কে কাকে ব্যবহার করেছে, সেটাই অস্পষ্ট! চিন্ময়ানন্দকে জামিন নিয়ে বলল হাইকোর্ট

নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২৩ বছরের ছাত্রীর সঙ্গে যৌন সংগমে লিপ্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে। 

Updated By: Feb 4, 2020, 06:04 PM IST
কে কাকে ব্যবহার করেছে, সেটাই অস্পষ্ট! চিন্ময়ানন্দকে জামিন নিয়ে বলল হাইকোর্ট

নিজস্ব প্রতিবেদন: ধর্ষণ মামলায় বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দকে জামিন দিয়ে নির্যাতিত ছাত্রীর 'চরিত্র' নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিল ইলাহাবাদ হাইকোর্ট। আদালতের পর্যবেক্ষণ, কে কাকে ব্যবহার করেছে, সেটাই স্পষ্ট নয়। দুজনেই পরস্পরকে নিজের স্বার্থে ব্যবহার করেছেন। 'কুমারিত্ব' শঙ্কার মুখে থাকলেও বাড়ির লোকজন বা আদালতকে কিছুই বলেননি ছাত্রী। হাইকোর্টের মতে,''একজন তরুণীর কুমারিত্ব সংকটে। কিন্তু নিজের মা-বাবা অথবা আদালতকে কিছুই জানাননি। এটাই গোটা গল্পটা স্পষ্ট করে দেয়।''

বিচারপতি রাহুল চতুর্বেদী বলেন,''আদালত মনে করছে, এটা সম্পূর্ণভাবে পারস্পরিক স্বার্থসিদ্ধির ব্য়াপার। আরও বেশি আদায় করতে চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করেছিল ছাত্রী। তাঁর ও চিন্ময়ানন্দরে অশ্লীল ভিডিয়ো রেকর্ড করে ব্ল্যাকমেইল করার চেষ্টা করেছিলেন। দুপক্ষই সীমা পার করেছে। কে কাকে ব্যবহার করেছে, সেটা বোঝা বেশ কঠিন। দুজনেই পরস্পরকে ব্যবহার করেছিল। ''

নিজের ক্ষমতার অপব্যবহার করে ২৩ বছরের ছাত্রীর সঙ্গে যৌন সংগমে লিপ্ত হয়েছেন বলে অভিযোগ উঠেছে বিজেপি নেতা চিন্ময়ানন্দের বিরুদ্ধে। উত্তরপ্রদেশের শাহাজানপুরের আইন কলেজটি তাঁরই। ওই কলেজেই পড়েন অভিযোগকারিণী। ২৩ বছরের ছাত্রীটি অভিযোগ করেছিলেন, একবছর ধরে তাঁকে ধর্ষণ ও ব্ল্যাকমেইল করেছেন ৭২ বছরের চিন্ময়ানন্দ। প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রীকে ব্ল্যাকমেইলের অভিযোগে ওই ছাত্রীকেও গ্রেফতার করে উত্তরপ্রদেশ পুলিস। 

চিন্ময়ানন্দকে জামিন দিয়ে আদালতের পর্যবেক্ষণ,''চিন্ময়ানন্দের সংস্পর্শে আসার পর তাঁর বদান্যতা ও অনুগ্রহ লাভ করেছেন ছাত্রী। তাঁর পরিবারের লোকজনও সুবিধা পেয়েছেন। ৯-১০ মাস ধরে তাঁর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন চিন্ময়ানন্দ অথচ কাউকে তিনি কিছু বলেননি, এমনকি নিজের পরিবারকেও নয়। অন্যদিকে স্পাই ক্যামেরা দেওয়া রোদ চশমা কিনেছেন ছাত্রী। ওই ক্যামেরা দিয়ে অভিযুক্তের নগ্ন ছবি ও ভিডিয়ো তুলেছেন। পরে টাকা হাতানোর জন্য ওই ছবি ও ভিডিয়ো দেখিয়ে ব্ল্যাকমেইল করেছেন।  গোটা পর্বে চিন্ময়ানন্দের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ হয়েছিলেন। তাঁর পরিবারের লোকজনের চাকরি হয়েছে কলেজে। এছাড়াও অন্যান্য সুযোগসুবিধাও পেয়েছেন।''         

আরও পড়ুন- ক'দিন শুনানি পিছবে? ২০০২ দাঙ্গায় মোদীকে ক্লিনচিট মামলায় প্রশ্ন সুপ্রিম কোর্টের
  

.