গুরুতর অসুস্থ বাল ঠাকরে, রাজের প্রত্যাবর্তন জল্পনা

কথায় বলে যথার্থ বন্ধু সে, যে বিপদকালে বৈরিতা ভুলে পাশে এসে দাঁড়ায়। এমনই ইঙ্গিতপূর্ণ নৈকট্য জল্পনা বাড়াচ্ছে মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতিতে। বাল ঠাকরের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতির ঘটনাটা যুযুধান দুই শিবিরকে এক করে দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাঁকে দেখতে ছুটে গিয়েছেন মহারাষ্ট্র নবনির্মান সেনা প্রধান রাজ ঠাকরেও। সেই থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা।

Updated By: Nov 2, 2012, 06:08 PM IST

কথায় বলে যথার্থ বন্ধু সে, যে বিপদকালে বৈরিতা ভুলে পাশে এসে দাঁড়ায়। এমনই ইঙ্গিতপূর্ণ নৈকট্য জল্পনা বাড়াচ্ছে মহারাষ্ট্রের রাজ্য রাজনীতিতে। বাল ঠাকরের শারীরিক অবস্থার ক্রমশ অবনতির ঘটনাটা যুযুধান দুই শিবিরকে এক করে দেওয়ার ইঙ্গিত দিচ্ছে বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল। তাঁকে দেখতে ছুটে গিয়েছেন মহারাষ্ট্র নবনির্মান সেনা প্রধান রাজ ঠাকরেও। সেই থেকেই শুরু হয়েছে জল্পনা।
শিবসেনার কাছে সময়টা সেভাবে ভাল যাচ্ছে না। দলের প্রতিষ্ঠাতা বাল ঠাকরের শারীরিক অবস্থার দিন দিন অবনতি হচ্ছে। তার ওপর আবার এমএনএস-এর উত্থানের পর শিবসেনার সেই একচেটিয়া আধিপত্যও হ্রাস পেয়েছে বেশ খানিকটা। দলের নেতৃত্ব সঙ্কটে ভোগার কথাও শোনা যাচ্ছে। এমনই একটা সময় গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসছেন দলের সাংসদ, বিধায়করা। এই পরিস্থিতিতেই চাঞ্চল্য ছড়াচ্ছে একটি বৈঠকের খবর। শোনা যাচ্ছে মহারাষ্ট্র রাজনীতিকে বদলে দেবে এমন একটা সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে সেই বৈঠকে। ভাইপো রাজের সঙ্গে খারাপ সম্পর্কে শিবসেনার বেশ ক্ষতি হয়েছে বলেই গুঞ্জন শিবসেনা অন্দরে। রাজের দল এমএনএস এখন বাল ঠাকরের দল শিবসেনার বড় প্রতিপক্ষ। নিজের কাকার বিরুদ্ধে তোপ দেগে ঘরের কোন্দল প্রকাশ্যে এনেছেন রাজ।
তবে বাল ঠাকরের অসুস্থতাতে সেই সম্পর্কটা জোড়া লাগার ইঙ্গিত মিলছে। বৃহস্পতিবার রাতেই দেখা করেন মহারাষ্ট্র নবনির্মাণ সেনার প্রধান রাজ ঠাকরে। ফলে মরাঠা রাজনীতিতে ফের ঠাকরে পরিবারের দুই বিভক্ত অংশের একত্রিত হওয়া নিয়ে জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছে। গত চার মাসে এই নিয়ে চার বার বাল ঠাকরের সঙ্গে দেখা করলেন রাজ। কতদিন ধরে বারবার হাসপাতালে কাকা বাল ঠাকরেকে দেখতে ছুটছেন রাজ। শোনা যাচ্ছে কাকা ভাইপোর কাছে আবদার জানিয়েছেন ফের শিবসেনায় ফিরে আসার। আর সেটা সত্যি হলে ২০১৪ মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনে শিবসেনার কাছে দারুণ খবর হতে চলেছে। তবে রাজনৈতিক মহলের একাংশের ধারণা রাজের পক্ষে এখনই এমএনএস তুলে দিয়ে শিবসেনায় যোগদান সম্ভব নয়। বড়জোর জোট গড়ার কথা ভাবতে পারে এমএনএস।
২০০৬ বাল ঠাকরে সরে দাঁড়ানোর পর দলের প্রধান হিসাবে আনা হয় তাঁর ছেলে উদ্ভব ঠাকরকে। আর এই সিদ্ধান্তে ক্ষুব্ধ হয়ে মহারাষ্ট্র নব নির্মান সেনা নামের দল গড়েন বাল ঠাকরের ভাইপো রাজ ঠাকরে। এরপর থেকেই রাজ্যে শিবসেনার একচেটিয়া আধিপত্যে দাঁড়ি পড়ে। সারা ভারতে রাজের এমএনএস যতই সমালোচনার মুখে পড়ুক, শিবসেনা সমর্থকদের একটা বড় অংশ রাজের দলে চলে যায়। মারাঠি ভাষা থেকে উত্তর ভারতীয়দের মহারাষ্ট্র ছাড়া করার সংকীর্ণ রাজনীতি করে রাজ জাতীয় রাজনীতিতে যতই নিন্দার মুখে পড়ুন না কেন, মহারাষ্ট্রের একটা বিশেষ অংশে তাঁর দলের জনপ্রিয়তা শিবসেনাকে ছাপিয়ে যায়। কেউ কেউ বলতে শুরু করেন বাল ঠাকরের অনুপস্থিততে শিবসেনার কাজ করছে রাজের নবনির্মান সেনাই। এই সময় দু`পক্ষের সন্ধি হলে মহারাষ্ট্রে দক্ষিণপন্থী রাজনীতির হাত যে শক্ত হবেই তা বলাই বাহুল্য।

.