Andhra Shocker: খেলার অছিলায় ৮ বছরের শিশুকে গণধর্ষণ-খুন স্কুল-সিনিয়রদের! চিনিয়ে দিল স্নিফার ডগ...

গত রবিবার থেকেই নিখোঁজ ছিল তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া ওই ৮ বছরের শিশু। ৩ অভিযুক্ত কিশোরের মধ্যে ২ জন ১২ বছর বয়সী, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। আর একজন ১৩ বছর বয়সী সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। 

Updated By: Jul 11, 2024, 10:11 PM IST
Andhra Shocker: খেলার অছিলায় ৮ বছরের শিশুকে গণধর্ষণ-খুন স্কুল-সিনিয়রদের! চিনিয়ে দিল স্নিফার ডগ...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্য়ুরো: খেলতে বেরিয়ে আর বাড়ি ফেরেনি। ৫ দিন ধরে নিখোঁজ ছিল ৮ বছরের একরত্তি। কোনও খোঁজ মিলছিল না তার। তারপর সামনে এল হাড়হিম করা সত্যি। স্নিফার ডগ অভিযুক্তদের ধরিয়ে দিতেই জানা গেল আসল ঘটনা। ভয়ংকর সেই ঘটনায় শিউরে উঠছে সবাই। পুলিস সূত্রে জানা গিয়েছে, ৮ বছরের ওই নাবালিকাকে গণধর্ষণ করে তারই স্কুলের সিনিয়ররা মিলে। গণধর্ষণের পর তারা খুনও করে ওই নাবালিককে। তারপর প্রমাণ লোপাটের জন্য নাবালিকার দেহ ফেলে দেয় সেচ খালে। 

ভয়ংকর এই ঘটনাটি ঘটেছে অন্ধ্রপ্রদেশের নন্দয়ালা জেলায় মুচুমারীতে। অন্ধপ্রদেশের রাজধানী অমরাবতী ৩০০ কিলোমিটার দূরত্বে অবস্থিত এই মুচুমারী। অভিযোগ, স্কুলের ১২ থেকে ১৩ বছর বয়সী সিনিয়ররা মিলে গণধর্ষণ করে ওই ৮ বছরের নাবালিকাকে। তারপর খুন করে দেহ ফেলে দেয় মুচুমারী সেচ খালে। পুলিস জানিয়েছে, নির্যাতিতাও নাবালিকা। আর অভিযুক্তরাও নাবালক। অভিযোগের ভিত্তিতে স্কুলপড়ুয়া ৩ অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেছে পুলিস। গত রবিবার থেকেই নিখোঁজ ছিল তৃতীয় শ্রেণির পড়ুয়া ওই ৮ বছরের শিশু। বাবা থানায় মিসিং ডায়েরি করেন। 

পুলিসকে ওই নাবালিকার বাবা জানান যে, মেয়ে মুচুমারী পার্কে খেলতে গিয়েছিল, তারপর আর বাড়ি ফেরেনি। অভিযোগের ভিত্তিতে পুলিস তল্লাশি অভিযান শুরু করে। স্থানীয়দের জিজ্ঞাসাবাদ করে। কিন্তু ওই নাবালিকার কোনও খোঁজ মেলেনি। এরপরই ঘটনা নাটকীয় মোড় নেয়। স্নিফার ডগ চিনিয়ে দেয় ৩ অভিযুক্ত কিশোরকে। যার মধ্যে ২ জন ১২ বছর বয়সী, ষষ্ঠ শ্রেণিতে পড়ে। আর একজন ১৩ বছর বয়সী সপ্তম শ্রেণিতে পড়ে। যে স্কুলে ওই নাবালিকা পড়ে, সেই একই স্কুলের ছাত্র তারাও। পুলিসি জিজ্ঞাসাবাদের মুখে ভেঙে পড়ে তারা তাদের অপরাধ স্বীকার করে নেয়। 

পুলিসকে তারা জানায়, পার্কে ওই মেয়েটিকে খেলতে দেখে তারাও তার সঙ্গে খেলায় যোগ দেয়। তারপর সারা ওই মেয়েটিকে মুচুমারী বাঁধের কাছে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে গণধর্ষণ করে। শেষে তাদের ভয় হয় যে, এই ঘটনার কথা ওই মেয়েটি বাড়িতে জানালে, তারা বিপদে পড়বে। তখন তারা তাকে খুন করে দেহ খালের জলে ফেলে দেয়। ৩ কিশোরের স্বীকারোক্তির পর এখন পুলিস ওই নাবালিকার দেহ উদ্ধারের চেষ্টা করছে। কারণ ৮ বছরের ওই নাবালিকার দেহ এখনও পাওয়া যায়নি।

আরও পড়ুন, Candy Crush: স্কুলে এসে শুধুই ক্যান্ডি ক্র্যাশ খেলেন শিক্ষক! ওদিকে পড়ুয়াদের খাতায়...

(দেশ, দুনিয়া, রাজ্য, কলকাতা, বিনোদন, খেলা, লাইফস্টাইল স্বাস্থ্য, প্রযুক্তির টাটকা খবর, আপডেট এবং ভিডিয়ো পেতে ডাউনলোড-লাইক-ফলো-সাবস্ক্রাইব করুন আমাদের AppFacebookWhatsapp ChannelX (Twitter)YoutubeInstagram পেজ-চ্যানেল)

.