউস নিয়ে কংগ্রেসের দুই প্রথম সারির নেতার বক্তব্য স্বাভাবিক ভাবেই নতুন হাতিয়ার তুলে দেয় বিরোধীদের হাতে। রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের মতে, বিভিন্ন ইস্যুতে শরিক দলের বিরোধিতায় এমনিতেই জর্জরিত কেন্দ্র। তাই বাটলা হাউস এনকাউন্টার নিয়ে জলঘোলা যাতে না হয়, তাই তড়িঘড়ি বিতর্কে ইতি টেনে দিল কেন্দ্র।

.