‘তু-তু ম্যায়-ম্যায় করার সময় নয় এখন’, ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের নির্দেশ দিলেন অমরিন্দর সিং

তড়িঘড়ি বিশেষ বিমানে শনিবার দিল্লি পৌঁছন তিনি। অমরিন্দর বলেন, প্রথম থেকেই মন্ত্রীরা রয়েছেন ঘটনাস্থলে। এখন আমরা সবাই রয়েছি। উদ্ধারকাজে তদারকি করার জন্য ৩ জন মন্ত্রীকেও নিযুক্ত করা হয়েছে।

Updated By: Oct 20, 2018, 03:29 PM IST
‘তু-তু ম্যায়-ম্যায় করার সময় নয় এখন’, ম্যাজিস্ট্রেট তদন্তের নির্দেশ দিলেন অমরিন্দর সিং
ফাইল চিত্র

নিজস্ব প্রতিবেদন: দুর্ঘটনার ১৬ ঘণ্টার পর মুখ্যমন্ত্রীর কেন দেখা নেই? জল্পনা তৈরি হচ্ছিল প্রথম থেকেই। শেষমেশ মুখ্যমন্ত্রী অমরিন্দর সিং-কে সামনে পেয়ে সেই প্রশ্নই করে বসলেন এক সাংবাদিক। উত্তরে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, “তু-তু ম্যায় ম্যায় করার সময় নয় এখন।” ইজরায়েলে সফরকালীন খবর আসে অমৃতসরের মর্মান্তিক ট্রেন দুর্ঘটনার। তড়িঘড়ি বিশেষ বিমানে শনিবার দিল্লি পৌঁছন তিনি। অমরিন্দর বলেন, প্রথম থেকেই মন্ত্রীরা রয়েছেন ঘটনাস্থলে। এখন আমরা সবাই রয়েছি। উদ্ধারকাজে তদারকি করার জন্য ৩ জন মন্ত্রীকেও নিযুক্ত করা হয়েছে।

আরও পড়ুন- অন্যদের বাঁচাতে গিয়ে হঠাত্ লাইনে পা আটকে গেল ‘রাবণের’...

সংবাদিক বৈঠকে অমরিন্দর আরও জানান, এই মুহূর্তে কোনও মন্তব্য করা ঠিক হবে না। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ে তদন্ত করা হবে। রিপোর্ট আসতে ৪ সপ্তাহ সময় লাগবে। এর পরই পরবর্তী পদক্ষেপ করা হবে বলে স্পষ্ট করেন পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী। অমরিন্দর জবাবে তখনও সন্তুষ্ট হননি সাংবাদিকরা। মুখ্যমন্ত্রীর অনুপস্থিতি নিয়ে ফের প্রশ্ন করা হলে তিনি জানান, কী করে সম্ভব? আজই দিল্লি পৌঁছিয়েছি। আর দুর্ঘটনাস্থলে ভিআইপি সিকিয়োরিটি নিয়ে গেলে কী খুব একটা সুবিধা হতো? উল্টে উদ্ধারকাজে ব্যাহত হতে পারতো।

আরও পড়ুন- অন্য ট্রেনের চালকরা সাবধান হলেও গতি কমাননি ঘাতক ট্রেনের চালক, অভিযোগ স্থানীয়ের

অমরিন্দর এ দিন সাংবাদিক বৈঠকে আরও জানান, জেলা শাসককে ৩ কোটি টাকার ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। সরকারের তরফে বিনামূল্য চিকিত্সা এবং ক্ষতিগ্রস্তদের ৫ লক্ষ টাকা করে দেওয়া হবে।

উল্লেখ্য, অমৃতসরের ধোবি ঘাট এলাকায় শুক্রবার রাবণ বধ অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন কমপক্ষে ৭০০ জন মানুষ। শ’খানেক মানুষ রেল লাইনের উপর বসে দেখছিলেন রাবণ দহনের জমকালো অনুষ্ঠান। সে সময় ওই লাইন দিয়ে ছুটে আসচ্ছিল ডিএমইউ জলান্ধর- অমৃতসর এক্সপ্রেস। কয়েক সেকেন্ডের মধ্যে বহু মানুষকে পিষে দিয়ে চলে যায় ট্রেনটি। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, মৃত্যুর সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ৬০। চালক জানিয়েছে, গ্রিন সিগন্যাল ছিল। লাইনে এত মানুষের বসে থাকা দূর থেকে দেখা যায়নি। রেলের সাফাই, লাইনে বসে থাকা উচিত হয়নি তাঁদের। তবে ১৬ ঘণ্টা কেটে যাওয়ার পরও স্বজনহারারা এখনও ভাবতে পারছেন না, রাবণ পুড়িয়ে কেন ঘরে ফিরলেন না তাঁদের প্রিয়জন?

.