মুখাগ্নি করলেন ছেলে, পঞ্চভূতে বিলীন হলেন প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি
নিগমবোধ ঘাটে বাবার মুখাগ্নি করেছেন অরুণ জেটলির ছেলে রোহন
নিজস্ব প্রতিবেদন: পূর্ণ রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় সম্পন্ন হল প্রাক্তন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির শেষকৃত্য। শনিবার ১২টা বেজে ৭ মিনিটে প্রয়াত হন বিজেপি নেতা। ৯ অগাস্ট তাঁকে আশঙ্কাজনক অবস্থায় ভর্তি করা হয়েছিল এইমসে। এদিন বিজেপি অফিসে তাঁকে শেষশ্রদ্ধা জানান বিজেপি নেতা-কর্মীরা। তারপর নিগমবোধ ঘাটে পঞ্চভূতে বিলীন হন জেটলি। নিগমবোধ ঘাটে বাবার মুখাগ্নি করেছেন অরুণ জেটলির ছেলে রোহন। বৃষ্টির মধ্যেই সম্পন্ন হয় শেষকৃত্য।
এইমস থেকে শনিবার জেটলির দেহ নিয়ে যাওয়া হয়েছিল কৈলাস কলোনিতে তাঁর বাংলোয়। সেখানে জেটলিকে শ্রদ্ধা জানান বিজেপি-সহ অন্যান্য দলের নেতানেত্রীরা। রবিবার সকাল ১১টা নাগাদ দেহ আনা হয় বিজেপির সদর দফতরে। সেখানে তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানান দলের নেতাকর্মীরা। এরপর জেটলির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় নিগমবোধ ঘাটেষ সেখানে উপস্থিত ছিলেন বিজেপির প্রবীণ নেতা এলকে আডবাণী, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও কর্ণাটকের মুখ্যমন্ত্রী বিএস ইয়েদুরাপ্পা প্রমুখ। নিগমবোধ ঘাটে পৌঁছন কংগ্রেস নেতা কপিল সিব্বল, গুলাম নবি আজাদ, তৃণমূলের দীনেশ ত্রিবেদী, যোগগুরু রামদেব, দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়াল, বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতীশ কুমাররা।
Delhi: Vice-President M Venkaiah Naidu, Defence Minister Rajnath Singh and Union Home Minister Amit Shah, at Nigambodh Ghat. #ArunJaitley pic.twitter.com/uaFwJYyVyX
— ANI (@ANI) August 25, 2019
Delhi: Defence Minister Rajnath Singh pays tributes to former Union Minister #ArunJaitley, at party headquarters. pic.twitter.com/0td6768qvE
— ANI (@ANI) August 25, 2019
প্রয়াণকালে জেটলির বয়স হয়েছিল ৬৬ বছর। ৯ অগাস্ট তাঁকে ভর্তি করা হয়েছিল এইমসে। রাখা হয়েছিল হাসপাতালে কার্ডিও-নিউরো সেন্টারে জীবনদায়ী ব্যবস্থায়। তাঁকে দেখতে এইমসে ছুটে গিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ-সহ অন্যান্য শীর্ষ বিজেপি নেতারা।
শরীর অসুস্থ থাকায় প্রথম মোদী সরকারের অন্তর্বর্তী বাজেট পেশ করতে পারেননি জেটলি। তাঁর জায়গায় বাজেট পেশ করেছিলেন পীযূষ গোয়েল। দ্বিতীয়বার সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে আসার পর অরুণকে মন্ত্রক দিতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু শরীর অসুস্থ থাকায় তাঁর প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেন জেটলি। বাড়ি গিয়ে জেটলিকে অনুরোধও করেছিলেন প্রধানমন্ত্রী।
বন্ধুর প্রয়াণের পর তাঁকে শেষ দেখা দেখতে পারলেন না প্রধানমন্ত্রী। বর্তমানে তিনি বিদেশ সফরে। তবে টুইটারে শোকজ্ঞাপনের পর বাহারিনে অনাবাসী ভারতীয়দের অনুষ্ঠানে জেটলিকে স্মরণ করেন মোদী। বলেছেন,'কর্তব্য বাঁধা পড়েছি। অনেক যন্ত্রণা ও আঘাত চেপে আপনাদের সামনে এসেছি। বিদ্যার্থী পরিষদের সময় থেকে বন্ধুর সঙ্গে ছিলাম। একসঙ্গে রাজনৈতিক যাত্রা করেছি। সেই প্রাক্তন প্রতিরক্ষামন্ত্রী, অর্থমন্ত্রী জেটলির দেহাবসান হয়েছে। আজ আমার বন্ধু অরুণ চলে গেল। দ্বিধায় রয়েছি। একদিকে কর্তব্য বেঁধে রেখেছে, আর একটা দিক ভরে রয়েছে বন্ধুত্বের আবেগ। বাহারিনের মাটি থেকে শ্রদ্ধাঞ্জলি দিচ্ছি ভাই অরুণকে। ওনার পরিবারকে শক্তি দিক ঈশ্বর।'
আরও পড়ুন- শ্রীনগরে জম্মু-কাশ্মীরের সচিবালয় থেকে সরানো হল 'আলাদা' পতাকা, উড়ছে তেরঙা