শুধু পরিযায়ী শ্রমিকরাই হাঁটছে না! ১১০০ কিমি পেরিয়ে বাংলায় এল 'নেপালি' ঘড়িয়াল

চিহ্ন দেখেই বোঝা গিয়েছিল যে সেটি নেপাল থেকেই এতটা পথ পাড়ি দিয়ে হুগলিতে এসে পৌঁছেছে। 

Updated By: May 26, 2020, 07:06 PM IST
শুধু পরিযায়ী শ্রমিকরাই হাঁটছে না! ১১০০ কিমি পেরিয়ে বাংলায় এল 'নেপালি' ঘড়িয়াল

নিজস্ব প্রতিবেদন— লাখ লাখ শ্রমিক পায়ে হেঁটে, সাইকেল চালিয়ে ভিন রাজ্য থেকে বাড়ি ফিরেছে্ন। এই লকডাউনে সব থেকে সমস্যায় ছিলেন তাঁরাই। অন্য রাজ্যে কাজ করতে গিয়ে ভোগান্তির শিকার হতে হয় লাখ লাখ শ্রমিককে। কেন্দ্রীয় সরকার হঠাত্ করেই লকডাউন ঘোষণা করায় কাজ হারান বহু মানুষ। মালিকরা হাত তুলে নেন। ফলে জমানো টাকা থেকে কিছুদিন কাটে শ্রমিকদের। তার পর যে যার বাড়িতে ফেরার জন্য মরিয়া হয়ে ওঠেন। এমন অবস্থায় বহু শ্রমিক পথ দুর্ঘটনার শিকার হন। ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গিয়েছেন অনেকে। তাঁদের এই দুর্দশা দেখে সারা দেশের মন খারাপ হয়েছে। তবে লকডাউনে শুধু যে শ্রমিকরাই পায়ে হেঁটে ফিরেছেন তা নয়। নেপাল থেকে ১১০০ কিমি পেরিয়ে একটি ঘড়িয়াল এসেছে বাংলায়।

ঘড়িয়াল বিলুপ্তপ্রায় প্রজাতির প্রাণী। নারায়ণী ও রাপতি নদীর মিলনস্থলে ঘড়িয়ালটিকে ছাড়া হয়েছিল। কিন্তু সেটি চলে এসেছে ১১০০ কিমি পেরিয়ে। হুগলির রানী নগর ঘাটে মত্সজীবীদের জালে ধরা পড়েছে ঘড়িয়া্লটি। তাঁকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘড়িয়ালটির চামড়ায় এমন মার্কিং রয়েছে যা নেপালের এই প্রজাতির প্রাণীর মধ্যে দেখা যায়। ওয়াইল্ড ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া-র তরফ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে, ঘড়িয়ালটির বাড়ি আসলে নেপালে। কিন্তু কীভাবে সেটি এতটা পথ পেরিয়ে বাংলায় এসে পৌঁছেছে তা আন্দাজ করা কঠিন হয়েছে। তবে ওয়াইল্ড ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া-র তরফে আন্দাজ করা হয়েছে, গণ্ডক থেকে গঙ্গায় এসে পড়ে সেটি। তার পর ফারাক্কা হয়ে হুগলিতে।

আরও পড়ুন— ভিডিয়ো: দ্রুত দৌড় করাতে চাবুকের ঘা, 'অমানুষ'দের উচিত শিক্ষা দিল অবলা মহিষ

ইতিমধ্যে নেপালের সংশ্লিষ্ট দফতরের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে ওয়াইল্ড ট্রাস্ট অফ ইন্ডিয়া। তারাই ঘড়িয়ালটির পরিচিতি নিশ্চিত করেছে। নেপাল থেকে বাংলায় আসার এতটা পথ পেরোতে প্রায় মাস দুয়েক সময় লেগেছে ঘড়িয়ালটির। ঘড়িয়ালটিকে উদ্ধারে পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। ঘড়িয়ালটির লেজের দিকে স্কাউট মার্কিং রয়েছে। সেই চিহ্ন দেখেই বোঝা গিয়েছিল যে সেটি নেপাল থেকেই এতটা পথ পাড়ি দিয়ে হুগলিতে এসে পৌঁছেছে। 

.