রাম মন্দিরের দাবিতে আজ জোড়া কর্মসূচি আরএসএস-শিবসেনার, আতঙ্কে কাঁপছে অযোধ্যা

এদিকে নিরাপত্তার কথা ভেবে একেবারে দূর্গ বানিয়ে ফেলা হয়েছে অযোধ্যাকে

Updated By: Nov 25, 2018, 02:12 PM IST
রাম মন্দিরের দাবিতে আজ জোড়া কর্মসূচি আরএসএস-শিবসেনার, আতঙ্কে কাঁপছে অযোধ্যা

নিজস্ব প্রতিবেদন: আরএসএস ও শিবসেনার কর্মসূচিকে ঘিরে আজ যুদ্ধের পরিস্থিতি অযোধ্যায়। রাম মন্দির তৈরির দাবিতে দুদলই আজ বিশাল সংখ্যক কর্মীদের নিয়ে জড়ো হচ্ছে সেখানে। ঠিক যেন ১৯৯২ সালের ছবি। গোলমালের আশঙ্কায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিস বাহিনী। এর মধ্যেই অযোধ্যায় বিশ্বের সবচেয়ে উঁচু রাম মূর্তি বসানোর সরকারি ঘোষণা করে দিয়ে হাওয়া আরও গরম করে দিয়েছেন যোগী আদিত্যনাথ। সবে মিলিয়ে অযোধ্যায় আজ সুপার সানডে।

আরও পড়ুন-মন্ত্রিত্ব দিলে দল ছাড়ার কথা বলেছিলেন কেন? ফেস অফে ভাঙলেন অনুব্রত    

শিবসেনা প্রধান আজ বাবরিস্থলে প্রতিষ্ঠিত রামলালা দর্শন করবেন। অন্যদিকে রাম মন্দির প্রতিষ্ঠার দাবিতে আরএসএস আজ ধর্মসভা-র আয়োজন করেছে। ভিএইচপি আগেই ঘোষণা করেছে তাদের এক লাখ লোক আসবে ১৩২২টি বাস, ১৫৪৬টি ছোট গাড়ি, ১৪০০০ বাইক চড়ে। ১৫০০০ লোক আসার কথা ট্রেনে চড়ে। শনিবার সারাদিন শয়ে শয়ে অযোধ্যায় এসেছেন আরএসএস, ভিএইচপি ও শিবসেনা সমর্থকরা। অযোধ্যা জুড়ে এক যুদ্ধকালীন তত্পরতা সৃষ্টি হচ্ছে প্রশাসনে। ১৯৯২ সালে এভাবেই অযোধ্যায় জমায়েত হয়েছিল। ভেঙে ফেলা হয় বাবরি মসজিদ।

মন্দির নির্মাণের দাবিতে বেশ কিছুদিন ধরেই সরব শিবসেনা। শনিবারও সেনা প্রধান দাবি করেছেন, মন্দির হবে হবে নয়, তারিখ দিক সরকার। শনিবার অযোধ্যায় শিবাজীর জন্মস্থানের মাটি এনেছেন উদ্ধব। তাঁর দাবি এতে রাম মন্দির আন্দোলন জোরাল হবে।

শনিবার মোদি সরকারকে আক্রমণ করেন উদ্ধব। তিনি বলেন, এখানে এসেছি কুম্ভকর্ণের নিদ্রা ভাঙতে। গত কয়েক বছর ধরে কুম্ভকর্ণ ঘুমাচ্ছে। সরকার মন্দির নির্মাণের তারিক ঘোষণা করুক। মন্দির ওখানেই বানাব তবে তারিখ বলব না। সরকারের এই নীতি আর চলবে না।

আরও পড়ুন-লোকসভার আগে মলাটে আসছে 'আমি মুকুল বলছি'

এদিকে নিরাপত্তার কথা ভেবে একেবারে দূর্গ বানিয়ে ফেলা হয়েছে অযোধ্যাকে। রামলালাকে ঘিরে তৈরি হয়েছে একাধিক স্তরের নিরাপত্তা বেষ্টনী। ভিএইচপি দাবি করেছে তারা তাদের সমর্থকদের শান্ত রাখবে। তবে তাতেও নিরাপত্তা ব্যবস্থায় এতটুকু খামতি রাখতে নারাজ পুলিস।

এদিকে, অযোধ্যায় মুসিলমদের নিরাপত্তার কথা ভেবে অখিলেশ যাদব সেখানে সেনা মোতায়নের দাবি করেছেন। পাশাপাশি মুসিলমদের নিরাপত্তার বিষয়টিও তুলেছেন অল ইন্ডিয়া মুসলিম পার্সোন্যাল ল বোর্ডের প্রধান জাফরইয়াব জিলানি।

নিরাপত্তার কথা ভেবে অযোধ্যায় মোতায়েন করা হয়েছে ৪২ কোম্পানি পিএসি, ৫ কোম্পানি র্যাফ, ৭০০ পুলিস ও ১৬০ ইনস্পেক্টর। সঙ্গে রয়েছে এটিএসের কমান্ডো বাহিনী ও নজরদারি ড্রোন।

.