আরুষি হত্যা মামলার শুনানি স্থগিত, এলাহাবাদ হাইকোর্টের দ্বারস্থ নূপুর
গাজিয়াবাদে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে স্থগিত হয়ে গেল আরুষি হত্যা মামলার শুনানি। প্রয়োজনীয় নথিপত্র না থাকায় শুনানি স্থগিত রাখার আবেদন জানান নূপুর তলোয়ারের আইনজীবী।
গাজিয়াবাদে সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে স্থগিত হয়ে গেল আরুষি হত্যা মামলার শুনানি। প্রয়োজনীয় নথিপত্র না থাকায় শুনানি স্থগিত রাখার আবেদন জানান নূপুর তলোয়ারের আইনজীবী। পরবর্তী শুনানির দিন ধার্য হয়েছে ৯ মে। দাসনা জেল থেকে নিয়ে আসা হয়েছে নূপুর তলোয়ারকে। অন্যদিকে সুপ্রিম কোর্টের পর এবার এলাহাবাদ হাইকোর্টেও জামিনের আবেদন জানিয়েছেন নূপুর তলোয়ার। এলাহাবাদ হাইকোর্ট এখনও পর্যন্ত এবিষয়ে কিছু জানায়নি। গতকাল, গাজিয়াবাদের আদালতে জামিনের আবেদন খারিজ হয়ে যাওয়ার পর সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হন নূপুর তলোয়ার। আগামিকাল সর্বোচ্চ আদালতে সেই আবেদনের শুনানি হবে। ফলে এবার দেশের শীর্ষ আদালত থেকে নূপুর তলোয়ারের জামিন মিলবে কিনা তা নিয়ে সংশয় রয়েছে।
সোমবার আদালতে আত্মসমর্পণের পর সিবিআই-এর তরফে তথ্যপ্রমাণ লোপাটের আশঙ্কা প্রকাশ করে নূপুরের জামিনের আবেদনের তীব্র বিরোধিতা করা হয়। এর পর নূপুর তলোয়ারের জামিনের আবেদন খারিজ করে তাঁকে জেল হেফাজতে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছিল গাজিয়াবাদের বিশেষ সিবিআই আদালত। পত্রপাঠ গাজিয়াবাদ সিজেএম আদালতে জামিনের আবেদন জানান নূপুর তলোয়ারের আইনজীবী। এই আবেদন সিবিআইয়ের বিশেষ আদালতে জানাতে নির্দেশ দেয় গাজিয়াবাদ সিজেএম আদালত। কিন্তু নূপুর তলোয়ারের জামিনের আবেদনের শুনানি স্থগিত রাখে সিবিআইয়ের আদালত। ফলে সিবিআই আদালতের নির্দেশে দাসনা জেলের ১৩ নম্বর সেলেই রাত কাটাতে হয়েছে আরুষি ও হেমরাজ হত্যাকাণ্ডের অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত নূপুর তলোয়ারকে।
গত মাসে নূপুর তলোয়ারের বিরুদ্ধে জামিন অযোগ্য গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেছিল গাজিয়াবাদের সিবিআই আদালত। কিন্তু বিচারক প্রীতি সিংয়ের সেই নির্দেশ স্থগিত রাখাতে সুপ্রিম কোর্টে আবেদন জানিয়েছিলেন নূপুর তলোয়ার। কিন্তু গত শুক্রবার সেই আবেদন খারিজ করে নিম্ন আদালতে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দেয় শীর্ষ আদালত। এর পরই নূপুর তলোয়ারের জেল যাত্রা কার্যত নিশ্চিত হয়ে যায়। প্রসঙ্গত, ২০০৮ সালের মে মাসে নয়ডায় তলোয়ার দম্পতির ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল আরুষি ও পরিচারক হেমরাজের দেহ। সেই ঘটনায় অন্যতম প্রধান অভিযুক্ত আরুষির মা নূপুর তলোয়ার। এর আগে একাধিকবার গাজিয়াবাদ আদালতের তরফে হাজিরার নির্দেশ দেওয়া হলেও তা অমান্য করেন নূপুর। প্রসঙ্গত, এর আগে আরুষি হত্যা মামলায় তাঁর বাবা রাজেশ তলোয়ারকেও জেলে যেতে হয়েছিল। রাজেশ বর্তমানে জামিনে রয়েছেন। আগামী ৭ মে তাঁর জামিনের মেয়াদ শেষ হবে। সম্ভবত সিবিআই-এর তরফে রাজেশ তলোয়ারকেও জেলে পাঠানোর আবেদন জানান হবে আদালতে।