লক্ষ্য ভারত-চিন সীমান্তের নিরাপত্তা সমস্যা, দায়িত্ব পেয়েই ঢেলে সাজানোর আশ্বাস সেনা প্রধান মুকুন্দের
মঙ্গলবার সকালেই সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াতের স্থলাভিষিক্ত হন মুকুন্দ নবরণে। দায়িত্ব পেয়েই পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান গোলা ছুড়লে, তাদেরও অভিযান চালানোর অধিকার আছে
নিজস্ব প্রতিবেদন: ডোকালামে চিনের পিপল’স লিবারেশন আর্মির আগ্রাসী ভূমিকাকে ‘স্থানীয় গুন্ডাগিরি’ বলে ব্যাখ্যা করেছিলেন সে সময়ের ইস্টার্ন কম্যান্ডের প্রধান মনোজ মুকুন্দ নরবণে। সেনা প্রধানের দায়িত্ব পেয়ে নতুন বছরে জানিয়ে দিলেন এবার ঢেলে সাজানো হবে উত্তর-পূর্বে ৪ হাজার কিলোমিটার আন্তর্জাতিক সীমান্তের নিরাপত্তা। অর্থাত্ চিনের অযাচিত নাক গলানো আর বরদাস্ত করা হবে না, এমনটাই কৌশলী বার্তা দিলেন জেনারেল মনোজ মুকুন্দ নবরণে।
মঙ্গলবার সকালেই সেনা প্রধান বিপিন রাওয়াতের স্থলাভিষিক্ত হন মুকুন্দ নবরণে। দায়িত্ব পেয়েই পাকিস্তানকে হুঁশিয়ারি দিয়ে রেখেছেন। তিনি বলেন, পাকিস্তান গোলা ছুড়লে, তাদেরও অভিযান চালানোর অধিকার আছে। সেনাকে সব রকমের প্রস্তুতি থাকারও বার্তা দিয়েছেন তিনি। তবে, দীর্ঘ দিন উত্তর-পূর্ব ভারতের নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকায়, ভারত-চিনের সীমান্ত সমস্যার উপর সেনা প্রধান বেশি জোর দেবেন বলে মনে করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন- নববর্ষে সবার সমৃদ্ধি কামনা মোদীর, নতুন ভোরের আশা মমতার
সেনা প্রধানের কথায়, প্রকৃত সীমান্তরেখা থাকায় ওয়েস্টার্ন ফ্রন্টের উপর যেমন জোর দেওয়া হয়েছে, তেমনই জোর দেওয়া উচিত নর্দান ফ্রন্টেও। সীমান্ত সমস্যা মোকাবিলায় উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে ঢেলে সাজানোর আশ্বাস দেন তিনি। লাদাখ, অরুণাচল প্রদেশে একাধিকবার চিনা সেনা অনুপ্রবেশ করেছে। শক্ত হাতে মোকাবিলা করতে দেখা গিয়েছে ভারতীয় সেনাকেও। কোথাও কূটনীতির আশ্রয় নিয়ে সীমান্ত বিতর্কের রাশ টানতে সক্ষম হয়েছে ভারত। ২০১৭ সালে ডোকলামে টানা ৭২ দিন ধরে চলা টানাপোড়েনই তার প্রমাণ।