লাগামছাড়া উচ্চাকাঙ্খা, আয়েস কি জিন্দেগির খোঁজে একের পর এক সম্পর্কই ইন্দ্রাণীর সিঁড়ি
লাগামছাড়া উচ্চাকাঙ্খা। সেই তাড়না থেকে একের পর এক সম্পর্ক। বিত্তের শিখরে পৌছতে একটার পর একটা বিয়ে যেন এক একটা সিঁড়ির ধাপ। প্রয়োজন ফুরোলেই সম্পর্কে কাট। টাকার গন্ধ পেলেই নতুন সম্পর্কে ঝুঁকতেন ইন্দ্রাণী। অ্যামবিয়ান্স
ব্যুরো: লাগামছাড়া উচ্চাকাঙ্খা। সেই তাড়না থেকে একের পর এক সম্পর্ক। বিত্তের শিখরে পৌছতে একটার পর একটা বিয়ে যেন এক একটা সিঁড়ির ধাপ। প্রয়োজন ফুরোলেই সম্পর্কে কাট। টাকার গন্ধ পেলেই নতুন সম্পর্কে ঝুঁকতেন ইন্দ্রাণী। অ্যামবিয়ান্স
সিনেমার গল্পই যেন উঠে এসেছে বাস্তবে। বিপুল সম্পত্তি আর টাকার লোভ। তার জন্য এক সম্পর্ক ছেড়ে আরেক সম্পর্কে জড়াতে দুবার ভাবতেন না ইন্দ্রাণী মুখার্জি।
শিনা বোরা হত্যাকাণ্ডে মূল অভিযুক্ত তিনি। তদন্তে নেমে তাঁর পরিবারের হদিশ পেতে গিয়ে তাজ্জব গোয়েন্দারা। উঠে আসছে একের পর এক পুরুষসঙ্গীর নাম। চিরাগ দাস, সিদ্ধার্থ দাস, চাবাগানের মালিক, শোরুমের ম্যানেজার, সঞ্জীব খান্না, পিটার মুখার্জি। এত নাম যে মনে রাখতে গেলে, সব তালগোল পাকিয়ে যাওয়ার জোগাড়।
স্কুল লাইফ থেকেই একেবারে মক্ষীরানি। ক্লাস এইটে প্রথম প্রেম। বাড়ি থেকে পালানো।
স্কুল থেকে কলেজ। প্রেমের তাড়না এবার আরও বেশি। শিলংয়ে এসেই পরপর প্রেম।
সিদ্ধার্থর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে ওঠার পরেও অন্য পুরুষের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক।
শেষ পর্যন্ত বিয়ে করেছিলেন সিদ্ধার্থকে। কিন্তু ঝকঝকে ইন্দ্রাণী কখনোই এক পুরুষে তৃপ্ত ছিলেন না। অচিরেই ভাঙল বিয়ে। নতুন সঙ্গী সঞ্জীব খান্না। তাঁকেও বিয়ে।
এইচ আর ফার্মে কাজ করতে গিয়ে মন মজল পিটার মুখার্জিতে। ব্যস্, ওমনি সিঁড়ি পেয়ে গেলেন গ্ল্যামার ওয়ার্ল্ডে পৌছনোর। কিছুদিনের মধ্যেই ইন্দ্রাণীর প্রেমে হাবুডুবু পিটার। বস-এমপ্লয়ি সম্পর্ক বদলে গেল হাজব্যান্ড-ওয়াইফ রিলেশনে। পিটারের বেটার হাফ হয়ে গেলেন কর্পোরেট সাম্রাজ্যের মালকিন।
গ্ল্যামার, স্ট্যাটাস এসবের জন্য কী করেননি ইন্দ্রাণী। অসমের এই ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে ভর্তি করা হয়েছিল শিনা ও মিখাইলকে। মা হয়ে একবারও অভিভাবক হিসেবে স্কুলে যাননি তিনি।
কেরিয়ার আর আয়েশকি জিন্দেগি, তার জন্য বোধহয় সব করতে পারেন এই মহিলা। সেই ইনস্টিংক্ট থেকেই বোধহয় মেয়েকে খুন করতে হাত কাঁপেনি মায়ের।