নিজস্ব প্রতিবেদন: ভোটের মুখে বিধায়ক অল্পেশ ঠাকোরের ইস্তফা অনেকটাই ধাক্কা দিয়েছে কংগ্রেসকে। তবে, সাফাই দেওয়ায় কার্পণ্য নেই দলের। কংগ্রেসের নবাগত তথা পতিদার নেতা হার্দিক প্যাটেল বলেন, “দল ওর উপর ভরসা করে অনেক দায়িত্ব দিয়েছে। কিন্তু সামলাতে পারেননি।” উল্লেখ্য, গত বুধবার আনুষ্ঠানিকভাবে দল ছাড়ার ঘোষণা করেন অল্পেশ-সহ দুই কংগ্রেস বিধায়ক। তাঁরা হলেন ক্ষেত্রীয় ঠাকোর সেনার নেতা ধাবালসিন ঠাকোর এবং ভরতজি ঠাকোর।
সূত্রে খবর, অল্পেশ ঠাকোরের ইস্তফার পিছনে প্রচ্ছন্ন চাপ ছিল ঠাকোর সেনার। আবার অনেকে মনে করছেন, ভবিষ্যতে গেরুয়া শিবিরে নাম লেখাতে পারেন তাঁরা। কংগ্রেস অন্দরের সূত্রে খবর, পাটন লোকসভা কেন্দ্র থেকে লড়তে চেয়েছিলেন অল্পেশ ঠাকোর। দলের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গে বনিবনা না হওয়ায় এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হন অল্পেশ।
২০১৭ সালে গুজরাট বিধানসভা ভোটের আগে কংগ্রেসে যোগ দিয়েছিলেন ঠাকোর সেনার অন্যতম মুখ অল্পেশ। বিজেপিকে উত্খাত করতে গুজরাটের ‘ত্রি-শক্তি’ অল্পেশ ঠাকোর, জিগনেশ মেবানি এবং হার্দিক প্যাটেলকে হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করে কংগ্রেস। হার্দিক ওই সময় কংগ্রেসে যোগ না দিলেও লোকসভা ভোটের মুখে গত মার্চে হাত শিবিরে নাম লেখান। দলের তরফে টিকিট মেলা কার্যত নিশ্চিত ছিল।
আরও পড়ুন- বাইক ব্যবহার করে পুলওয়ামা ধাঁচে হামলার ছক কষছে জঙ্গিরা! সেনা চলাচলে সতর্কতা জারি কাশ্মীরে
কিন্তু হার্দিকের বিরুদ্ধে হিংসা ছড়ানোর অভিযোগ মামলা চলায় বাধা হয়ে দাঁড়ায় গুজরাত হাইকোর্টের রায়। সেই রায়ের চ্যালেঞ্জ জানিয়ে সুপ্রিম কোর্টের দ্রুত শুনানির আর্জি জানান হার্দিক। সুপ্রিম কোর্ট তাঁর আবেদন খারিজ করে দেওয়ায় ভোটে লড়ার কার্যত অনিশ্চিত হার্দিকের। বিজেপিকে এক হাত নিয়ে তিনি বলেন, “ভোটে না লড়তে দিতে যাবতীয় প্রচেষ্টা চালিয়েছে বিজেপি।” তাঁর কথায়, “হাইকোর্টের রায়কে স্বাগত জানাচ্ছি। সংসদে পাঠাতে চেয়েছিল কংগ্রেস। ২৫ বছর বয়স আমার, ভবিষ্যতে এখনও অনেক ভোটে লড়ার সুযোগ রয়েছে।”
দল ভরসা করে দায়িত্ব দিয়েছিল, সামলাতে পারেননি অল্পেশ, সাফাই হার্দিকের